বলে তানভীর-ব্যাটে নুরুল, শেখ জামাল ছুটছেই
মোহামেডান ৪৪.৪ ওভারে ১৫৯ অলআউট
শেখ জামাল ধানমন্ডি ৩৩.৩ ওভারে ১৬৩/৩
ফলঃ শেখ জামাল ৭ উইকেটে জয়ী
রূপগঞ্জের কাছে হেরেছিল দুই সপ্তাহ আগে। এরপর থেকেই শুধু ছুটছেই শেঝ জামাল, আজ মোহামেডানকে হারিয়ে জয় পেল টানা পাঁচ ম্যাচে। তবে রূপগঞ্জ ও আবাহনী তাদের নিজেদের ম্যাচে জেতায় শিরোপা দৌড় থেকে ছিটকে গেছে শেখ জামাল, প্রাইম ব্যাংক ও প্রাইম দোলেশ্বর। মোহামেডানের অবশ্য শিরোপার আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই।
আজকের জয়টা এসেছে অনেকটা হেসেখেলেই। ফতুল্লায় ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে মোহামেডান। ৬ রানে নেই ওপেনার ইরফান শুক্কুর, ১৭ রানে নেই অভিশেক মিত্র। তবে জামালের খালেদ আহমেদ বড় একটা ধাক্কা দিয়েছেন ২৭ রানে মোহামেডানের ইনফর্ম অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে আউট করে। লিটন দাস তখনও ছিলেন, তাঁর ওপরেই যা একটু আশা ছিল। কিন্তু দারুণ শুরু করেও সেটা আরেকবার বিলিয়ে দিয়ে এলেন, ২৬ রান করে বোল্ড হয়ে গেলেন ইলিয়াস সানির বলে।
মোহাম্মদ আশরাফুল এরপর তুষার ইমরানকে সঙ্গ দিয়েছিলেন কিছুক্ষণ। কিন্তু আশরাফুলও টেকেননি বেশিক্ষণ, ২১ রান করে বোল্ড তাইজুল ইসলামের বলে। ৯৭ রানে আশরাফুল আউট হওয়ার পর রাহাতুল ফেরদৌসকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তুষার। কিন্তু এরপরেই তানভীর হায়দারের ঘূর্ণিতে আবার পথ হারাল মোহামেডান। ৫৬ রানে তুষারকে ফিরিয়ে পেলেন নিজের প্রথম উইকেট। এরপর সোহাগ গাজী ও শফিউল ইসলাম, দুজনকেই ক্যাচ বানালেন খালেদের। আর কাজী অনীককে আউট করে পেলেন চতুর্থ উইকেট। লিস্ট এ তে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ম্যাচে চার উইকেট হলো আনভীরের। মোহামেডানও পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারল না, ১৫৯ রান করেই অলআউট।
ব্যাটিং অর্ডারে শেখ জামাল আজও চমক দেখিয়েছেন। ইলিয়াস সানি আবারও নেমেছেন ওপেনিংয়ে, তবে ৮ রান করেই আউট হয়ে গেছেন। তিনে তাইজুলকে খেলানোর ফাটকাও কাজে আসেনি, আউট হয়েছেন ১ রান করে। তবে এরপর আর মোহামেডানকে কোনো সুযোগই দেননি ইমতিয়াজ হোসেন ও কাজী নুরুল হাসান। দুজন তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ১২০ রান, ম্যাচের ফলও নির্ধারিত হয়ে গেছে তাতেই। ৫৪ রান করে ইমতিয়াজ সাকলাইন সজীবের বলে এলবিডব্লু হয়ে ভেঙেছে ওই জুটি। তবে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন,৮৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংসে নয়টি চারের সঙ্গে ছিল একটি ছয়। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উথেছে তাঁর হাতেই।