• অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান
  • " />

     

    ওয়ার্নারের রেকর্ডের দিনে রেনশ'র 'প্রথম'

    ওয়ার্নারের রেকর্ডের দিনে রেনশ'র 'প্রথম'    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    প্রথম দিনশেষে

    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ৩৬৫/৩ ( রেনশ' ১৬৭*, ওয়ার্নার ১১৩, ওয়াহাব রিয়াজ ২/৬৩)


    নিজের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে তখন ৯ রান দূরে। মোহাম্মদ আমিরের বল সজোরে এসে হেলমেটে লাগল, আঘাত পেয়ে সাথে সাথেই লুটিয়ে পড়লেন ম্যাট রেনশ’। অপর প্রান্তে থাকা হ্যান্ডসকম্বসহ পাকিস্তানের সবাই ছুটে গেলেন তাঁর দিকে, মাঠে আসলেন অজি চিকিৎসকও। তবে কয়েক মিনিট পরেই উঠে দাঁড়ালেন, হাত তুলে ড্রেসিংরুমকে জানিয়ে দেন, তিনি ঠিক আছেন। এরপর বেশি সময়ক্ষেপণ করেননি, দ্রুতই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তাঁর দুর্দান্ত এক ইনিংসেই সিডনি টেস্টের প্রথম দিন শেষে  রানের পাহাড় করার ইঙ্গিত দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

     

    সেঞ্চুরি পেয়েছেন রেনশ’র ওপেনিং সঙ্গী ডেভিড ওয়ার্নারও।  আজ সকালে তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখেছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের দর্শকরা। মাত্র ৭৮ বলেই তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি। এর মাধ্যমে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিলেন তিনি, বসলেন কিংবদন্তি অজি ক্রিকেটার স্যার ব্র্যাডম্যানের পাশে। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের প্রথম দিনে লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ওয়ার্নার। শেষবার ২০০২ সালে এই মাঠে একইসাথে দুই অজি ওপেনার সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।

     

    লাঞ্চের পর ওয়ার্নার ফিরলেও রেনশ’ ছিলেন অবিচল। গত সিরিজেই অভিষিক্ত এই তরুণের প্রথম তিন ম্যাচ খুব একটা ভালো না কাটলেও আজ ঠিকই নিজের জাত চিনিয়েছেন। একদিকে যখন ওয়ার্নার মারমুখী ছিলেন, ধৈর্যের সাথেই অপর প্রান্ত সামলেছেন। ওয়ার্নারের ফেরার পর অবশ্য খানিকটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই শুরু করেছিলেন। স্মিথ, খাজাকে সঙ্গে গিয়ে অজিদের নিয়ে গিয়েছেন শক্ত অবস্থানে। সেঞ্চুরির পর রেনশ’র ব্যাটের ধার আরও বেশি ভুগিয়েছে মিসবাহর দলকে। অল্প রানের মাঝে খাজা, স্মিথকে ফেরাতে পারলেও কিছুতেই ফেরানো যায়নি রেনশ’কে।

     

    অস্ট্রেলিয়ার ৭ম কনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে তুলে নেওয়া নিজের প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরির দিকেই নিয়ে যাচ্ছেন এই ‘ইংলিশ’ তরুণ। একই সাথে অভিষেক হওয়া পিটার হ্যান্ডসকম্বও দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন তাকে। এই রানের বন্যার মাঝে অবশ্য খুব একটা ভালো করতে পারেননি আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান খাজা ও অধিনায়ক স্মিথ। তবে রেনশ’র ব্যাটিং দেখে দিনশেষে খুব একটা হতাশ হওয়ার কথা নয় দুজনের কারোরই।