• আইপিএল ২০২০
  • " />

     

    ভারতের বাইরে হবে আইপিএল?

    ভারতের বাইরে হবে আইপিএল?    

    অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর আইপিএল আয়োজনের বিকল্প প্রস্তাব আসা শুরু করেছে। ভারত বাদ দিয়ে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজনের কথা ভেবে দেখতে বলছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কোচ সাইমন ক্যাটিচ। অন্যদিকে কভিড-১৯ হটাতে পারলে শ্রীলঙ্কায় আইপিএল আয়োজনের প্রস্থাব দিয়েছে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। 

    “নিশ্চিতভাবেই এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, এবং সেখানে মানুষ তাদের ক্রিকেট ভালবাসে। তবে আমার মনে হয় তাদেরকেও বাস্তববাদী হতে হবে, আর সবার মতো অপেক্ষা করতে হবে এটি শেষ হওয়া পর্যন্ত, তা যতদিনই হোক না কেন”, এসইএন রেডিওকে  বলেছেন ক্যাটিচ। 

    “অস্ট্রেলিয়া বা অন্য কোথাও আয়োজনের কথাবার্তা হলে সেটি আকর্ষণীয় হতে পারে। আমাদের মতো দল হলে বিদেশে খেলতে পারলে খুশীই হবে, যেহেতু আমাদের বেশ কয়েকজন বিদেশী ক্রিকেটার আছে যারা অস্ট্রেলিয়ান বা দক্ষিণ আফ্রিকান। এটা আকর্ষণীয় হবে, আসলেই যদি হয়। তবে অনেক দৃশ্যপটের মাঝে এটি একটি আলোচনার বিষয়।” 

    “অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আইপিএল যা আনে, তা বিশাল। শুধু ভারতীয় অর্থনীতিতে না, ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং বিসিসিআইয়ের জন্যও। আমার মনে হয় এই ব্যাপারটা সামনে আসবে। আইপিএলের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি আলাদা তাই।” 

    আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতি বিবেচনা করেই শ্রীলঙ্কা প্রস্তাব দিয়েছে এই টুর্নামেন্ট তাদের মাটিতে করার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট শাম্মি সিলভা বলেছেন, “আইপিএল বাতিল হলে বিসিসিআই এবং অন্যান্য অংশীদারদের প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ক্ষতি হবে। ফলে হয়তো তারা অন্য দেশে এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করে এই ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারবে।” 

    ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের চেয়ে বর্তমানে এই দ্বীপরাষ্ট্রে সামাজিক দূরত্বের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি বেশি এখন। প্রায় চার সপ্তাহ ধরে চলছে কার্ফিউ। এ ভাইরাস নির্মূলে বেশ আশাবাদী শ্রীলঙ্কা। 

    “যদি তারা শ্রীলঙ্কায় খেলে, তাহলে ভারতীয় দর্শকদের জন্য টিভিতে ম্যাচ দেখা সুবিধা হবে। এবং এটা আগেও ঘটেছে, তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল করেছে। আমরা আমাদের প্রস্তাবে ভারতীয় বোর্ডের সাড়া দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।” 

    আইপিএলের জন্য প্রয়োজনীয় সবরকমের সহায়তাও তারা দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন সিলভাব, “যদি ভারতীয় বোর্ড রাজি হয়, তাহলে আমরা পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শক্রমে সব রকমের সহায়তা দেব। এবং এটা শ্রীলঙ্কা বোর্ডের জন্যও আয়ের একটা উপায় হতে পারে।”