• ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফর ২০২০
  • " />

     

    যেভাবে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে ফিরছে বদলে যাওয়া ক্রিকেট

    যেভাবে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে ফিরছে বদলে যাওয়া ক্রিকেট    

    প্রায় ৪ মাস বিরতির পর ফিরছে ক্রিকেট। তবে ঠিক আগের মতো করে নয়। ৮ জুলাই এজিয়েস বোউলে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্টে তাই অনেককিছুই নতুন ঠেকতে পারে আপনার কাছে...


    কোথাও কেউ নেই 

    ৮৬১৭৪। 

    এমসিজিতে অস্ট্রেলিয়া-ভারতের উইমেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দর্শকসংখ্যা গড়লো নতুন রেকর্ড। নারী দিবসে নতুন ল্যান্ডমার্ক। ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে ৫ম শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার, এরপর কেটি পেরির কনসার্টে এমসিজি কাঁপলো। সেই শেষ। 

    এরপর সব স্তব্ধ। সেই ফাইনালের পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে এখন পর্যন্ত একটি, এসসিজিতে ১৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে। তবে সেটি দর্শকশূন্য মাঠে। ৮ জুলাই এজিয়েস বোউলে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে, তবে দর্শকের উপস্থিতি থাকবে না সেখানে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ৬ জুলাই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ গ্রীষ্মেই আন্তর্জাতিক সূচিতে দর্শকের উপস্থিতি থাকবে না মাঠে। 

    এমনিতে টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক টানা বিশেষ করে ক্যারিবীয় ও উপমহাদেশের দেশগুলির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। অবশ্য বার্মি-আর্মি ও সফরকারি দর্শকদের কল্যাণে ইংল্যান্ডের বাইরের দেশের সিরিজগুলিতেও সেটি হয় না, দেশের মাটিতে তো তাদের দর্শক উপস্থিতি বিশ্বেরই অন্যতম সেরা। তবে আপাতত বার্মি আর্মির বিউগল বাজবে না, মাঠের খেলা ফিরলেও চারপাশটা খাঁ খাঁ-ই করবে। 

    প্রায় ৪ মাসে যে বদলে গেছে পৃথিবীটাই। 
     


    টেস্ট শুরু হলেও এমন দর্শকশূন্যই থাকবে এজিয়েস বোউল


    বায়ো-সিকিউর ভেন্যু, সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য 

    দিনের পর দিন ঘরে আটকে থাকার অন্যতম একটা চিন্তার নাম মানসিক স্বাস্থ্য। কভিড-১৯ আসার পর যখন থেকে বলা হচ্ছিল ঘরে থাকাই নিরাপদ, মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটাও চলে আসছিল সঙ্গে সঙ্গেই। ক্রিকেটে ফেরা নিশ্চিতভাবেই ক্রিকেটারদের জন্য একটা স্বস্তির ব্যাপার। তবে যে অবস্থায় তারা ফিরছেন, তাতে নতুন সঙ্কট তৈরি করতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য। 

    মাঠের লাগোয়া কোনও হোটেল। সেখান থেকে মাঠ, মাঠ থেকে হোটেল। বিধিনিষেধের কড়াকড়ি, বাইরে বেরুনোর তেমন কোনও সুযোগ নেই। নিজের রুম, অনুশীলন, হয়তো হোটেলেই সতীর্থের সঙ্গে সময় কাটানো। এমনকি খেলা শুরুর আগে প্রেস কনফারেন্সও হয়েছে ভার্চুয়ালি। 

    কয়েক দফা কভিড-১৯ টেস্টের ভেতর দিয়ে যেতে হবে ক্রিকেটারদের, এরপর তারা থাকবেন একটা বলয়ের ভেতর। ক্রিকেট মাঠে সাফল্য-ব্যর্থতার পার্থক্য খুবই সূক্ষ্ণ, তবে সেসব থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ‘অফ দ্য ফিল্ড’ কর্মকান্ডের খুব বেশি সুযোগ থাকছে না। স্টুয়ার্ট ব্রড যেমন বলেছেন, হয়তো ম্যাচশেষেও হোটেল থেকে আপনি দেখতে পাচ্ছেন পিচটা, যেখানে একটা বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন। চাইলেও বের হতে পারছেন না সেখান থেকে। 

    সঙ্গে থাকছে দর্শকশূন্যতা, বেন স্টোকসের মতো ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে যেটি সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে, বলা হচ্ছে এমনও। 

    এর মাঝে আবার চোট ছাড়া অসুস্থ হয়ে পড়লে আরেক বিপত্তি, থাকতে হবে নিজের ঘরেই আইসোলেশনে। সে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে দলের মাঝেও। ‘বায়ো-সিকিউর’ ভেন্যুতে ক্রিকেট ফিরছে ঠিকই, তবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আসছে নতুন চ্যালেঞ্জ। 


    ঘামই যখন ভরসা 

    অ্যালেস্টার কুক ইংল্যান্ডের হয়ে এখনও খেললে বলটা হাতঘুরে তার কাছে গেলে তিনি একটু বিপত্তিতেই পড়তেন। বল শার্টের হাতা বা ট্রাউজারসে ঘষার আগে থুতু বা লালা লাগানো বলতে গেলে চিরায়ত অভ্যাস ক্রিকেটারদের, অনেক দলে এসবের জন্য 'স্পেশালিস্ট' ফিল্ডারও থাকেন। কিন্তু এখন তো সেটি নিষিদ্ধ। আপাতত ভরসা ঘাম। কুকের বিপত্তি বাঁধতো সেখানেই, তিনি যে ঘামতেনই না! 

    থুতু বা লালা ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে বেশ ভয়ঙ্কর এক মাধ্যম, আইসিসি তাই আপাতত বলে থুতু বা লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। মাঝে কৃত্রিম কোনও বস্তু ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, সে আলোচনা উঠলেও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। 

    বলের মুভমেন্ট ধরে রাখতে সিমের দুইপাশের ‘সারফেস’-এ একটা ভারসাম্যহীনতা জরুরী, সে কারণেই একদিক মসৃণ রাখার প্রয়োজন পড়ে। সরল কথায় থুতু বা লালা থেকে শুরু করে ঘামের মতো ‘বৈধ’ আর বল টেম্পারিংয়ে যুগে যুগে ব্যবহৃত নানা ‘অবৈধ’ উপকরণ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে এখানেই। অবশ্য শুধু পেসার নয়, থুতু বা লালা নিয়ে বিপত্তিতে পড়তে পারেন স্পিনাররাও। 

    তবে নিষিদ্ধ করলেই তো শুধু হয় না, এর প্রয়োগেও ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়ে। আইসিসি রেখেছে পেনাল্টির নিয়ম। ক্রমাগত বলে থুতু লালা ব্যবহার করলে সে দলকে আগে সতর্ক করবেন আম্পায়াররা, এক ইনিংসে দুইবার অফিশিয়াল সতর্কতা দেওয়া হলে আসবে ৫ রানের পেনাল্টি। 

    সম্প্রতি নিজেদের মাঝে প্রস্তুতি ম্যাচে ইংলিশ পেসার প্রায় সবার মাথাতেই দেখা গেছে হেডব্যান্ড। হতে পারে লকডাউনে চুল ছাঁটার পরিবেশ পাননি তারা, কিংবা ঘাম আটকে রাখার কোনও টেকনিক সেটি!
     

     
    'দ্য নিউ নরমাল'


    নিরপেক্ষ স্থানীয় আম্পায়ার 

    ইমরান খান এখনও মনে করতে পারেন বলের গতিপথটা। আউটসুইং করতে চেয়েছিলেন, তবে সিমে পড়ার পর বলটা ঢুকলো ভেতরের দিকে। ভিভ রিচার্ডসের প্যাডে আছড়ে পড়লো সেটা। তবে আম্পায়ার ইমরানের আবেদনে সাড়া দেওয়া দূরে থাক, তার দিকে সরাসরি তাকালেনই না! 

    প্রায় এক দশক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘরের মাটিতে কোনও টেস্ট না হেরেই পার করেছিল, অবসর ভেঙে ফিরে আসা ইমরানের দল সিরিজের প্রথম টেস্ট হারিয়ে দিয়েছিল তাদের। দ্বিতীয় টেস্টেও নড়বড়ে অবস্থায় এসেছিলেন অধিনায়ক রিচার্ডস, তার উইকেট পাকিস্তানকে নিয়ে যেতে পারতো ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের দিকে। সেটি হলো না। পরের টেস্টেও আম্পায়ারের দিকে ছুটে আসছেন পাকিস্তানিরা, ফুটেজ দেখা যায় এমন। 

    ২০১০ সালে এমসিসির স্পিরিট অফ ক্রিকেট কলিন কাউড্রি লেকচারে ইমরান বলছিলেন, সেই ডেলিভারিটা চোখে ভাসে তার, যেন গতকালের ঘটনা। বলটা রিচার্ডসের লেগ আর অফস্টাম্প মিস করে যাচ্ছে, কিন্তু আছড়ে পড়ছে মিডল স্টাম্পে! ইমরান বরাবরই নিরপেক্ষ আম্পায়ারের কথা বলে এসেছিলেন, বলা যায়, প্রথম সে কথা তুলেছিলেন তিনিই। 

    ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সিরিজে দুই ইংলিশ আম্পায়ারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি, ১৯৯২ সালে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের প্রথা চালু করে আইসিসি। দুই বছর পর অফিশিয়ালি এ নিয়ম চালু করে তারা-- প্রতি টেস্টে একজন করে নিরপেক্ষ আম্পায়ার। অবশ্য টেস্টে প্রথম দুই নিরপেক্ষ আম্পায়ার প্রথম দেখা গিয়েছিল ১৯৮৬ সালে, লাহোরে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে ছিলেন দুই ভারতীয় আম্পায়ার-- ভিকে রামাস্বামী ও পিলু রিপোর্টার। ২০০২ সাল থেকে টেস্টে ২ জন অন-ফিল্ড আম্পায়ারই নিরপেক্ষ। ডিআরএস আসার পর থেকে সাধারণত টিভি আম্পায়ারও থাকেন নিরপেক্ষই। 
     


    সংবাদ সম্মেলন


    তবে ৮ জুলাই ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনফিল্ডে দাঁড়াবেন রিচার্ড ইলিংওর্থ ও রিচার্ড কেটেলবোরো, টিভি আম্পায়ার থাকবেন মাইকেল গফ-- তিনজনই ইংল্যান্ডের। লজিস্টিক ও ভ্রমণের চ্যালেঞ্জের কারণে আপাতত স্থানীয় আম্পায়ার দিয়েই কাজ চালাবে আইসিসি। 

    ইংল্যান্ড অবশ্য তিনজন এলিট প্যানেলের আম্পায়ারের সুবিধা পাবে, অস্ট্রেলিয়াও তাই। জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান ছাড়া বাকি টেস্টখেলুড়ে দেশগুলির এলিট প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার আছেন একজন করে, সেক্ষেত্রে তাদের কাজ চালাতে হবে ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল থেকে। অবশ্য আম্পায়ারিংয়ের মানের কথা চিন্তা করে ডিআরএসের সংখ্যাও বাড়িয়েছে আইসিসি, এখন থেকে প্রতি ইনিংসে তিনটি করে ব্যর্থ রিভিউয়ের সুযোগ পাবে দলগুলি টেস্টে। 

     

    ক্যাপ, প্লিজ? না!

    কার ক্যাপ সবচেয়ে বেশি ঘামে? সাইমন টউফেল বলেছিলেন, চামিন্দা ভাসের। টউফেলের সেটি জানার কথা। ওভারের পর ওভার সে ক্যাপ বা হ্যাট তো ধরে থাকতে হয়েছে তাকে। সঙ্গে আছে সুয়েটার, সানগ্লাস। বিলি বাউডেন যেমন হাত দিয়ে সুয়েটার ধরে রাখতে পারতেন না, তাই বেঁধে রাখতেন কোমরের কাছে। অনেক আম্পায়ারের ট্রাউজারসে বাড়তি ক্লিপ থাকতো, ক্যাপ ধরে রাখার জন্য। আলিম দার আবার সেটি রাখতেন পকেটে, ভাঁজ করে। 

    আপাতত এমন সব দৃশ্য দেখা যাবে না। নিরাপত্তার কথা ভেবে আইসিসি বোলার-ফিল্ডারদের ক্যাপ-সুয়েটার-সানগ্লাস বা এ ধরনের কিছু আম্পায়ারকে দিতে নিষেধ করেছে। আম্পায়ারদের তাই এখন বলা যায় ঝাড়া হাত-পা! 

    সেসবের অনুশীলনও অবশ্য হয়ে গেছে একচোট। 

    ইংল্যান্ডের স্কোয়াডের মাঝে প্রস্তুতি ম্যাচে যেমন ছিলেন রিচার্ড কেটেলবোরো। জ্যাক লিচ এক ওভার শুরুর আগে অভ্যাসবশত ক্যাপটা এগিয়ে দিলেন তার দিকে। বোলিং শুরুর আগে ক্যাপটা জমা রাখবেন আম্পায়ারের কাছে। কেটেলবোরো হাত সরিয়ে নিয়ে একটা হাসি দিলেন। লিচেরও মনে পড়ে গেল, এমন আর করা যাবে না। মিড-অন বা মিড-অফে দাঁড়ানো ফিল্ডারের শরণাপণ্ণ হতে হলো লিচকে। 

    সঙ্গে মাঠের পাশেই থাকবে স্যানিটাইজেশন স্ট্যান্ড। যেখানে গিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করবেন ক্রিকেটাররা। উদযাপনে হাই-ফাইভ বা জড়িয়ে ধরা চলবে না, সেখানে ব্যবহার করতে হবে কনুই। 

    এসবের সঙ্গে টেস্ট শার্টেও আসছে আরেকটা পরিবর্তন। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হওয়ার পর থেকে টেস্টের জার্সিতে বদল এসেছে, সাদা পোশাকেও এখন থেকে নাম ও জার্সি নম্বর আছে। এবার আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দিতে টেস্ট শার্টে বুকের ওপর স্পন্সরের লোগো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। 

    বুকের ওপর সর্বোচ্চ ৩২ ইঞ্চি সাইজের লোগো থাকছে। আছে আরেকটি নতুন ব্যাপারও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড-- দুই দলই তাদের শার্টের কলারে 'ব্ল্যাক লাইভস মেটার' লোগো পরে নামবে, বিশ্বজুড়ে চলা বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। 
     


    হেডব্যান্ড, শুধুই চুল আটকে রাখার জন্য?


    ভেন্যু তুমি নিরাপদ তো? 

    এখন ৯টি ‘অ্যাকটিভ’ টেস্ট ভেন্যু আছে ইংল্যান্ডের। মৌসুম শুরুর আগে সেগুলোর বিভিন্ন মানদন্ড বিবেচনায় এনে টেস্ট ম্যাচ ভাগ করে দেয় ইসিবি। তবে এই গ্রীষ্মে মাত্র দুটি ভেন্যুতেই তারা সম্পন্ন করছে ৬টি টেস্ট। এজিয়েস বোউল ও ওল্ড ট্রাফোর্ড প্রাধান্য পেয়েছে ‘বায়ো-সিকিউর’ ভেন্যু হিসেবে কাঠামো তৈরি করতে। 

    কভিড-১৯ এর প্রভাবে দেশজুড়ে বিভিন্ন ভেন্যুতে ঘুরে বেড়িয়ে টেস্ট ম্যাচের চিন্তা থেকে আপাতত তাই সরে এসেছে ইসিবি। নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার মতো দেশ-- যেখানে কভিড-১৯ কে মোটামুটি প্রতিহত করা গেছে-- এগিয়ে আসতে পারে নিরপেক্ষ ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রেও। 

    সেদিক দিয়ে বাংলাদেশের ভাবনা অবশ্য খুব বেশি নেই, কারণ এখানে টেস্ট হয় এমন নিয়মিত ভেন্যু তো মোট দুটি আপাতত। তবে সেগুলোকেও ‘বায়ো-সিকিউর’ করে তুলতে পারা যাবে কতোদিনের মাঝে, প্রশ্ন সেটিই। 


    টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ানডে লিগের ভবিষ্যত কী?

    টেস্ট সিরিজগুলিকে বাড়তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা যোগ করতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আওতায় এনেছিল আইসিসি। তবে একের পর এক সিরিজ বাতিল হয়ে গেছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ভবিষ্যত তাই পড়ে গেছে সঙ্কটের মাঝে। অন্তত এ সাইকেলে স্থগিত হয়ে যাওয়া সিরিজগুলির কতোটি পুনরায় হতে পারবে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। 

    একই অবস্থা ওয়ানডে লিগের ক্ষেত্রেও। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের একটা ধাপ হিসেবে ওয়ানডে সিরিজগুলিকে একটা লিগের মাঝে এনেছে আইসিসি, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মতো আঘাত লেগেছে সে লিগেও। 

    সঙ্গে আছে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট নিয়ে ভাবনা। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বা পরের বছরের উইমেনস বিশ্বকাপ, বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব টুর্নামেন্ট কতোখানি সম্ভব, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে তাই।