• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    পেসারদের চোট ভাবাচ্ছে ওয়ালশকে, তবে তাড়াহুড়ো করতে চান না

    পেসারদের চোট ভাবাচ্ছে ওয়ালশকে, তবে তাড়াহুড়ো করতে চান না    

    ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যারা খেলছেন, তারা এখনো যোগ দেননি অনুশীলনে। আর বাইরে থাকা তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফজ আর রুবেল অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন আগেই। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ড ও বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য শুরু হওয়া ক্যাম্পে বরং কোচিং স্টাফরাই বেশি ছিলেন। বোলিং কোচ সুনীল যোশি ছাড়া বাকি সবাই চলেও এসেছেন এর মধ্যে। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের দুশ্চিন্তার সুরটা বেজেছে আলাদা করে। মূল পেসাররা যে এখনো সেরে উঠছেন চোট থেকে!

    পেসারদের একেকজনের সমস্যাটা একেকরকম। মোস্তাফিজুর রহমান যেমন চোট পেয়েছেন গোড়ালিতে, রুবেল হোসেনের সমস্যাটা পেশীর। সাইফ উদ্দিন নিয়মিত খেলছেন, তবে টেনিস এলবোতে কিছুটা সমস্যা আছে। কারও চোট গুরুতর কিছু নয়, তবে ওয়ালশ জানেন এবারের দেড় মাসেরও বেশি বিশ্বকাপের আগে শারীরিকভাবে শতভাগ ফিট থাকা কতটা দরকার, 'আজকে তো অনুশীলনের প্রথম দিন। অনেকে এখনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলছে, এটা ভালো। যারা খেলছে না তারা আজ ক্যাম্পে আছে। চোট নিয়ে কিছু দুশ্চিন্তা আছে। আবার কারও কারও জন্য লম্বা সময় ধরে নেট করার ভালো সুযোগ। শুরুটা ভালোই হয়েছে, কিন্তু আমার মূল চিন্তা বোলারদের চোট। ওদেরকে পুরো ফিট করাটাই এখন লক্ষ্য। আমাদের পাঁচ পেসারের মধ্যে তিন জনের চোটের সমস্যা আছে। ওদের ঠিকঠাক বল শুরু করাটা দরকার। আয়ারল্যান্ডে কিছু বল করতে হবে ওদের, এরপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে হবে। এর বাইরে আমাদের তাসকিন, শফিউল, খালেদ আছে। এদের কাউকেও আমাদের দরকার হতে পারে।’

    ওয়ালশ জানেন, ইংল্যান্ডে চ্যালেঞ্জ কতটা বড় হবে। দুই বছর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সময়ও দায়িত্বে ছিলেন, সেবারও পেসারদের অভিজ্ঞতাটা ঠিক সুখকর ছিল না। বরং মোসাদ্দেকের মতো পার্টটাইম স্পিনারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল কার্ডিফে। তবে এবার লম্বা টুর্নামেন্ট, সেজন্য ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের জন্য মানিয়ে নিতে চান ওয়ালশ, ‘আমাদের কন্ডিশনটা ঠিকঠাক পড়তে হবে। কিছু জায়গায় বল হয়তো বেশি সুইং করবে। সেটা আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে। উইকেট ফ্ল্যাট আর নিষ্প্রাণই থাকবে। আর শুরুতে উইকেট নিতে পারলে সেটা হবে ভালো কিছু। তাহলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যাবে। এখন সবাই সবাইকে নিয়ে গবেষণা করে, আমাদের শক্তি আর দুর্বলতাও প্রতিপক্ষের জানা থাকবে। যেমন , ওদেরটাও আমরা জানব। তাই নির্দিষ্ট দিনে আমরা কী করছি, সেটাই আসল। আমরা অখন নিজেদের সেরা একাদশ পেয়ে যাব, শক্তির জায়গা নিয়ে আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারব। ’

    চ্যাম্পিয়নয়স ট্রফিটা আগের বার ভালো যায়নি মোস্তাফিজের। তবে পেস আক্রমণের অনেকটা নির্ভর করবে তাঁর ওপর। ওয়ালশ অবশ্য একজনের ওপর নির্ভর করতে চাইলেন না, ‘ফিট হলে সে বিশ্বকাপে বড় একটা ভূমিকা রাখবে। কিন্তু আমার মনে হয় না আমরা একজন বোলারের ওপর নির্ভর করব। সাকিব, মাশরাফি, রুবেল অনেক ধারাবাহিক। চোট হওয়ার পর ফিজ এখনো সেরা ফর্মে নেই। তবে আমরা জানি, ফুল ফিট ফিজ ম্যাচ জেতাতে পারে। আমার চিন্তা হচ্ছে ওকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। আয়ারল্যান্ডে বেশি খেলানো যাবে না। তাহল বিশ্বকাপে ওকে একদম তরতাজা পাওয়া যাবে।’

     

     

    সাইফ উদ্দিনকে নিয়েও বেশ উচ্ছ্বসিত ওয়ালশ, ‘ও তো খুবই ভালো করছে। সে দারুণ একজন অলরাউন্ডার, ঘরোয়া লিগেও খুব ভালো করছে। সে অনেক আত্মবিশ্বাসী। ওর টেনিস এলবোর সমস্যাটা ঠিক হয়ে গেলে পুরো ফিট হলে ও হবে দলের জন্য বড় একটা সম্পদ।’