'নিষেধাজ্ঞার ছয় মাসকে মনে হয়েছে ছয় বছরের মতো'
গত মার্চে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তবে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় বলা ছিল, ছয় মাস পরেই শর্ত সাপেক্ষে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন পাকিস্তান পেসার মোহাম্মদ ইরফান। ছয় মাসের সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবারো ‘মুক্ত’ হয়েছেন ইরফান। পাকিস্তানের এই পেসার জানাচ্ছেন, এই ছয় মাসকে তার মনে হয়েছে ছয় বছরের মতো।
পিএসএল চলার সময়ই স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে পিসিবির জিজ্ঞাসাবাদে ইরফান স্বীকার করেন, ওই সময় জুয়াড়িদের সাথে কথা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু বাবা-মার মৃত্যুর কারণে সেটা বোর্ডকে জানাতে ভুলে গিয়েছিলেন। পরে দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে পিসিবি।
ইরফান বলছেন, এই ছয় মাস অনেক কঠিন সময় পার করেছেন, “ গত ছয় মাস আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। আমার তো মনে হয়েছে ছয় মাস না, ছয় বছর চলে গেছে! আমি ভুল করেছি, স্বীকারও করেছি। কিন্তু স্পট ফিক্সিং করিনি। তবে পরিস্থিতি যে আরও বেশি খারাপ হয়নি এটাই অনেক বড় ব্যাপার আমার কাছে।”
এই ছয় মাসে নিজেকে নতুন করে তৈরি করেছেন ইরফান, “আমি ব্যক্তিগত জিমে নিয়মিত নিজেকে ফিট রাখার জন্য ঘাম ঝরিয়েছি। লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলাম ইচ্ছা করেই। এই ছয় মাসের অনুশীলন আমার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে সাহায্য করবে।”
স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ইরফানের পর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শারজিল খান। গতকাল নিষেধাজ্ঞা নেমে এসেছে খালিদ লতিফের ওপরও। ইরফান মনে করেন, ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞায় তার কোনো ‘সম্মানহানি’ হয়নি, “বোর্ডকে রিপোর্ট না করায় আমি অনুতপ্ত। আমি এখন ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। তবে এখনো আমাকে মানুষ পছন্দ করে। আমি তো জুয়াড়িদের প্রথমেই না বলে দিয়েছিলাম। মা-বাবার মৃত্যুর পর এসব নিয়ে ভাবতে পারিনি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে এসেছি। আরও অনেকদিন ক্রিকেট খেলতে চাই।”
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কায়েদে আজম ট্রফিতে ওয়াপদা দলের হয়ে ক্রিকেটে ফিরবেন ইরফান। এই টুর্নামেন্টে ভালো পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্নও দেখছেন তিনি।