• ইউএস ওপেন
  • " />

     

    আজারেনকাকে হারিয়ে ইউএস ওপেন জিতলেন জাপানের ওসাকা

    আজারেনকাকে হারিয়ে ইউএস ওপেন জিতলেন জাপানের ওসাকা    

    ঠিক যে ব্যবধানে সেরেনা উইলিয়ামসকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে এসেছিলেন ভিক্টোরিয়া আজারেনকা, সেই ব্যবধানেই ফাইনালে তাকে হারিয়ে দিলেন জাপানের নাওমি ওসাকা। প্রথম সেট দুর্দান্ত দাপটে ৬-১ এ জিতে নেওয়ার পর ৩-৬ ব্যবধানে হারলেন পরের দুই সেট। আর ২০১৮ সালে ইউএস ওপেন দিয়ে গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপার খাতা খোলা ওসাকা এক বছর বিরতি দিয়ে আবারও ফ্ল্যাশিং মিডোসে জয়োৎসব করলেন। এই নিয়ে তিনবার গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে উঠে তিনবারই শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন ২২ বছর বয়সী ওসাকা। 


    প্রথম সেটে বেলারুশের আজারেনকা দারুণ খেলেছিলেন, তার চেয়ে নয় বছরের ছোট ওসাকাকে কোনো সুযোগ দেননি তিনি। দোর্দণ্ড প্রতাপে প্রথম সেট ৬-১ ব্যবধানে জিতে নেন আজারেনকা। দ্বিতীয় সেটেও সেই ধারা অব্যাহত রাখেন তিনি, ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগেনি তার। তবে এরপরই খেলায় ফেরেন ওসাকা। খাদের কিনারা থেকে উঠে এসে সেই সেট এবং পরের সেট দুটিই ৬-৩ ব্যবধানে জিতে নিয়েছেন ওসাকা।

    ২০১৮ ইউএস ওপেন এবং ২০১৯ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর এটি ওসাকার তৃতীয় গ্র্যান্ডস্লাম। নিজের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের মুহূর্তটি ঠিকঠাক উপভোগ করতে পারেননি তিনি। ২০১৮ সালের ফাইনালে ম্যাচ অফিসিয়ালের সঙ্গে সেরেনার বাক-বিতন্ডা অন্য প্রান্তে দাড়িয়ে দেখেছিলেন তিনি। পরে আবার দর্শকরা দুয়ো দিয়েছিলেন, ওসাকা পরে কেঁদেও দিয়েছিলেন একটা পর্যায়ে। জিতলেও সেই বিতর্কের কারণে প্রথম গ্র্যান্ডস্লামের আনন্দ ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে গিয়েছিল অনেকটাই। এবারও ফাঁকা কোর্টে গ্র্যান্ডস্লাম জিতলেন, সামাজিক দূরত্বের কারণে ট্রফিও নিজের হাতেই টেবিল থেকে তুলে নিতে হয়েছে। সবমিলিয়ে সেই ম্যাড়ম্যাড়ে ভাবটা কাটেনি পুরোপুরি।

    ম্যাচের পর আজারেনকার বিপক্ষে খেলা বেশ কঠিন ছিল বলে জানিয়েছেন ওসাকা, “আমি তোমার (আজারেনকা) সাথে আর কোনো ফাইনাল খেলতে চাই না। আমি আসলেই উপভোগ করিনি, এটা খুবই কঠিন ম্যাচ ছিল। তবে তার বিপক্ষে খেলাটা অনেক অনুপ্রেরণাদায়ী ছিল, কারণ ছোটবেলা থেকে তোমার খেলা দেখে এসেছি। আমি অনেক কিছু শিখেছি, তাই ধন্যবাদ।”


    এদিকে এবারের ইউএস ওপেনে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে আগেই আলোচনায় এসেছিলেন ওসাকা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অভিনব পন্থা হিসেবে ফাইনাল পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে তার খেলা সাত ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নিহত সাত ব্যক্তির নাম সম্বলিত মাস্ক পরেন তিনি। তার এই প্রতিবাদ সব মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।