টেনিসে শেষ শারাপোভা-অধ্যায়
সেই ২০০৪ সালে উইম্বলডন জিতে পাদ প্রদীপের আলোয়। এরপর টেনিসের পোস্টার গার্ল হয়ে উঠেছিলেন, কোর্টের সাফল্যের সঙ্গে পেয়েছেন কোর্টের বাইরে বিপুল জনপ্রিয়তা। তবে আর শোনা যাবে না মারিয়া শারাপোভার সেই ট্রেডমার্ক চিৎকার। ইন্সটাগ্রামে আবেগঘন পোস্ট দিয়ে ৩২ বছর বয়সী এই রুশ জানিয়েছেন, কোর্টে আর দেখা যাবে না তাকে।
দীর্ঘদিন থেকেই কাঁধের চোটের সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। চোটের কারণে বড় একটা সময় টেনিস কোর্টের বাইরে থাকায় র্যাংকিংয়ে ক্রমাবনতি হয়েছে তার। একসময়ের বিশ্বসেরা শারাপোভা চোটজর্জর শেষ কয়েক বছর কাটিয়ে র্যাংকিংয়ে ৩৭৩ তম স্থানে নেমে এসেছিলেন। অবসরের ঘোষণা দিতে ইন্সটাগ্রামে শারাপোভা টেনিস কোর্টে নিজের ছোটবেলার একটি ছবি জুড়ে দিয়ে লিখেছেন, “টেনিস আমাকে বিশ্ব চিনিয়েছে। নিজেকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে। টেনিসের মাধ্যমেই আমি নিজেকে বারবার পরীক্ষা করেছি এবং নিজেকে গড়ে তুলেছি। তাই জীবনের পরবর্তী ধাপে আমি যাই করি না কেন, আমি চেষ্টা করব, আমি এগিয়ে যাব। বিদায়, টেনিস।”
মাত্র ৪ বছর বয়সে শারাপোভার টেনিসে হাতেখড়ি হয়। জুনিয়র টেনিসে দারুণ পারফর্ম করে সবার নজর কাড়েন তিনি। তবে টেনিসে তার প্রথম বড় সাফল্য হচ্ছে ২০০৪ সালে উইম্বলডন জয়। ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছিলেন তিনি। সেই জয়ের পরের বছর ২০০৫ সালে বিশ্ব র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছিলেন তিনি। এরপর ২০০৬ সালে ইউএস ওপেন, ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ২০১২ ও ২০১৪ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় করেছেন তিনি। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের নারী এককে রৌপ্য পদকও জিতে নিয়েছিলেন তিনি।
২০১৬ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সময় নিষিদ্ধ ড্রাগ মেলডোনিয়াম ব্যবহার করার কারণে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শারাপোভা। যদিও পরে শাস্তি কমানো হয় তার। ক্যারিয়ারজুড়ে কাঁধের চোটের সঙ্গে লড়াই চলেছে তার। এই চোটের জন্যই শেষ পর্যন্ত টেনিসকে বিদায় বললেন তিনি।