• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ, ২০২২
  • " />

     

    সাকিবের রেকর্ডের দিনে 'পাওয়েল পাওয়ার', কারিগর কিং' দিলেন টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের দীক্ষা

    সাকিবের রেকর্ডের দিনে 'পাওয়েল পাওয়ার', কারিগর কিং' দিলেন টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের দীক্ষা    

    ২য় টি-টোয়েন্টি, রোজো (টস- ও. ইন্ডিজ/ ব্যাটিং)
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১৯৩/৫, ২০ ওভার (পাওয়েল ৬১*, কিং ৫৭, পুরান ৩৪, শরিফুল ২/৪০, মোসাদ্দেক ১/০, মাহেদি ১/৩১)
    বাংলাদেশ- ১৫৮/৬, ২০ ওভার (সাকিব ৬৮*, আফিফ ৩৪, মোসাদ্দেক ১৫, শেফার্ড ২/২৮, ম্যাকয় ২/৩৭, আকিল ১/২৭)
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৫ রানে জয়ী

     

    বিদেশের মাটিতে আরও একটি টি-টোয়েন্টি, আরও একবার খাবি খাওয়ার সেই পুরনো নিদর্শন স্থাপন করল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ইনিংস কীভাবে আগাতে হয় সেই দীক্ষা দিলেন ব্র্যান্ডন কিং; আর শেষের ওভারে কীভাবে ঝড় তুলতে হয় তা হাতেকলমে শেখালেন রভম্যান পাওয়েল। সেই শিক্ষার কোনও প্রতিফলন অবশ্য মিলল না বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও বাংলাদেশ হাপিত্যেশ করে মরল। সাকিব শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে হয়ত রেকর্ড গড়েছেন, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই মাঠে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার পর অসহায় আত্মসমর্পণি করেছে বাংলাদেশ আসলে।

    কিংয়ের নোঙর পাতার পর পাওয়েল পাওয়ারের প্রদর্শনী

    পাওয়ারপ্লের মধ্যেই বাংলাদেশ তুলে নিয়েছিল ২ উইকেট। তবে তাতে বিচলিত না হয়ে কিং খেলে যান নিজ গতিতে। পাওয়ারপ্লেতে দলকে ৪৬ রান এনে দেওয়ার পর অধিনায়ক পুরানের সাথে দারুণ গতিতেই আগাচ্ছিলেন। তবে ১৩তম ওভারে এসে উইকেট মেইডেন দিয়ে বসেন মোসাদ্দেক। ১৩ ওভার শেষে রান যখন ১০০ আর উইকেটে নতুন ব্যাটার তখনও বোধহয় বাংলাদেশ ভাবেনি কী হতে যাচ্ছে। কিং নিজের ৩য় ফিফটি পেলেন। তবে অন্য প্রান্তে পাওয়েল এসে তুলোধোনা করলেন পেসারদের। সাকিব আর তাসকিনকে বিশেষ করে নিলেন এক হাত। শরিফুলের আঘাতে ৫৭ রানে কিং ফেরার পরের বলেই ২০ বলে পাওয়েল পূর্ণ করেন ফিফটি। শেষ ৭ ওভারে ৯৩ রান তুলতে মুখ্য অবদান রেখে পাওয়েল অপরাজিত থাকেন ২৮ বলে ৬১* রানে।

    পাওয়ারপ্লে বিপত্তি ও দুই ক্যারিবিয়ান স্পিনারের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের বিপদ

    পাওয়ারপ্লেতেই দুই ওপেনার ফেরার পরে ফিরেছিলেন মাহমুদউল্লাহও। সাকিব এদিন তাই দেখেশুনে খেলার সিদ্ধান্ত নেন; আর আক্রমণের দায়িত্ব নেন আফিফ। তবে ২৭ বলে ৩৪ রান করে আফিফ বিদায় নিলে ওই পর্যায়ে খেই হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৮ম থেকে ১৫তম ওভারে একেবারেি খোলসবন্দি হয়েছিলেন সাকিব। আকিল ও হেইডেন ওয়ালশের ঘূর্ণিতে অন্য প্রান্তে ফিরেছিলেন নুরুল; মোসাদ্দেক এসেও ছিলেন নিরব। ওই সময়ে মাত্র ৪৬ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ, ম্যাচ থেকেও ছিটকে যায় ওখানেই।

    সাকিবের রেকর্ড, তবে আক্রমণ কি একটু দেরীতেই এলো?

    শেষে যেয়ে সাকিব ঠিকই হাত খুলেছিলেন। ম্যাকয়ের ওপর চড়াও হয়ে ১০ম ফিফটি পেয়েছিলেন ৪৫ বলে। সেই সাথে মাত্র ২য় বাংলাদেশী হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ছুঁয়েছেন ২০০০ রানের মাইলফলক। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০০০ রান ও ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তবে শেষের আক্রমণটা আক্ষেপ বাড়ানো ছাড়া কাজে আসেনি। শেষমেশ ৫২ বলে ৬৮* রানে সাকিব অপরাজিত থাকলেও বাংলাদেশকে বরণ করতে হয়েছে বড় পরাজয়।