কম বাজেটের যে ৫ ক্রিকেটার এবার আইপিএলে তুরুপের তাস
ম্যাক্সওয়েল, স্মিথদের মতো বিগ বাজেটের বেশ কিছু ক্রিকেটার এবার আইপিএলে এখন পর্যন্ত আলো ছড়াতে পারেননি। আবার নিলামে অনেক কম দামে বিক্রি হওয়া অনেকে এবার চমকে দিয়েছেন আইপিএলে। এরকম ‘বাজেট’ কিছু ক্রিকেটাররাই এবার পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন। ইএসপিএনক্রিকনফোর চোখে সেরকম পাঁচ ক্রিকেটার...
রাহুল তেওয়াটিয়া, রাজস্থান রয়্যালস, ৩ কোটি রূপি
এখন পর্যন্ত রাজস্থানের হয়ে ১১ ম্যাচে তেওয়াটিয়ার রান ২৪৪, সেটাও প্রায় ৪৪ গড়ে। তার চেয়ে বেশি রান আছে দলের হয়ে শুধু জস বাটলার, স্টিভ স্মিথ ও সাঞ্জু স্যামসনের। তবে তেওয়াটিয়ার স্ট্রাইক রেট বাটলার আর স্মিথের চেয়ে বেশি। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, পাঞ্জাব আর হায়দরাবাদের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ জিতিয়েছেন অনেকটা একাই। আর বল হাতেও প্রায় সমান কার্যকর। এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ৭ উইকেট, দলে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে শুধু জফরা আর্চারের। তার ইকোনমি রেটও দলের দ্বিতীয় সেরা।
ইসিরু উদানা, রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরু, ৫০ লাখ
এবারের আইপিএলে যখন তাকে বেস প্রাইস ৫০ লাখে বেঙ্গালুরু কিনে নিল, উদানা নিজেও বোধ হয় ভাবেননি প্রথম ১০ ম্যাচের মধ্যে আটটিতেই শুরু করবেন। শ্রীলংকান এই বোলার বিপিএলে ডেথ বোলিংয়ে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছিলেন, এবার বেঙ্গালুরুর ডেথ ওভারে কমিয়ে দিয়েছেন দুশ্চিন্তা। বিশেষ করে প্রথম দুই ম্যাচে ডেল স্টেইনের খরুচে বোলিংয়ের পর কপাল খুলে গেছে তার। শেষ ওভারগুলোতে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল করেছেন, আর দ্বিতীয় সেরা ইকোনমি রেটও তার। উইকেট খুব বেশি পাননি, তবে যেগুলো পেয়েছেন সেগুলো ছিল মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। মুম্বাইয়ের ইশান কিশানকে ৯৯ রানে আটকে দেওয়া, রাজস্থানের স্মিথ বা কেকেআরের রাসেলের উইকেট ছিল অনেকটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
রবি বিষ্ণয়, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, ২ কোটি রূপি
এই বছর যারা অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দেখেছেন, এই স্পিনারকে মনে থাকার কথা তাদের। ফাইনালেও আকবরদের সামনে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এবারও পাঞ্জাবের হয়ে ৯ উইকেট নিয়েছেন এখন পর্যন্ত, দলের হয়ে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ইকোনমি রেটও আটের ঠিক নিচে। ওয়ার্নার, মরগান, ফিঞ্চ, বেইরস্টোরাও তার লেগ স্পিন বুঝতে না পেরে আউট হয়েছেন।
প্রিয়াম গার্গ, সানজাইরার্স হায়দরাবাদ, ১.৯ কোটি রূপি
বিষ্ণয়দের অধিনায়ক ছিলেন অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। হায়দরাবাদে শুরু থেকেইই লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে হয়েছে। সেজন্য খুব বেশি বল খেলার সুযোগ পাননি, ৯ ম্যাচে ১০৮ রান খুব চোখে পড়ার মতো কিছুও হয়তো নয়। তবে এর মাঝেই দারুণ গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনিংস খেলেছিলেন। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে দলের ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তার ২৬ বলে ৫১ রানের ইনিংসটাই পথ দেখিয়েছিল হায়দরাবাদকে, এনে দিয়েছিল জয়। সঙ্গে দুইটি দুর্দান্ত ক্যাচ ও ডাউইরেক্ট হিটে রানআউটের জন্য ফিল্ডিংয়েও পাচ্ছেন বাড়তি বোনাস।
কার্তিক তেয়াগি, রাজস্থান রয়্যালস, ১.৩ কোটি রূপি
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আরেক আবিষ্কার এই পেসার। ১৪০ এর বেশি গতিতে বল করতে পারেন, হিট দ্য ডেকের সামর্থ্য আছে, ইয়র্কারও দেন ভালো। ৬ অক্টোবর মুম্বাইয়ের বিপক্ষে অভিষেকের পর খেলেছেন সব ম্যাচেই। রাজস্থানের ডেথ বোলিংয়ের বড় ভরসা হয়ে উঠেছেন এখন। শেষের ওভারে এখন পর্যন্ত করেছেন ৩৭ বল, সেখানে নয়ের কম ইকোনমি রেটে বল করেছেন। এমনকি আর্চারের ডেথ ওভারের ইকোনমিও তার চেয়ে বেশি। সাত ম্যাচে যে ছয় উইকেট নিয়েছেন সেগুলোও বড় নাম: কোহলি, বেইরস্টো, ওয়াটসন, আইয়ার, হেটমেয়ার, ডি কক।