নির্দিষ্ট সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে 'বিকল্প পরিকল্পনা'র কথা ভাবছে আইসিসি
২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও পরের বছরের উইমেনস বিশ্বকাপ নির্ধারিত সময়ে আয়োজনের পরিকল্পনা চালিয়ে যাবে আইসিসি। পরের মাস পর্যন্ত সম্ভাব্য সবকিছু বিবেচনা করবে তারা, নির্দিষ্ট সময়েই এসব টুর্নামেন্ট করার জন্য বিকল্প পরিকল্পনা যাচাই করা হবে। বোর্ড মিটিংয়ের পর বুধবার এক বিবৃতিতে এমন জানিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
"কভিড-১৯ মহামারিতে সৃষ্ট চলমান পরিবর্তনশীল পরিস্থিতে সবার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বজায় রেখে কীভাবে সকলের সঙ্গে মিলে এ দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়", সে ব্যাপারে নিজেদের “ইচ্ছা”র কথা জানিয়েছে আইসিসি। এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা আছে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, পরের বছর নিউজিল্যান্ডে ফেব্রুয়ারি-মার্চে হওয়ার কথা মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এরই মাঝে মেয়েদের বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব স্থগিত হয়ে গেছে, জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা ছিল যেটি।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সাউনি বলছেন, নিজেদের সবচেয়ে ভাল সুযোগটা দিতে চান তারা, “বৈশ্বিক মহামারিতে পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। আমরা আমাদের খেলার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগটি নিতে চাই। সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্যের ব্যাপারটিকে সবার আগে প্রাধান্য দেব আমরা, অন্য সবকিছু এরই প্রেক্ষিতে আসবে।”
“আমাদের এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটিই সুযোগ থাকবে। এবং এটি ঠিক হতে হবে। ফলে আমাদের সদস্য, ব্রডকাস্টার, অংশীদার, সরকার, ক্রিকেটার সবার সঙ্গে আলোচনা করব, যাতে সবাইকে জানিয়েই একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারি আমরা।”
এর আগে ১০ জুন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারটি স্থগিত রেখেছিল আইসিসি। শেষবার গোপনীয়তার ইস্যু উঠে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এ আলোচনা। সেই গোপনীয়তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে, সকল বোর্ড এবং আইসিসি ম্যানেজমেন্ট যে তদন্তের আওতায় আসবে।
এছাড়া পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ভারতকে করের ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে দেওয়া ডেডলাইন বাড়ানো হয়েছে এ সভায়। ফলে বিসিসিআই এখন ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে। এর আগে করের ইস্যুতে ভারত থেকে এ টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।