তিন আঙুল উঁচিয়েই জবাব মরিনহোর
৫০ বছর অপেক্ষার পর চেলসিকে এনে দিয়েছিলেন বহু আকাঙ্ক্ষিত লিগ শিরোপা। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব ছাড়তে হয় মরিনহোকে। দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নিয়ে ২০১৩ সালে শিরোপা হাতে তোলেন চেলসির কোচ হিসেবে। তবে সাত মাস পর আবারো ৮ বছর আগের পরিণতি। চেলসি থেকে বিদায় নেওয়ার পর হয়েছেন ইউনাইটেডের কোচ। গতকাল স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এফ এ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইউনাইটেড-চেলসি ম্যাচের সময় চেলসি ভক্তদের দুয়ো শুনেছেন, বিশ্বাসঘাতক ‘জুডাস’ উপাধিও পেতে হয়েছে। মরিনহো সব মন্তব্যের জবাবে বলেছেন, এখনো তিনিই চেলসির সেরা কোচ।
চেলসির কোচ থাকার সময় নিজেকে ‘স্পেশাল-ওয়ান’ ঘোষণা দিয়েছিলেন। চেলসি ভক্তরাও তাঁকে একটু ‘স্পেশালই’ ভাবত। তবে সেই দিন আর নেই, এখন তিনি ‘শত্রুপক্ষের’ কোচ। ম্যাচ চলার সময় চতুর্থ রেফারি ও চেলসি কোচ কন্তের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লে দর্শকের একাংশ থেকে ভেসে আসে দুয়ো। অনেকে গালি দিয়েছেন, অনেকেই আবার তাঁকে জুডাসের মতো ‘বিশ্বাসঘাতক’ উপাধিও দিয়েছে! মরিনহো সেই সময় তাঁদের আঙ্গুল দেখিয়ে জানিয়েছেন, কয়বার চেলসিকে শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন!
ম্যাচ শেষে মরিনহো বলেছেন, তিনিই চেলসির সেরা কোচ, “তাঁরা আমাকে যা খুশি বলতে পারে। আমি একজন পেশাদার কোচ, নিজের ক্লাবের পক্ষ নিয়েছি। যতক্ষণ তাঁদের হয়ে কেউ চারবার প্রিমিয়ার লিগ জিততে না পারবে ততক্ষণ আমিই সেরা। যখন কেউ এটা করবে তখন আমি ২য় স্থানে নেমে যাবো, কিন্তু ততদিন এই ‘জুডাস’ এক নাম্বারেই থাকব।”
ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে ইউনাইটেড। ৩৫ মিনিটের সময় হেরেরার লাল কার্ড দেখা নিয়ে তর্কটা ভালোই হয়েছে দুই পক্ষের মাঝে। মরিনহো মনে করেন, ওই ঘটনার পরেই ম্যাচে মোড় ঘুরে গিয়েছে, “হেরেরার কার্ড দেখার আগ পর্যন্ত ম্যাচটা এক রকম ছিল, তাঁর মাঠ ছাড়ার পর আরেক রকম হয়ে গিয়েছে। ওই ঘটনার আগে আমি জয়ের ব্যাপারে ভাবছিলাম। রেফারিকে কিছু বলার নেই। হেরেরার কার্ড দেখার কিছুক্ষণ পরেই র্যাশফোর্ডকে যখন চেলসি অধিনায়ক কাহিল ফাউল করল, তখন তাঁকে কোনো কার্ডই দেখানো হলো না!”