ইউএস ওপেনের নতুন রাজা ডমিনিক থিম
গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টে আগেও তিনবার ফাইনালে উঠেছিলেন অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থিম। তবে ফ্রেঞ্চ দুইবার রাফায়েল নাদাল আর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে একবার নোভাক জোকোভিচের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। এবার ইউএস ওপেনে নাদাল অংশই নেননি। আর আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় 'অযোগ্য' হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছেন জোকোভিচ। এটা তাই আক্ষরিক অর্থেই থিমের জন্য ছিল গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের সেরা সুযোগ। আর সুযোগটি দুহাত ভরে গ্রহণ করে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জিতলেন থিম।
ফ্ল্যাশিং মিডোসে জার্মানির অ্যালেক্সান্ডার জভেরেভের কাছে প্রথম দুই সেট ২-৬ এবং ৪-৬ হেরে গেলেও দারুণ মনোবল দেখিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ম্যাচের তৃতীয় ও চতুর্থ সেট যথাক্রমে ৬-৪ এবং ৬-৩ এ জিতে নেন। আর দুর্দান্ত থিম শেষ সেটে জভেরভকে টাইব্রেকারে ৭-৬ (৮-৬) এ হারিয়ে ইউএস ওপেন শিরোপা নিজের করে নিয়েছেন।
পাঁচ সেটের ফাইনাল জিতেই কোর্টে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়েন থিম। দীর্ঘ অপেক্ষার পর জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নপূরণের মুহূর্তটিকে শান্ত চিত্তে অনুভবের জন্যই সেটা করেছিলেন। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ট্রফি সামনে নিয়ে জানালেন এটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল, “আমি জীবনের একটা বড় লক্ষ্য অর্জন করেছি, আমার অনেক,অনেক বছরের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। চারটি গ্র্যান্ডস্লামের একটি জেতার জন্য আমি আমার পুরো জীবনকে উৎসর্গ করেছিলাম।”
২৩ বছর বয়সী জভেরভের এটি ছিল প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল। মূলত অভিজ্ঞতার কাছেই মার খেয়ে গেছেন এই তরুণ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্নায়ু ধরে রাখতে পারেননি তিনি, তাই তো হাত ছোঁয়া দূরত্বে থাকা গ্র্যান্ডস্লামটি ছুঁয়ে দেখা হল না তার। তবে ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ থিমের কাছ থেকে প্রশংসার বাণী শুনেছেন এই জার্মান তরুণ, “আমরা দুজনই যদি জয়ী হতে পারতাম তাহলে ভালো হত। আমাদের দুজনেরই এটা প্রাপ্য।”