• বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ ২০২২
  • " />

     

    ম্যাথিউজ-চান্ডিমালে ক্লান্ত বাংলাদেশ শেষ বিকেলে ফিরিয়ে আনলো ধ্বসের শঙ্কা

    ম্যাথিউজ-চান্ডিমালে ক্লান্ত বাংলাদেশ শেষ বিকেলে ফিরিয়ে আনলো ধ্বসের শঙ্কা    

    ২য় টেস্ট, মিরপুর (টস- শ্রীলঙ্কা/ ব্যাটিং)

    বাংলাদেশ- ৩৬৫ ও ৩৪/৪, ১৩ ওভার ( জয় ১৫, মুশফিক ১৪*, আসিথা ২/১২, রাজিথা ১/১২)

    শ্রীলঙ্কা- ৫০৬, ১৬৫.১ ওভার (ম্যাথিউজ ১৪৫*, চান্ডিমাল ১২৪, করুনারত্নে ৮০,  সাকিব ৫/৯৬, এবাদত ৪/১৪৮)

    বাংলাদেশ ১০৭ রানে পিছিয়ে

    ৪র্থ দিন, স্টাম্পস 

     

    টেস্টের শেষ দিনে টিকে থাকার লড়াই বাংলাদেশকে কম করতে হয়নি নিজেদের স্বল্প সময়ের ইতিহাসে। সেই লড়াইয়ে কাল নামতে হবে আরও একবার। আর সেই লড়াইয়ে আশার আলো মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস আছেন উইকেটে। তবে তাদের কি কাল শুরু থেকে এই লড়াইয়ে শামিল হওয়ার কথা ছিল? পড়ন্ত বিকেলে বাংলাদেশের চিরাচরিত দ্বিতীয় ইনিংসের দৈন্যদশা ফিরে না এলে তো তাদের সাতসকালে বিপদ পাড়ি দেওয়ার কথা মাথায় নিয়ে আজ ঘুমাতে যেতে হত না। পুরো দিন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও দিনেশ চান্ডিমালের ব্যাটের কাছে অসহায় হয়ে থাকার শেষ বিকেলে বাংলাদেশের শিরদাঁড়ায় কাপন ধরিয়ে দিলেন কাসুন রাজিথা-আসিথা ফার্নান্দো জুটি। 

    বিকেলে নেমেই জবুথবু ছিলেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়। জয় তো বেশ কয়েকবার শরীর থেকে দূরে ব্যাট চালিয়ে বেঁচে গিয়েছেন, একবার ব্যাটের কানা চুমু খেয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে বল চলে গেলেও আবেদন করেনি কেউ, আরেকবার তো পড়ল তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ। অন্য প্রান্তে রানের খাতা খোলার আগেই আসিথার শিকার হয়ে নিজের টেস্ট কারিয়ারে প্রথমবারের মত পেয়ারের শিকার হন তামিম। উইকেটে এসে কিছুক্ষণ পরেই রান আউট হয়ে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিমের পর রাজিথার শিকার হয়ে পেয়ারের শিকার হন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকও। উইকেটে ধুঁকতে থাকার পর জয়ের ভোগান্তির অবসান এরপর ঘটান আসিথা। বাকি বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে মুশফিক ও লিটনকে খুঁজতে হচ্ছে পঞ্চম দিনে ম্যাচ বাঁচানোর পথ।

    সেই পথটা দিনের প্রথমাংশেই বন্ধুর করে তুলেছিলেন ম্যাথিউজ-চান্ডিমাল জুটি। সকালে রিভিউ নিয়ে চান্ডিমাল বেঁচে যাওয়ার পর অনুমিতভাবেই পূর্ণ করেন তার ফিফটি। অন্য প্রান্তে আর একবার ফিফটি পূর্ণ করা ম্যাথিউজ দলকে ৩৬৯ রানে নিয়ে যেয়ে লাঞ্চে যান উইকেট শুন্য এক সেশন শেষে। লাঞ্চের পর অবশ্য একটু নড়বড়ে ছিলেন দুজনেই। ম্যাথিউজকে আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি, চান্ডিমালের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েও নিরাশ হয়েই থাকতে হয় বাংলাদেশকে। ফলস্বরূপ দুজনেই পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। চা-বিরতিতেও অবিচ্ছিন্ন থেকেই ড্রেসিং রুমে যায় এই জুটি। 

    চা-বিরতির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিরুপ বোলিংয়ের মাঝে কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন সাকিব। সাথে এবাদত মাঝেমধ্যে দেখিয়েছিলেন ঝলক। বিরতির পর ওই এবাদতের হাত ধরেই ভাঙে ১৯৯ রানের জুটি;  ১২৪ রানের দারুণ এক ইনিংস শেষে ফেরেন চান্ডিমাল। এরপর উইকেটের পেছনে লিটনের তালুবন্দি করে সাকিব ডিকওয়েলাকে ফেরানোর পর শেষ ৩ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন সাকিব-এবাদত, সেটাও মাত্র ৫ রানের মধ্যেই। আর সাকিব ১৯তম বারের মত টেস্টে পেয়ে যান ৫ উইকেটের দেখা। তবে দিনের শেষার্ধে এসে সেটার অনুভুতি বোধহয় একেবারেই ম্লান হয়ে গিয়েছে সাকিবের।