অবিশ্বাস্য মালিঙ্গা ফেরালেন চার বলে চারের সেই স্মৃতি
টিভিপর্দায় খেলাটা দেখে থাকলে আপনি সৌভাগ্যবান। আর আপনি যদি পাল্লেকেলেতে আজ থেকে থাকেন তাহলে মহা মহা সৌভাগ্যবান। এমন একটা কীর্তি চোখের সামনে দেখেছেন, যেটা এর আগে একবারই হয়েছে ক্রিকেটে। তাও আজ যিনি করেছেন, আগেও তার হাত ধরেই এসেছিল তা। পর পর চার বলে হ্যাটট্রিকের অবিশ্বাস্য একটা কীর্তি ২০০৭ বিশ্বকাপে করেছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। আজ ৩৬ বছর বয়সে পুনরাবৃত্তি করলেন সেই কীর্তির।
শুরুটা হয়েছিল ম্যাচের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে। দারুণ ইয়র্কারটা জবাব দেওয়ার উপায় ছিল না কলিন মানরোর, বোল্ড হয়ে গেলেন ১২ রানে। এই উইকেটেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শততম উইকেটও হয়ে গেল তার। সেটিও প্রথম বোলার হিসেবে, শহীদ আফ্রিদির ৯৭ উইকেটের রেকর্ড ছাড়িয়েছিলেন কদিন আগেই।
এরপর বেশ কিছুদিন পর দলে ফেরা হামিশ রাদারফোর্ডকে করা বলটা লাগল প্যাডে, এলবিডব্লুর আবেদনে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলেন রাদারফোর্ড, কিন্তু লাভ হলো না। বল উইকেটে লাগছিল, ফেরত যেতে হলো তাকে।
হ্যাটট্রিক বলটা ছিল ফর্মে থাকা কলিন ডি গ্র্যান্ডোমকে। এবার ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কারের জবাব ছিল না ডি গ্র্যান্ডোমের কাছে। একটুর জন্য অবশ্য নো হয়নি, হ্যাটট্রিকও হয়ে গেছে মালিঙ্গার। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বোলার হিসেবে দুইটি হ্যাটট্রিকও হয়ে গেল। ওয়াসিম আকরামকে ছাড়িয়ে প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচটি আন্তর্জাতিক হ্যাটট্রিকের কীর্তিও গড়লেন।
তবে সেখানেই শেষ নয়। এবার রস টেলরকে করা প্রথম বলটা লাগল প্যাডে, এলবিডব্লু। চার বলে হলো চারটি, যে কীর্তি ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন মালিঙ্গা। এরপর আরও একটি উইকেট নিয়েছেন, টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট নিয়েছেন।
ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৩৭ রানে জিতেছ শ্রীলংকা। স্বাগতিকদের ১২৫ রান তাড়া করে ৮৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড, সিরিজ অবশ্য আগেই জিতে গিয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। তবে এমন একটা দিনে ফলফল তো আসলে গৌণ হয়ে পড়ে!