অবিশ্বাস্য জয়ে ওমানের ইতিহাস
১৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছিল মাত্র ৯০। ৬ ওভারে তখনো দরকার ৬৫ রান। ওমানের মতো নবিশ একটা দেশের জন্য সেটা মোটামুটি অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টে ওঠার মতোই। কিন্তু অবিশ্বাস্য এক ম্যাচে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দিল ২ উইকেটে।
শেষ ওভারে যখন ১৪ রান দরকার ছিল, তখনো তো ম্যাচটা আয়ারল্যান্ডের দিকেই হেলে আছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু প্রথম বলেই সরেনসেন নো বলসহ চার রান দিয়ে দেন। সেখান থেকে চার বলে চার রান হয়ে হঠাৎ করেই ম্যাচটা ওমানের হাতের মুঠোয়। কিন্তু আবারও নাটক, আমির আলীর ১৭ বলে ৩২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটল আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে। ক্রিজে তখন ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান, ওমানের জয়ের জন্য দরকার ২ বলে ৩ রান। সরেনসেন এবারও নো বল করলেন, উইকেটকীপারের পা গলে সেটা মাঠের বাইরে। ওমান পেয়ে গেল অসাধারণ এক জয়।
তাঁর আগে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড ভালোই শুরু করেছিল। কিন্তু দলীয় ৪৮ রানের সময় জীশান মাকসুদের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে আউট হয়ে ফিরে যান স্টার্লিং। পরে ব্যাট হাতে এই মাকসুদই ৩৮ রান করে পথ দেখিয়েছেন ওমানকে। অসাধারণ এক ম্যাচে রোমাঞ্চটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন গ্যারি উইলসন। আমির আলীর নিশ্চিত একটা ছক্কা ঠেকিয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছেন ৫ রান। তার আগে অবশ্য আয়ারল্যান্ডের ১৫৪ রানটাই জয়ের জন্য যথেষ্ট মনে হচ্ছিল। কিন্তু কে জানত, যে কোনো ধরণের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে এসে ওমান এভাবে চমকে দেবে! বাংলাদেশকেও বড় একটা বার্তা দিয়ে রাখল, জানিয়ে দিল মাশরাফিদের শেষ ম্যাচটা সহজ হবে না মোটেই।