সাউদাম্পটনের মতো হুট করে আঁধার নামলো পাকিস্তান ইনিংসেও
পাকিস্তান ১ম ইনিংস ১২৬/৫* (আবিদ ৬০, বাবর ২৫*, অ্যান্ডারসন ২/৩৫, কারান ১/২৩, ব্রড ১/৩১)
চিরায়ত ইংল্যান্ডের আবহাওয়া-- এই রোদ, এই বৃষ্টি। সকালে ঝকঝকে রোদ দেখে শেন ওয়ার্ন বলছিলেন, তার মনে হচ্ছে তিনি যেন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। ওয়ার্ন আদতে ছিলেন তার আরেক ঘর-- হ্যাম্পশায়ারারের সাউদাম্পনে। সকালের রোদ মিলিয়ে গেল, নিকষ কালো আঁধারে ছেয়ে গেল যেন চারপাশ। এর মাঝে বেশ কয়েকবার বিরতি দিয়ে, লাঞ্চ আর চা-বিরতি আগেভাগে নিয়েও দিনে খেলা হতে পারলো ৪৫.৪ ওভার। আর তাতে হুট করে আঁধারে ডুব দিল পাকিস্তানও। ১০২ রানে ২ উইকেট থেকে তারা পরিণত হলো ১২০ রানে ৫ উইকেটে, আবারও বৃষ্টি এসে যেন একটু স্বস্তিই দিল তাদের।
অথচ একসময় ইংল্যান্ড তাদেরকে যেভাবে সুযোগ দিয়েছিল, সেসব ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে ঝকঝকে রোদ থাকার কথা ছিল তাদের ইনিংসেও! কিন্তু দিনশেষে ১২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ঠিকই ধুঁকছে তারা।
সাউদাম্পটনে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন আজহার আলি, অনুমিতভাবেই। নিজের ওল্ড ট্রাফোর্ডের ভূত তাড়াতে জেমস অ্যান্ডারসন সময় নিলেন ৮ বল। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান মাসুদ লেগস্টাম্পে পড়া বলের লাইনে ব্যাট নিয়ে আসার আগেই মৃত্যুঘন্টা শুনতে পেলেন।
আবিদ আলি সুযোগ পেলেন ইংল্যান্ডের পিচ্ছিল স্লিপ কর্ডনে, দুইবার। প্রথমে ব্রডের বলে ক্যাচ ছাড়লেন ডম সিবলি, এরপর ক্রিস ওকসের বলে ররি বার্নস। আজহার আলি বাঁচলেন ওকসের বলে ইনসাইড-এজের পর স্টাম্পে লেগেও বল বেইলস না ফেলতে পারায়। এর মাঝে থাকলো এজ ক্যারি না করা, ব্যাটের এজ বারবার ফাঁকি দেওয়া।
আজহারকে অবশেষে ফেরালেন অ্যান্ডারসন, এবার আর ভুল করলেন না বার্নস। আবিদের সঙ্গে এর আগে পাকিস্তান অধিনায়কের জুটিতে উঠেছে ৭২ রান, পাকিস্তান তখনও মোটামুটি ভাল অবস্থাতেই ছিল। তবে ইংলিশ পেসারদের বোলিং বলছিল, শুধু বাঁধটা ভাঙার অপেক্ষা যেন।
বাবর আজমের সঙ্গে আবিদের জুটিতে এলো ২৪ রান, ফিফটির পর স্যাম কারানের বলে এজড হয়ে স্লিপে বার্নসের হাতে ধরা পড়লেন তিনিও। ফিফটি করেছেন, কঠিন কন্ডিশনে ঝুলে ছিলেন বেশ কিছুক্ষণই। এরপর ফিরলেন আসাদ শফিক, ব্রডের লাইন ধরে রাখা বলে এজড হয়ে। এবার স্লিপে দায়মোচনের সুযোগ পেলেন সিবলি।
ফাওয়াদ আলম এলেন, ১০ বছর ২৫৯ দিন পর আবারও পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলতে নামলেন তিনি। তবে এতো বছরের অপেক্ষা শেষ হলো ৪ বল আর শূন্য রানের তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়েই। তার স্ট্যান্স নজর কাড়লো, তবে ওইটুকুই। ওকসের বলে তিনিও ব্যাট আনতে পারলেন না সময়মতো, উইকেটটা অবশ্য ইংল্যান্ড পেলো রিভিউ নিয়ে।
খানিক বাদেই আরেকদফা নামলো বৃষ্টি, যে বিরতির পর আর শুরু হতে পারেনি খেলা। পাকিস্তানের আশা হয়ে টিকে আছেন বাবর আজম, তার সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান।