দনঞ্জয়ার দিনে টেলরের পালটা আক্রমণ
১ম দিন শেষে
শ্রীলংকা ৬৮ ওভারে ২০৩/৫
গলে স্পিনের ফাঁদ পাতা থাকবে, সেটা জানা কথাই ছিল। তাই বলে প্রথম দিনেই আকিলা দনঞ্জয়া এমন ছোবল মারবেন, সেটা নিশ্চয় জানা ছিল না নিউজিল্যান্ডের। তবে শেষ পর্যন্ত দিনটা ঠিক শ্রীলংকার বলা যাচ্ছে না। পালটা আক্রমণ করে লাগামটা যে প্রতিপক্ষের হাতে যেতে দেননি রস টেলর !
টসে জিতে শুরুটা খারাপ হয়নি নিউজিল্যান্ডের। দুই ওপেনার জিট রাভাল ও টম ল্যাথাম বেশ অনেকটা সময় হতাশ করে যাচ্ছিলেন লংকান বোলারদের। স্পিন চলে এসেছিল প্রথম ১০ ওভারেই, তবে প্রথম সেশনটা মনে হচ্ছিল কোনো বিপদ ছাড়াই কাটিয়ে দেবেন দুজন। কিন্তু লাঞ্চের ঠিক আগের কয়েক ওভারেই গড়বড় হয়ে গেল কিউইদের সবকিছু।
দনঞ্জয়ার বলে উইকেটের পেছনে খোঁচা দিলেন ল্যাথাম, ৮৮ বলে ৩০ রান করে ফিরলেন। তিন বল পরে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেল নিউজিল্যান্ডের। দনঞ্জয়ার বলটা একটু বাড়তি বাউন্স করল, লেগ সাইডে ঠেলে সিঙ্গেল দিতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচটা নিতে ভুল করলেন না অধিনায়ক উইলিয়ামসন, তিন বলে শুন্য রান করে ফিরলেন কিউই অধিনায়ক। লাঞ্চের ঠিক আগে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দিলেন রাভাল, ফিরলেন ৩৩ রান করে। ৬৪ রানে বিনা উইকেট থেকে হুট করে ৭১ রানে ৩ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের। এবং তিনটিই দনঞ্জয়ার।
তবে লাঞ্চের পর আবার পালটা আক্রমণ করেছে কিউইরা। হেনরি নিকোলস ও রস টেলর চতুর্থ উইকেটে যোগ করেছেন ঠিক ১০০ রান। মনে হচ্ছিল চা বিরতি পর্যন্ত দ্বিতীয় সেশনটা কোনো উইকেট না হারিয়েই পার করে দেবে তারা। কিন্তু এবারও লাঞ্চের মতো ফিরে এসেছে শ্রীলংকা। সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে গেছেন নিকোলস, ফিরেছেন ৪২ রানে। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। আর চা বিরতির ঠিক আগে ওয়াটলিংও এলবিডব্লু হয়ে গেছেন ১ রানে। এই দুইটি উইকেটও দনঞ্জয়া, প্রথম দিনেই ৫ উইকেট হয়ে গেছে শ্রীলংকান স্পিনারের।
টেলর অবশ্য এক দিক থেকে পালটা আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন। স্যান্টনারকে নিয়ে আর কোনো বিপদ হতে দেননি। নিজে যখন ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন, এরপরেই গলে এসেছে বৃষ্টি। শেষ সেশনে শেষ পর্যন্ত তাই খেলাও হয়নি সেভাবে।