• ক্রিকেটে করোনাভাইরাস
  • " />

     

    কভিড-১৯ এর পর ক্রিকেট বলের সমস্যার 'সমাধান' দিলেন শেন ওয়ার্ন

    কভিড-১৯ এর পর ক্রিকেট বলের সমস্যার 'সমাধান' দিলেন শেন ওয়ার্ন    

    কভিড-১৯ মহামারির পর ক্রিকেট আবারও শুরু হলে বলে বিবর্তন আনতে বলছেন শেন ওয়ার্ন। সুইং ও মুভমেন্ট পেতে ক্রিকেট বলে থুতু বা লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখন নতুন এক উপায় বলেছেন লেগস্পিন কিংবদন্তী। তার মতে, “বলের ওজন একদিকে বাড়তি” রাখলেই হয়, সেক্ষেত্রে আর কিছু ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না সুইং বা মুভমেন্টের ক্ষেত্রে। 

    সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে আবারও যখন ক্রিকেট শুরু হবে, তখন সতকর্তা হিসেবে বলে থুতু ও লালার ব্যবহারে কড়াকড়ি আনা হতে পারে। আবার এরই মাঝে বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ‘মোমের অ্যাপ্লিকেটর’ প্রস্তুত করছে কুকাবুরা

    ওয়ার্ন বলছেন, এতোকিছুর মাঝে না গিয়ে স্রেফ বলের প্রকৃতি বদলে ফেলতে। স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেট পডকাস্টে তিনি বলেছেন, “আমরা কেন বলের ওজন একদিকে বাড়িয়ে নিচ্ছি না, যাতে সবসময়ই সুইং পাওয়া যায়? এটা টেপ-টেনিস বলের মতো (একদিকে টেপ), অথবা লন বোলের মতো হবে তখন।” 

    “আমি নিশ্চিত না যে ওয়াসিম (আকরাম) ও ওয়াকার (ইউনিস) এর মতো মুভমেন্ট পাবেন তখন, তবে ফ্ল্যাট উইকেটে পেসাররা সুইং করাতে পারবে। যখন আবহাওয়া গরম থাকে, এবং দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে পিচ থাকে বেশ ফ্ল্যাট।” 

    এক্ষেত্রে বল টেম্পারিং নিয়েও আর ভাবনা থাকবে না বলে মত তার, “এটা সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে দারুণ একটা পথ হতে পারে। আপনাকে তখন বলে কিছুই করতে হবে না। বোতলের ছিপি, স্যান্ডপেপার বা এমন কিছু দিয়ে বল টেম্পারিং নিয়ে ভাবতে হবে না। ব্যাট বলের মাঝে প্রতিযোগিতা ভাল হবে।” 

    যুগে যুগে ক্রিকেট ব্যাটের যেমন বিবর্তন হয়েছে, বলের ক্ষেত্রেও হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি, “ব্যাটের কেমন বিবর্তন হয়েছে তাকান একবার। আপনি যদি আশির দশকে যে ব্যাট দিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন সেটির দিকে তাকান, এবং এরপর যে ব্যাট দিয়ে খেলা শেষ করেছেন সেটির দিকে তাকান- তাহলে দেখবেন যে পুরোনো চারটা জোড়া দিয়ে নতুন একটা হয়েছে এমন। তবে নতুন ব্যাট আবার আগেরগুলির চেয়ে হালকা! বলের তাহলে বিবর্তন হয়নি কেন? যেটা হয়েছে, এর অবস্থা আরও বাজে হয়েছে।” 

    আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে কুকাবুরা ব্যবহার করা হলেও টেস্টের ক্ষেত্রে বর্তমান তিন রকমের বল ব্যবহার করা হয়। ইংল্যান্ডে খেলা হয় ডিউক দিয়ে, অস্ট্রেলিয়া খেলে কুকাবুরা দিয়ে, ভারত খেলে এসজি বলে।