• নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    শুরুতে বোল্ট-সাউদি, শেষে উইলিয়ামসন

    শুরুতে বোল্ট-সাউদি, শেষে উইলিয়ামসন    

    প্রথম দিনশেষে

    ইংল্যান্ড ২০.৪ ওভারে ৫৮ ( ওভারটন ৩৩*, বোল্ট ৬/৩২, সাউদি ৪/২৫)

    নিউজিল্যান্ড ৬৯ ওভারে ১৭৫/৩ ( উইলিয়ামসন ৯১*, অ্যান্ডারসন ২/৩২)

    নিউজিল্যান্ড ১১৭ রানে এগিয়ে


     

    অকল্যান্ডে বার্মি আর্মি তখনো থিতু হয়ে বসতে পারেনি। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৫ রান করা অ্যালিস্টার কুক ফিরলেন ট্রেন্ট বোল্টের বলে। সেই শুরু, এরপর যা হলো তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। ২১ ওভারের মাঝেই অলআউট ইংল্যান্ড, মাত্র ৫৮ রানেই! ব্যাটিংয়ে নেমে কেন উইলিয়ামসনের ৯১ রানের অপরাজিত ইনিংসে প্রথম দিনশেষেই ১১৭ রানের লিড নিয়েছে কিউইরা। 

    নিজেদের মাটিতে প্রথম দিবা রাত্রির টেস্টে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন। প্রতিপক্ষ যে প্রথম সেশনের আগেই গুটিয়ে যাবে, সেটা হয়ত খোদ উইলিয়ামসনও ভাবেননি! বোল্ট-সাউদির বোলিং তোপে দাঁড়াতে পারেননি ইংল্যান্ডের কেউই। প্রথম আট ব্যাটসম্যানের একজন ছুঁয়েছেন দুই অংক, পুরো দলে সে সংখ্যা মাত্র দুই। শূন্য রানে ফিরেছেন রুট, স্টোকসসহ ৫ ব্যাটসম্যান, যা ইংল্যান্ডের হয়ে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি। এর আগে মাত্র ৩ বার এক ইনিংসে ৫ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছিল ইংলিশদের।

     

     

    ২৩ রানের মাথায় মঈন আলি ফিরলে ৮ম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ৬৬ বছর আগে করা নিউজিল্যান্ডের ২৬ রানের সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড তখন চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছিল রুটদের। সেই ‘লজ্জা’ থেকে দলকে উদ্ধার করেন ক্রেইগ ওভারটন। স্রোতের প্রতিকূলে লড়াই করেছেন একাই। ২৫ বলে ৩৩ রানের এক ক্যামিওতে দলের স্কোর ৫০ পেরোয়।  দলীয় স্কোরের ৫৬.৮৯ শতাংশই এসেছে ওভারটনের ব্যাটে, যা নবম ব্যাটসম্যানের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

    ৫৮ রানে থেমেছে ইংল্যান্ডের ইনিংস, যা তাদের ইতিহাসে পঞ্চম সর্বনিম্ন স্কোর। ইংল্যান্ডের ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১২৪ বল, মিনিটের হিসেবে তা ৯৩। প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে কম বলে অলআউট হওয়ার তালিকায় এটি রয়েছে ৫ম স্থানে। বিরতির আগেই অলআউট হয় ইংল্যান্ড, টেস্টের প্রথম সেশনে বিরতির আগে অলআউট হওয়ার ঘটনা এর আগে ঘটেছে মাত্র ৪ বার।

    ৩২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে একাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছেন বোল্ট। বোল্টের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল করেছেন শুধু বোল্ট আর সাউদিই। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে কোনো বোলিং পরিবর্তন না করার এটাই নবম ঘটনা। নিউজিল্যান্ডের জন্য অবশ্য এটাই প্রথম।

    ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটাও কিন্তু ভালো হয়নি। প্রথম বলেই রান আউট হতে পারতেন জিত রাভাল। রান আউটের হাত থেকে বাঁচলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জেমস অ্যান্ডারসনের দারুণ এক আউটসুইংগারে জনি বেইরস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩ রান করে। পরের গল্পটা শুধুই উইলিয়ামসনের।

    দিনের শুরুতে বোল্টের বলে অসাধারন এক ক্যাচে ফিরিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রডকে। ব্যাট হাতেও ব্রড-অ্যান্ডারসনের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন উইলিয়ামসন। ইনজুরির কারণে বোলিংয়ে না আসা বেন স্টোকসের অভাবটা ভালোই ভুগিয়েছে রুটকে। রস টেলর, টম লাথাম বড় স্কোর করতে না পারলেও উইলিয়ামসনকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন। এত হতাশার মাঝেও লাথামকে ফিরিয়ে টেস্টে নিজের ৪০০তম উইকেট পেয়েছেন ব্রড।  ১০ চার ও এক ছয়ে ৯১ রানে অপরাজিত আছেন উইলিয়ামসন, সাথে আছেন ২৪ রান করা নিকলস।