• বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ
  • " />

     

    মনিকাময় ম্যাচ জিতে ফাইনালে বাংলাদেশ

    মনিকাময় ম্যাচ জিতে ফাইনালে বাংলাদেশ    

    প্রতিপক্ষ মঙ্গোলিয়াকে পুরোটা সময় কোণঠাসা করে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মঙ্গোলিয়াও রক্ষণে দ্বিগুণ মনোযোগী হয়ে প্রথমার্ধে প্রায় আটকে দিয়েছিল স্বাগতিকদের। এরপর প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে মনিকা চাকমার দারুণ এক গোলে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশের ডাগ আউটে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার মার্জিয়া আক্তারকে দিয়ে গোল করান মনিকা। মঙ্গোলিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ গোল্ডকাপের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ লাওস।  

    বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আগের দুই ম্যাচের মতোই দাপট চলেছে বাংলাদেশের। কৃষ্ণা, স্বপ্নারা ইনজুরির কারণে দলে না থাকায় কিছুটা দুশ্চিন্তা ভর করেছিল। সেটা তাই প্রথম মিনিট থেকেই ভুলে গেছে বাংলাদেশ। একাদশকে সুযোগ পাওয়া সাজেদা আক্তারই প্রথম গোলে শট করেন ৪ মিনিটেই। মঙ্গোলিয়ার গোলরক্ষক ছিলেন সতর্ক তাই গোল পাননি সাজেদা। মঙ্গোলিয়ার গোলরক্ষক সেরনিয়াভ এরডেনবিলজের কাছে বেশ কয়েকবারই হার মানতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও যোগ দিয়েছিলেন গোলের মিসের মহড়ায়। সব কাজ ঠিক করেও গোলের সামনে গিয়েই বারবার অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন মৌসুমিরা।

    এরপর মনিকার অবিশ্বাস্য গোলে সবকিছু ভোলে বাংলাদেশ। ডিবক্সের ঠিক বাইরে প্রথমে মাথা দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে এনে বাম পায়ের দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করেন মনিকা। ওই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। 

    দ্বিতীয়ার্ধেও সেই একই গল্প। বাংলাদেশ আক্রমণ করে গেছে, আর গোলের সামনে গিয়ে হার মেনেছেন মার্জিয়ারা। ৫১ মিনিটে দারুণভাবে একাই কাটিয়ে ডিবক্সের ভেতর ঢুকেছিলেন তহুরা। কিন্তু তার কাছ থেক বল পেয়ে মার্জিয়া মেরেছেন অনেক বাইরে দিয়ে। এর কিছুক্ষণ পর অবশ্য মারিয়া মান্দার দারুণশট গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেওয়ায় আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।

    তবে মঙ্গোলিয়ার প্রতিরোধ আরও একবার ভাঙে অসাধারণ মনিকায়। মিডফিল্ড থেকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝে দিয়ে চমৎকার এক থ্রু পাস বাড়িয়েছিলেন মার্জিয়াকে। এবার আর তিনি ভুল করলেন না। গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানে বাম পায়ের ফিনিশে দুই গোলে এগিয়ে নেন তিনি দলকে।

    খেলা শেষের কয়েক মিনিট আগে সেই গোলরক্ষক সেরনিয়াভই ভুল করে বসলে ফাঁকা বারে তৃতীয় গোলটি করেন তহুরা। পুরো ম্যাচেই ছিল বাংলাদেশের দাপট। বাংলাদেশের মেয়েদের ২৯ টি শট অন টার্গেটের বিপরীতে মঙ্গোলিয়া মাত্র একবার বাংলাদেশের গোলে শট করতে পেরেছিল। সেটাও ম্যাচের ৮২ মিনিটে। 

     

     

    শুক্রবার ফাইনালের আগে অবশ্য বাংলাদেশের জন্য কাজ অনেক। পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত গোল করেছে ৭টি। অথচ প্রতি ম্যাচেই ভুরি ভুরি গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। ফাইনালের প্রতিপক্ষ লাওসও পুরো টুর্নামেন্টে খেলেছে অনেকটা বাংলাদেশের মতোই। তবে খেলা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি গোলের সামনেও তীক্ষ্ণ ছিল তারা। তিন ম্যাচে যথাক্রমে ৫, ৬ ও ৭টি করে গোল করেছে লাওস। সেমিফাইনালেই কেবল একটি গোল হজম করেছে তাঁরা কিরগিস্তানের সঙ্গে। ওই ম্যাচটা তারা জিতেছে  ৭-১ গোলে। তাই দাপট দেখিয়ে ফাইনালে উঠলেও বাংলাদেশের জন্য লাওসের বিপক্ষে ম্যাচটা সহজ হবে না মোটেই।