ছয় ডাকের ইনিংসে মুশফিক যেখানে প্রথম
জয়কে দিয়ে শুরু, খালেদকে দিয়ে শেষ। মাঝে তামিম, সাকিব, মোসাদ্দেক। এক ইনিংসে পাঁচটি ডাক হলো বাংলাদেশের। পরে এবাদতও করেছেন, তাই ছয় ডাকের বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। এক ইনিংসে ছয়টি ডাক আগেও ছিল বাংলাদেশের। ২০০২ ঢাকাতে (মিরপুরে না, তখন খেলা হতো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে)জার্মেইন লসন একাই গুড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে অলক কাপালিকে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে খালেদ মাসুদ পাইলট, এনামুল হক, তাপস বৈশ্য, তালহা জুবায়েরকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শূন্য রানে। তার আগে মোহাম্মদ আশরাফুল কোনো রান না করে আউট হয়েছিলেন ভাসবার্ট ড্রেকসের বলে। এক ইনিংসে ছয়টি ডাক, টেস্ট ইতিহাসের রেকর্ডও এটা। তবে একক নয়। ১৯৮০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করাচিতে পাকিস্তানের ছয়জন আউট হয়েছিলেন শুন্য রানে। এরপর ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ছয়জন ব্যাটসম্যান কোনো রান না করে ফিরে যান ভারতের বিপক্ষে। এরপর ভারতেরই সেই অভিজ্ঞতা হয় ২০১৪ সালে এসে। ম্যানচেস্টারে স্টুয়ার্ট ব্রডের তোপে কোনো রান না করেই ফিরে গিয়েছিলেন মুরালি বজয়, চেতেশ্বর পূজারা, ভিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার ও পংকজ সিং।
ছয় ডাকে তো বটেই, পাঁচ ডাকের ইনিংসেও সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান মুশফিকুর রহিমের। এখানে আগের রেকর্ড যার ছিল, তিনি কিছুদিন আগেও কাজ করেছেন বাংলাদেশের সাথে। তার চেয়েও মজার ব্যাপার, অ্যাশওয়েল প্রিন্স সেই রেকর্ড করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ২০০৮ সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো রান না করেই ফিরে যান নিল ম্যাকেঞ্জি (তিনিও কিন্তু কাজ করেছেন বাংলাদেশ দলের সাথে)। এরপর সাকিব আল হাসানের পালা। একে একে এবি ডি ভিলিয়ার্স, মরনে মরকেল, মন্ডে জন্ডেকি, মাখায়া এনটনিকে তুলে নেন শূন্য রানে। মধ্যে অবশ্য প্রিন্স করে ফেলেছেন ১৬২, আবার ১১৭ করেছিলেন এখনকার কোচ মার্ক বাউচার। দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৪২৯। এক ইনিংসে পাঁচটি ডাকের ঘটনায় এটাই সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড। বাংলাদেশ সেটা করতে পারেনি, তবে মুশফিক ঠিকই ছাড়িয়ে গেছেন প্রিন্সকে।