• চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
  • " />

     

    'ফেসবুক-টুইটার থেকে দূরে থাকাটাই ছিল চ্যালেঞ্জ'

    'ফেসবুক-টুইটার থেকে দূরে থাকাটাই ছিল চ্যালেঞ্জ'    

    অধিনায়ক হয়েছেন আড়াই বছর আগেই, তবে সেটি ছিল টেস্টে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিরাট কোহলির এটাই ছিল প্রথম চ্যালেঞ্জ। প্রথম বারেই বিরাট কোহলিকে হাতছানি দিচ্ছে বড় কিছুর। তবে ভারতের অধিনায়ক বলছেন, মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের চ্যালেঞ্জটাই ছিল বড়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রাখাটাই বড় একটা চ্যালেঞ্জ মানছেন।

    পাকিস্তানের সঙ্গে ফাইনালের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে কোহলি সেটিই মনে করিয়ে দিলেন। ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামে তিনি নিয়মিতই হালনাগাদ করেন। তবে এবার সেসব থেকে দূরে থাকতে হয়েছে, জানালেন কোহলি, সত্যি কথা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হেকে দূরে থাকাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এটা হয়তো হাস্যকর শোনাতে পার, কিন্তু এটাই সত্যি। যেখানে মনযোগ, সেখানেই দিতে পেরেছি। নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি ভাবতে পেরেছি। দলের জন্য কী করতে হবে, সেটা নিয়ে ভাবতে পেরেছি।‘

    শুরুটা দারুণ করার পরও দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে হোঁচট খেয়েছিল ভারত। সেখান থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর কাজটা সহজ ছিল না, জানিয়েছেন কোহলি, ‘এরকম একটা বড় টুর্নামেন্টে একটা পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোটাও চ্যালেঞ্জ ছিল। সবকিছুই ঠিক হবে যদি ফোকাসটা ঠিক রাখতে পারেন। কাজটা সহজ নয়, কিন্তু নিজেকে সব কিছু থেকে দূরে রাখতে হয়েছে। এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি, অনেক কিছু সামলাতে পেরেছি। সেটা হবে যখন আপনি সব সমালোচনা থকে দূরে রেখে শুধু খেলা নিয়েই ভাবতে পারবেন।’

    কিন্তু ফাইনালের আগে চাপটা কি বেশি হয়ে যাছে? ভারতের হয়ে আগে সব কিছুই জিতেছেন, তবে অধিনায়ক হিসেবে এটাই তো তাঁর প্রথম বড় পরীক্ষা। কোহলি চাপটা এক দিকে সরিয়ে রাখতে চাইলেন, ‘চেষ্টা করেছি নিজেদের নির্ভার রাখার। তাহলে আমাদের কাজটা অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। চাপ নেওয়ার কোনো চিন্তাই আমাদের মাথায় নেই।’