আজহারের পর ওয়ার্নারের দিন
সংক্ষিপ্ত স্কোর
৩য় দিন শেষে
পাকিস্তান ১ম ইনিংস ৪৪৩/৯ ডিক্লে (আজহার ২০৫*, হ্যাজলউড ৩/৫০)
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ২৭৮/২ ( ওয়ার্নার ১৪৪, উসমান খাজা ৯৫*, ওয়াহাব রিয়াজ ১/ ৭৭)
দারুণ এক ইনসুইংয়ে ডেভিড ওয়ার্নারকে ‘ক্লিন বোল্ড’ করলেন। ওয়াহাব রিয়াজের মুখে তবুও হাসি নেই। আবারো ‘নো-বল’ করায় বাতিল হয়ে গেলো মহা গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি। শেষ পর্যন্ত এই ওয়ার্নারই সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে মিসবাহর দলকে। আজহার আলির ডাবল সেঞ্চুরির পরেও তাই মেলবোর্ন টেস্টে স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান।
ওয়াহাবের দিনটা একেবারেই ভালো যায়নি। সব মিলিয়ে আজ করেছেন ১০ টি নো-বল। এর মাঝে হয়ে গিয়েছে নো-বলের ‘হ্যাটট্রিক’ও! যদিও শেষে গিয়ে ওয়ার্নারকে ফিরিয়েছেন এই ওয়াহাবই। সাজঘরে ফেরার আগে অবশ্য যা ক্ষতি করার করে গিয়েছেন অজি ওপেনার, প্রায় একশর কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৭তম সেঞ্চুরি। এই বছরের জানুয়ারির পর আবারো টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন, মেলবোর্নে এটিই তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিও বটে। ২০০৩ সালের পর এবারই দুই দলের ওপেনার সেঞ্চুরি করলেন এক টেস্টে। ১৯তম অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ার্নার পূর্ণ করেছেন পাঁচ হাজার রানও।
সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন উসমান খাজাও। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র পাঁচ রান দূরে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মিসবাহ দিনশেষে একটু হতাশই হবেন। প্রতিপক্ষের রানের গতিতে লাগাম দিতে পারেনি তাঁর বোলাররা, আমিরের বলে হাস্যকর এক রিভিউ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন।
যদিও দিনের শুরু থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই রেখেছিল পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান আজহার আলী ও সোহেল খান। দিনের শুরুতে আমির ফিরলেও সোহেল খানকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান আজহার আলী। দুজন মিলে ১১৮ রান তোলার পথে এই বছরে নিজের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিও তুলে নেন আজহার।
প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে এক বছরে দুইবার ডাবল সেঞ্চুরি করলেন তিনি। মেলবোর্নের মাঠে সফরকারী ব্যাটসম্যান হিসেবে ভিভ রিচার্ডসের সর্বোচ রানের ৩২ বছর পুরনো রেকর্ড থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতেই অপ্রত্যাশিতভাবে ইনিংস ঘোষণা করেন মিসবাহ। একটুর জন্য তাই ক্যারিবিয় কিংবদন্তিকে স্পর্শ করতে পারেননি আজহার।