• প্লেয়ার রেটিং
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং : ফ্রান্স-উরুগুয়ে

    প্লেয়ার রেটিং : ফ্রান্স-উরুগুয়ে    

    উরুগুয়ে 

    ফার্নান্দো মুসলেরা ২/১০
    প্রথমার্ধে আত্মবিশ্বাসীই ছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটা ভুল করে বসেছিলেন, সে দফায়ও আঁতোয়া গ্রিযমানই শাস্তিটা দিতে পারতেন, মুসলেরা বেঁচে গেছেন। কিন্তু বেশিক্ষণ নয়, ৬১ সেই গ্রিযমানের শটটা ধরতেই ভুল করলেন। মুসলেরার ভুলে ডুবল উরুগুয়েও।     


    মার্টিন কাসেরেস ৪/১০
    শুরুটা দারুণ করেছিলেন। বেশ কয়েকটি ক্রসও করেছিলেন ডানদিকে। কিন্তু গুরুত্বপুর্ণ সময়ে দলকে সাহায্য করতে পারেননি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর পথ হারিয়েছেন তিনি।   

    হোসে মারিয়া হিমেনেজ ৬/১০
    রক্ষণে তেমন ভুল করেননি। গডিনের সঙ্গে জুটিটা বরাবরের মতোই ভালো গড়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারলেন না।    

    ডিয়েগো গডিন ৬/১০
    এর বেশি কিছু কি করতে পারতেন? রক্ষণে বোধ হয় না। কিন্তু সেটপিসে তো আক্রমণভাগেও দারুণ গডিন। ৪৫ মিনিটে সামনে শুধু ছিল লরিস, বাঁ পায়ে শটটা ঠিকমতো করতে পারলেই হয়ত খেলার গতিপথ বদলে দিতে পারতেন গডিন।   আক্ষেপ নিয়েই তাই শেষ হলো গডিনের বিশ্বকাপ।   


    ডিয়েগো ল্যাক্সালত ৪/১০
    গ্রিযমানকে আটকাতে হিমশিম খেয়েছেন পুরো ম্যাচেই। আক্রমণে শুরুতে সপ্রতিভ ছিলেন, পরে মিলিয়ে গেছে তার খেলা।  


    লুকাস তোরয়েরা ৫/১০
    আগের ম্যাচের ফর্মটা টেনে আনতে পারেননি ফ্রান্সের বিপক্ষে। প্রথমার্ধে ইন্টারসেপশন করেছেন কয়েকটি, পরে আর সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি খেলার গতির সঙ্গে।
     
    নাহিতান নান্দেস ৪/১০
    পল পগবার বিরুদ্ধে একদমই সুবিধা করতে পারেননি মাঝমাঠে। গড়পড়তা মানের পারফরম্যান্স।  

    মাতিয়াস ভেসিনো ৫/১০
    প্রথমার্ধে একটা সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার। কিন্তু শটটা করেছিলেন বাইরে দিয়ে। এছাড়া ম্যাচ বদলে দেওয়ার মতো তেমন মুহুর্ত পাননি।



    রদ্রিগো বেন্টাকুর ৬/১০
    পরিশ্রম করে খেলেছেন। মাঝমাঠের নিয়মিত কাজটা করেছেন, তবে অ্যাটাকিং থার্ডে তার প্রভাব ছিল না উরুগুয়ের খেলায়।

    লুইস সুয়ারেজ ৩/১০
    ফ্রান্সের ডিবক্সের ভেতর একবারও বলে টাচই করতে পারেননি সুয়ারেজ। কাভানিকে ছাড়া পুরো ম্যাচে ছিলেন অসহায়। স্টুয়ানি বদলি হওয়ার পর আরও বেশি ভুগেছেন।  
     
    ক্রিশ্চিয়ান স্টুয়ানি ৪/১০
    খেলার শুরুতেই কতোগুলো হাফ চান্স পেয়েছিলেন। কাজে লাগাতে পারেননি। কাভানির জন্য উরুগুইয়ান সমর্থকদের আফসোসটা তাই থাকলই।

    বদলি
    ম্যাক্সি গোমেজ ৫/১০  
    ৫৯ মিনিটে মাঠে নেমে আক্রমণেই মন দিয়েছিলেন।
    ক্রিশ্চিয়ান রদ্রিগেজ ৬/১০
    বাঁ পায়ে একটা শট করেছিলেন ডিবক্সের বাইরে থেকে। ডান প্রান্ত দিয়ে কয়েকটি আক্রমণ রচনা করেছিলেন, কিন্তু ফল পাননি। তিনি নামার পর অবশ্য উরুগুয়ের মাঝমাঠে কিছুক্ষণ ছন্দ ফিরে এসেছিল।

    উরেতাভিসছায়া
    ৭৩ মিনিটে নেমে ম্যাচে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।  


    ফ্রান্স 

    হুগো লরিস ৮/১০ 
    শুরুতেই হোসে মারিয়া হিমেনেজের একটা হেড ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন সামনে এগিয়ে। এরপর ৪৫ মিনিটে কাসেরেসের হেড দুর্দান্ত এক সেভে ফিরিয়ে দিয়ে ফ্রান্সকে জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক লরিসই।   

    বেঞ্জামিন পাভার্দ ৬/১০
    শুরুতে কিছুটা ভুগেছেন। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার এমবাপ্পেকে ওভারল্যাপ করে আক্রমণে উঠেছিলেন। সময়ের সঙ্গেই মানিয়ে নিয়েছেন।   

    রাফায়েল ভারান ৮/১০
    রক্ষণে আরেকবার দুর্গ হয়ে ছিলেন তিনি। রক্ষণেও যেমন আক্রমনেও তেমন। ফ্রান্সের প্রথম গোলটা তারই করা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও রক্ষণে করেছেন নির্ভুলভাবে।

    স্যামুয়েল উমতিতি ৬/১০
    ৫৫ মিনিটে একটা ভুল করেছিলেন নিজের ডিবক্সের ভেতর। আরও দুই একটা ভুল বিপদের কারণ হতে পারত। ভারানের সঙ্গে জুটি গড়ে অবশ্য সেগুলোর প্রভাব পড়তে দেননি ফ্রান্সের খেলায়।
      
    লুকাস হার্নান্দেজ ৭/১০
    অসাধারণ খেলেছেন ফ্রেঞ্চ লেফটব্যাক। সুয়ারেজ যতবার ডান প্রান্তে এসেছেন তাকে তেমন সুযোগই দেননি হার্নান্দেজ। কাসেরেসকেও পকেটবন্দি করে রেখেছিলেন।

    এনগলো কান্তে ৮/১০
    আরও একবার ফ্রান্সের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা হয়েছিলেন। রক্ষণ আর আক্রমণের ভেতর সেতুবন্ধরের কাজটা ভালো করেছেন।

    পল পগবা ৬.৫/১০
    শুরুতে সুবিধা করতে পারছিলেন না। তবে ফ্রান্স এগিয়ে যাওয়ার পর পগবা মন দিয়েছিলেন আক্রমণে। ফরোয়ার্ড পাসিং ছিল দেখার মতো।
     
    করেন্টিন টলিসো ৭/১০
    নিজে একটা সুযোগ পেয়েও শট করেছিলেন বাইরে দিয়ে। গ্রিযমানের গোলে পাসটা দিয়েছিলেন তিনিই।

    আঁতোয়া গ্রিযমান ৯/১০
    এক গোল করেছেন আরেকটা করিয়েছেন। পুরো ম্যাচে তার চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেনি কেউ, তার চেয়ে বেশি ট্যাকেলও জেতেনি অন্য কোনো খেলোয়াড়। আক্রমণেও যেমন, রক্ষণেও তেমন!

    কিলিয়ান এমবাপ্পে ৫/১০
    জিরুর হেড থেকে প্রথমার্ধেই দারুণ একটা সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেছেন। এরপরে অবশ্য এমবাপ্পে একদমই সুবিধা করতে পারেননি। হিমেনেজ আর গডিন তাকে কড়া পাহারায় রেখেছিলেন।
     
    অলিভিয়ের জিরু ৪/১০
    পুরো ম্যাচে তাকে তেমন দেখা যায়নি। একা হয়েই পড়েছিলেন। সুযোগও তেমন আসেনি।

    বদলি 
    এনজঞ্জি, ডেম্বেলে, ফেকির
    এনজঞ্জি নেমেছেন সবার আগে, ৮০ মিনিটে। মাঝমাঠটা আরেকটু ধরে রাখাই ছিল তার লক্ষ্য। তার আগেই অবশ্য উরুগুয়ে ছিটকে পড়েছে ম্যাচ থেকে। ডেম্বেলে, ফেকিরকেও ৮৮ আর ৯০ মিনিটে নেমে প্রভাব ফেলার মতো কিছু করতে হয়নি।