• ইংল্যান্ডের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    ডেথ ওভারে ইংল্যান্ডের বিপর্যয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড

    ডেথ ওভারে ইংল্যান্ডের বিপর্যয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড    

    স্কোর 

    নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ১৮০/৭ (গ্র্যান্ডহোম ৫৫, গাপটিল ৩৩; কারান ২/২৯)

    ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ১৬৬/৭ (মালান ৫৫, ভিন্স ৪৯;  ফার্গুসন ২/২৫, টিকনার ২/২৫) 

    নিউজিল্যান্ড ১৪ রানে জয়ী 

     

    ডেভিড মালান-জেমস ভিন্স যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, জয়ের পাল্লাটা ভারী ছিল ইংল্যান্ডের পক্ষেই। কিন্তু নেলসনে ফিরে এলো আগের ম্যাচের দেজা ভ্যু। আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের দেওয়া বড় টার্গেট টপকে যেতে পারেনি ইংলিশরা। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ঝড়ো ইনিংসের পর ইনিংসের শেষভাগে টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসনের দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ে  ইংল্যান্ডকে ১৪ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। 

    নেলসনে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। ২ চার ও এক ছয়ে ঝড় তোলার আভাস দিয়েও তৃতীয় ওভারে আউট হন ওপেনার টম ব্যান্টন। ডেভিড মালান ও জেমস ভিন্সের জুটিটাই ইংল্যান্ডকে আশা দেখাচ্ছিল। আট চার ও এক ছয়ে মালান পেয়েছেন ফিফটিও। ১০ ওভারের মাঝে ওঠে ৯০ রান। 

    ১১ তম ওভারে মালানকে ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান ইস সোধি। ৫৫ রান করে গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মালান। অইন মরগানকে নিয়ে রান তোলার গতিটা ধরে রাখার চেষ্টার ছিলেন ভিন্স। মরগান এক ওভারে দুটি ছয় মেরে বড় ইনিংসের আভাস দিলেও ১৮ রান করে আউট হয়েছেন স্যান্টনারের বলে। স্যাম বিলিংস রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কয়েক বলের মাঝেই। 

    অন্যদের আসা যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে একাই লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছেন ভিন্স। ডেথ ওভারে সাউদি-ফার্গুসন-টিকনারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন তিনিও। শেষ ২১ বলে ইংল্যান্ড তুলেছে মাত্র ১১ রান, উইকেট পড়েছে পাঁচটি। ১৭ তম ওভারে এসে ভাঙ্গে ভিন্সের প্রতিরোধ। টিকনারকে মারতে গিয়ে টিম সাউদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ভিন্স, ইংল্যান্ডের জয়ের শেষ আশাটাও নিভে যায় এর সাথেই। 

    গ্র্যান্ডহোমের ইনিংসটাই কাল হলো ইংলিশদের 

     

    দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তুলেছিলেন মার্টিন গাপটিল। সাত চারে মাত্র ১৭ বলেই ৩৩ রান করেন গাপটিল। তার ইনিংসটা বড় হতে দেননি প্যাটট্রিক ব্রাউন, টম কারানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গাপটিল। চার বল পর ফেরেন আরেক ওপেনার কলিন মানরো। টিম সেইফার্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। 

    চতুর্থ উইকেটে কলিন ড্র গ্র্যান্ডহোম ও রস টেলরের জুটিি বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয় কিউইদের। ৬৬ রানের জুটিতে গ্র্যান্ডহোমি ছিলেন বেশি মারমুখী। ৫ চার ও তিন ছয়ে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। গ্র্যান্ডহোম আরও ভয়ংকর হয়তে ওঠার আগেই তাকে ফেরান কারান। টেলরও দুই ওভারের মাঝে ফিরলে রানের গতি কমার শঙ্কা জেগেছিল।

    গ্র্যান্ডহোম-টেলর ফিরলেও রানের চাকা সচল রেখেছেন আগের ম্যাচের দুই নায়ক জিমি নিশম ও মিচেল স্যান্টনার। নিশমের ১৫ বলে ২০ ও স্যান্টনারের ৯ বলে ১৫ রানের সুবাদেই ১৮০ রানের স্কোর দাড় করায় নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত এই দুইজনের ইনিংসি জয়ের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।