টেইলর- ডি গ্র্যান্ডোম ঝড় ছাপিয়ে গেল মালিঙ্গা-হাসারাঙ্গাকে
শ্রীলঙ্কা ১৭৪/৪, ২০ ওভার (মেন্ডিস ৭৯, ডিকওয়েলা ৩৩, উদানা ১৫, সাউদি ২/২০) ; নিউজিল্যান্ড ১৭৫/৫, ১৯.৩ ওভার (টেইলর ৪৮, ডি গ্র্যান্ডোম ৪৪, মিচেল ২৫*, স্যান্টনার ১৪*, মালিঙ্গা ২/২৩, হাসারাঙ্গা ২/২১)
নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী, ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে
রস টেইলর ও কলিন ডি গ্র্যান্ডোমের মাঝের ওভারের ঝড়ে পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে টপকে গেছে নিউজিল্যান্ড। ১৭৫ রানতাড়ায় ৮ ওভারের আগেই ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড, গ্র্যান্ডোম-টেইলরের ৩৭ বলে ৭৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরেছে নিউজিল্যান্ড। এ দুজন ফিরলেও ড্যারিল মিচেল ও মিচেল স্যান্টনারের দুই ক্যামিওতে তিন বল বাকি থাকতেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড, ফলে বৃথা গেছে লাসিথ মালিঙ্গার দুর্দান্ত বোলিং। অন্য পেসাররা সহায়তা করতে পারেননি তাকে, টেইলরের ক্যাচ মিসও শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যাচ-নির্ধারনী মুহুর্তগুলির একটি।
ব্যক্তিগত ১৪ বলে ৩১ রানের সময় আকিলা দনঞ্জয়াকে স্লগ করতে গিয়ে ডিপ-মিডউইকেটে ক্যাচ তুলেছিলেন টেইলর, দাশুন শনাকার হাত গলে বেড়িয়ে গেছে সেটা। নিউজিল্যান্ড তখন গিয়ার বদলাচ্ছিল, ১১-১৩ ওভারে টেইলর-গ্র্যান্ডোম তুলেছেন ৫১ রান। টেইলরের উইকেট চেপে ধরতে পারতো নিউজিল্যান্ডকে, যেটা হয়নি আর। মালিঙ্গা ফিরে ফিরিয়েছেন গ্র্যান্ডোমকে, তার চিরায়ত ইয়র্কারে বোল্ড হওয়ার আগে গ্র্যান্ডোম করেছেন ২৮ বলে ৪৪, ২ ছয় ও ৪ চারে। হাসারাঙ্গাকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে টেইলর করেছেন ২৯ বলে ৪৮, ২ ছয় ও ৩ চারে। সে ওভার শেষেই বৃষ্টিতে বন্ধ ছিল খেলা কিছুক্ষণ।
শেষ পর্যন্ত এই উল্লাস থাকেনি মালিঙ্গার
ম্যাচ থেকে অবশ্য তখনও ছিটকে যায়নি শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ডের শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। ১৮তম ওভারে ১৩ রানের পর শেষের আগের ওভারে মালিঙ্গার কাছ থেকে দুই মিচেল তুলেছেন ১৫ রান, এরপর অফিশিয়ালি ছিটকে গেছে শ্রীলঙ্কা।
অথচ ইনিংসের শুরুতে নিউজিল্যান্ডকেই ছিটকে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মালিঙ্গা। চতুর্থ বলে তার ইয়র্কার সামলাতে পারেননি কলিন মানরো, চতুর্থ ওভারে দনঞ্জয়াকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপে ক্যাচ দিয়েছেন মার্টিন গাপটিল। টিম সাইফার্ট হয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দ্বিতীয় শিকার, অভিষেকটা দারুণ হলেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত দলেই থাকতে হলো এই লেগস্পিনারের।
এর আগে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের হাইলাইটস ছিল কুসাল মেন্ডিসের ৫৩ বলে ৭৯ রানের ইনিংস। কুসাল পেরেরা, আভিশকা ফার্নান্ডো ও নিরোশান ডিকওয়েলার সঙ্গে প্রথম ৩ উইকেটে যথাক্রমে ৪১, ২৭ ও ৬৩ রানের জুটি গড়েছিলেন মেন্ডিস। এর মধ্যে ডিকওয়েলার সঙ্গে তার জুটিটা ছিল ধ্বংসাত্মক। ১৭তম ওভারে গিয়ে টিম সাউদির বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে মেন্ডিস তার ৭৯ রানের ইনিংসে মেরেছেন ২টি ছয়ের সঙ্গে ৮টি চার। এর আগে পেরেরা ও ফার্নান্ডোকে যথাক্রমে ফিরিয়েছেন সাউদি ও স্যান্টনার।
শেষ ওভারে গিয়ে রান-আউট হওয়ার আগে ডিকওয়েলা ৩৩ রান করেছেন ২৫ বলে। দাশুন শনাকার ১২ বলে ১৭ রানের ক্যামিওকেও ছাপিয়ে গেছেন ইসুরু উদানা, যিনি ১৫ রান করেছেন মাত্র ৩ বলে। শেষ ওভারে সেথ র্যান্সের বলে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ২৩ রান। টেকো মাথায় হেডব্যান্ড পরে ক্রিস মার্টিনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনা র্যান্স ৪ ওভারে গুণেছেন ৫৮ রান। তবুও দিনশেষে আর মালিঙ্গা-হাসারাঙ্গার হাসি কেড়ে নিয়ে তিনিই জয়ী দলে।