সেই ১৯ জনে বাংলাদেশের জয়জয়কার
একটা সময় যেটা শুরু হয়েছিল খেলাচ্ছলে, সেটাই আজ হয়ে গেছে মহীরুহ। সেই ২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর। দক্ষিণ আফ্রিকার ওই বিশ্বকাপের অনেকেই এখন ব্যাট-প্যাড তুলে রেখেছেন। এর পর ২০০৯, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ সালের পর এই বছর আবার ফিরে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে প্রথম বিশ্বকাপের ১৯ জন আছেন আসরে। আর সেখানে বাংলাদেশিদেরই জয়জয়কার।
২০০৭ সালের প্রথম আসরটাই বাংলাদেশের জন্য যা সুখস্মৃতি হয়ে আছে। ওই বার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে চমকেই দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দলের পাঁচজন আছেন এখনও। মাশরাফি বিন মুর্তজা তো আছেন অধিনায়ক হিসেবেই। ওই সময়ের কুঁড়ি হয়ে উঠতে থাকা সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল এর পর ফুল হয়েই ফুটেছেন। আর মাহমুদউল্লাহ নিজের সুবাসটা ছড়িয়েছেন একটু দেরিতেই। পরের বিশ্বকাপেও মাশরাফি ছাড়া বাকিদের কেউ না থাকলে সেটা বিস্ময়ের হবে।
ওই বিশ্বকাপের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের তিনজন আছেন এবারও। টি-টোয়েন্টির ধুন্দুমার ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ক্রিস গেইলের নামটা এখন সমার্থকই হয়ে গেছে। ডোয়াইন ব্রাভোও এখন ছোট ক্রিকেটের ভাড়াটে যোদ্ধাদের মধ্যে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্নদের একজন। আরেক জনের নামটা অনেকেই হয়ত ভুলে গেছেন, দীনেশ রামদীন আছেন এবারও।
ভারতের যে তিনজন আছেন, একজনের নাম সবার আগে মনে আসবে। মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতেই প্রথমবারের শিরোপা উঠেছিল, এবার ভারত অধিনায়ক সেটি দেশের মাটিতেই পেতে চাইবেন। যুবরাজ সিংয়ের এবার থাকাটা বরং একটু বিস্ময়ের, মধ্যে তো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার এই অলরাউন্ডারের শেষ হয়ে গেছে বলেই মনে হয়েছিল। তখনকার নবীন রোহিত শর্মা এখন ব্যাটিংয়ে ভারতের সবচেয়ে বড় ভরসা।
ওই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুজন করে আছেন এবার। রস টেলর এখন কিউই ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ, আর নাথান মাককালাম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের সফলতম বোলার। দক্ষিণ আফ্রিকার একজনের নামটা সবাই জানেন, এবি ডি ভিলিয়ার্সকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। জেপি ডুমিনিও খেলে ফেলছেন টানা ষষ্ঠ আসর।
দুজন করে আছেন শ্রীলঙ্কার। খুব সম্ভবত দুজনেরই এটাই শেষ বিশ্বকাপ। লাসিথ মালিঙ্গা এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই শ্রীলঙ্কার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। চার বছর পর আরেকটি আসরে তাঁর খেলাটা চমকই হবে। যেমন হবে দীর্ঘদিন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের ভার নিজের কাঁধে বয়ে নিয়ে বেড়ানো তিলকরত্নে দিলশানের।
অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের একজন আছেন এবার। দুজনেই অলরাউন্ডার, দুজনেই দলের ভরসা। শহীদ আফ্রিদি এখন শুধু টি-টোয়েন্টিই খেলছেন, নিশ্চিতভাবেই এটা তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। শেন ওয়াটসনও এখন বেলা শেষের গান শুনছেন, টেস্ট থেকে অবসরের পর তাঁর মনযোগ এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই।