• বাংলাদেশ নারী দলের পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    জাহানারার তোপ আর রুমানার রেকর্ডের পরও পারল না বাংলাদেশ

    জাহানারার তোপ আর রুমানার রেকর্ডের পরও পারল না বাংলাদেশ    

    পাকিস্তান ২০ ওভারে ১২৬/৭

    বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১১২/৭

    ফলঃ পাকিস্তান ১৪ রানে জয়ী


     

    রুমানা আহমেদ আজ যা করেছেন, বাংলাদেশের নারী টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে আর কারও সেই কীর্তি নেই। ৩০ বলের নিচে ফিফটি ছিল না বাংলাদেশের কোনো নারী ক্রিকেটারের। মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই সেই কীর্তি আছে মাত্র ১৫ বার। ২৮ বলে আজ ফিফটি করেছেন রুমানা, তার আগে জাহানারা আলম ১৭ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত দিনটা বিফলে গেছে বাংলাদেশের, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৪ রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরু করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান।

    শুরুতে ফিল্ডিং করতে নেমে পাকিস্তানকে জোড়া ধাক্কা দিয়েছিলেন জাহানারা। প্রথম ওভারেই ফিরিয়েছেন সিদ্রা আলমকে, এক ওভার পর তুলে নিয়েছেন জাভেরিয়া আলমকে। বিসমা মারুফ ও উমানা সোহাইল এরপর ম্যাচটা বের করে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের কাছ থেকে। দুজন তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ৬০ রান, ৩৪ রানে বিসমাকে ফেরালেন লতা মন্ডল। পরের ওভারেই উমাইমাকে ৩৩ রানে ফেরালেন রুমানা। পাকিস্তানের রানের গতিটা একটু স্লথ হয়ে এলো এরপর।

    ১৯তম ওভারে বল হাতে পেলেন জাহানারা। ইরাম জাভেদ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন, ১৭ বলে ২১ রান করে ফেলেছিলেন। সেই ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড করলেন তাকে, এক বল পরেই কায়নাত ইমতিয়াজের স্টাম্প উড়িয়ে পেয়ে গেলেন চতুর্থ উইকেট। তবে শেষ ওভারেই পাকিস্তানের হয়ে আসলে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট গড়ে দিলেন সিদ্রা নাওয়াজ। সালমা খাতুনের এক ওভার থেকে মেরেছেন চারটি চার, শেষ ওভার থেকে ১৭ রান তুলেছে পাকিস্তান।

    সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচোট খায় বাংলাদেশ। ৬ রানের ভেতর ফিরে যান দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা ও আয়শা রহমান। সানজিদা ইসলাম ও নিগার সুলতানা এরপর ৩৪ রান যোগ করলেও রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪০ও পেরোয়নি। একাদশ ওভারে নিগার আউট হয়ে গেলেন, পরের ওভারে সানজিদাও। এরপর একাই লড়াই শুরু করলেন রুমানা।

    শেষ ৭ ওভারে যখন বাংলাদেশের ৭৭ রান লাগে, বাংলাদেশের হারটা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। ডায়নার এক ওভারে তিন চার মেরে ৩০ বলে ৫২ রানের সমীকরণে নিয়ে এলেন রুমানা। শেষ ২ ওভারে যখন ৪১ রান দরকার, তখন আবার ঝড় রুমানার। বিসমার এক ওভার থেকে দুই চার ও দুই ছয় মিলে মোট ২৩ রান নিলেন, ফিফটি পেলেন ২৯ বলে। শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ১৮ রান। কিন্তু তৃতীয় বলে আউট হয়ে গেলেন রুমানা, ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে গেল বাংলাদেশ।