• ইংল্যান্ডের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    নিশম-স্যান্টনারে সিরিজে ফিরল নিউজিল্যান্ড

    নিশম-স্যান্টনারে সিরিজে ফিরল নিউজিল্যান্ড    

    স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ১৭৬/৮ (নিশম ৪২, গাপটিল ৪১; জর্ডান ৩/ ২৩) 

    ইংল্যান্ড ১৯.৫ ওভারে ১৫৫ (মালান ৩৯, জর্ডান ৩৬; স্যান্টনার ৩/২৫)

    নিউজিল্যান্ড ২১ রানে জয়ী 

     

    ৯৩ রানে নেই ৬ উইকেট, জয়ের জন্য দরকার আরও ৮৪ রান। ইংল্যান্ডের হারটা তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ঠিক সেই মুহূর্তেই অবিশ্বাস্য কিছু করার আভাস দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার ক্রিস জর্ডান। পরপর তিন বলে তিন ছয় মেরে ইংল্যান্ডকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের খুব কাছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তার লড়াইটা বিফলেই গেছে। ওয়েলিংটনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিমি নিশমের ঝড়ো ইনিংস ও মিচেল স্যান্টনারের স্পিনজাদুতে ইংল্যান্ডকে ২১ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে নিউজিল্যান্ড।

    ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। আট বলের মাঝেই ফেরেন জনি বেইরস্টো ও জেমস ভিন্স। ডেভিড মালান ও অইন মরগান প্রাথমিক বিপর্যয়টা সামলে দারুণ পাল্টা আক্রমণের আভাস দিচ্ছিলেন। তিন ওভারের মাঝেই এই জুটি তোলে ৩৭ রান। এর মাঝে ৩২ রানই ছিল মরগানের। তিন ছয় ও তিন চারে ১৭ বলে ৩২ রান করে ফেরেন মরগান। স্যান্টনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে গ্র্যান্ডহোমের হাতে ক্যাচ দেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। 

    স্যাম বিলিংস, স্যাম কারান দুই অংক ছোঁয়ার আগেই ফেরেন। ইংল্যান্ডের ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন মালান। মালানও আউট হয়েছেন সোধির বলে মারতে গিয়েই। ২৯ বল খেলে দুই চার, দুই ছয়ে মালানের রান ৩৯। 

    পরাজয়টা যখন সময়ের ব্যাপার, ইংল্যান্ডের হয়ে তখন জ্বলে ওঠেন জর্ডান। সোধির করা ১৪ তম ওভারের শেষ চার বলে তিনটি ছয় ও একটি চার মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দিয়েছেন জর্ডান। জর্ডান যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, কিউইদের কপালে চিন্তার ভাজটাও ততো বাড়ছিল। নিজের স্পেলের শেষ বলে জর্ডানকে ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন স্যান্টনার। ১৯ বলে ৩৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরের জর্ডান। জর্ডান ফিরলে জয়ের শেষ আশাও ফুরিয়ে যায় ইংলিশদের।

    নিশম ঝড়েই অসহায় ইংলিশ বোলিং 

     

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। স্যাম কারানের বলে কলিন মানরো ফেরেন পাঁচ রান করে। মানরোর ওপেনিং পার্টনার মার্টিন গাপটিল অবশ্য ইংলিশ বোলারদের ওপর বেশ চড়াও হয়েছে। টিম সেইফার্তকে নিয়ে বড় জুটি গড়ার আভাস দিচ্ছেন গাপটিল। তবে সেইফার্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

    একপ্রান্ত আগলে রেখে গাপটিলই শুধু রানের চাকা সচল রেখেছেল। ফিফটিটা অবশ্য পাওয়া হয়নি। ২৮ বলে ৪১ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন গাপটিল। গাপটিল ফেরার পর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও রস টেলর আশা জাগিয়েও নিজেদের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। দুইজনই ফিরেছেন ২৮ রান করে। 

    নিউজিল্যান্ড ১৫০ পেরিয়েছে সাত নম্বরে নামা জেমস নিশমের কল্যাণেই। মাত্র ২২ বলেই নিশম করেন ৪২ রান। ইনিংসের একদম শেষ বলে আউট হয়েছেন নিশম। ফেরার আগে মেরেছেন চারটি ছয় ও দুটি চার। শেষ পর্যন্ত তার এই ইনিংসটাই জয়ের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।