প্লেয়ার রেটিং: ফ্রান্স-বেলজিয়াম
ফ্রান্স
হুগো লরিস ৯/১০
দুর্দান্ত খেলেছেন পুরোটা ম্যাচ। অ্যাল্ডারওয়েরেল্ডের হেড ফিরিয়েছেন দুর্দান্তভাবে। ম্যাচের শেষদিকে উইটসেলের শটটাও রুখে দিয়েছেন। ফ্রান্সের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ আজ।
বেঞ্জামিন পাভার্দ ৭/১০
শুরুতে হ্যাজার্ডের বিপক্ষে কিছুটা ভুগেছেন। তবে সময়ের সঙ্গেই মানিয়ে নিয়েছেন। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার এমবাপ্পেকে ওভারল্যাপ করে আক্রমণে উঠেছিলেন। ।
রাফায়েল ভারান ৮/১০
রক্ষণে আরেকবার দুর্গ হয়ে ছিলেন তিনি। লাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে লরিসকে বাঁচিয়েছেন। লুকাকুকে পকেটবন্দিই করে রেখেছিলেন।
স্যামুয়েল উমতিতি ৮.৫/১০
ফ্রান্সের সেরা ডিফেন্ডার ছিলেন আজ। রক্ষণে তার সাথে একেবারেই পেরে উঠেননি ডি ব্রুইনরা। গ্রিযমানের কর্ণার থেকে হেড করে করা গোলে দলকে নিয়ে গেছেন ফাইনালে।
লুকাস হার্নান্দেজ ৭/১০
বাঁ-প্রান্ত দিয়ে আজ আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারেননি, কিন্তু রক্ষণে ছিলেন দারুণ।
এনগলো কান্তে ৭.৫/১০
আরও একবার ফ্রান্সের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা হয়েছিলেন। রক্ষণ আর আক্রমণের ভেতর সেতুবন্ধরের কাজটা ভালো করেছেন। ডি ব্রুইন, ডেম্বেলেদের রুখে দিয়েছেন দারুণভাবে।
পল পগবা ৮/১০
ফ্রান্সের সেরা মিডফিল্ডার ছিলেন আজ। ড্রিবলিং আর শক্তিমত্তার সামনে দাঁড়াতে পারেননি ফেলাইনি-উইটসেলরা। বল ধরে রাখার কাজটা করেছেন দারুণভাবে।
ব্লেইজ মাতুইদি ৬.৫/১০
বহিষ্কারাদেশের পর ফিরে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। মাঝমাঠে বেশ অনুজ্জ্বল ছিলেন। বলও হারিয়েছেন মোট ৬বার।
আঁতোয়া গ্রিযমান ৮/১০
উমতিতির গোলে অ্যাসিস্টটা তারই। পুরো ম্যাচেই ফ্রেঞ্চ আক্রমণভাগের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। জিরু-এম্বাপ্পেদের সাথে বোঝাপড়াটাও ছিল দারুণ।
কিলিয়ান এমবাপ্পে ৮.৫/১০
তার গতির সামনে রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে বেলজিয়ান রক্ষণভাগকে। জিরুকে বেশ কয়েকটি চমৎকার পাস দিয়েছিলেন। কিন্তু স্ট্রাইকারের ব্যর্থতায় কেতাবী পরিসংখ্যানটা ছিল শূন্যই।
অলিভিয়ের জিরু ৪/১০
পুরো ম্যাচে মিসের মহড়ায়ই মেতেছিলেন। গ্রিযমান-এম্বাপ্পেরা যেরকম সুযোগ তৈরি করেছিলেন, সবগুলো হাতছাড়া করেছেন।
বদলি
এনজঞ্জি, টোলিসো
ম্যাচের শেষ ৫ মিনিটে নেমেছিলেন। খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।
বেলজিয়াম
থিবো কোর্তোয়া ৮.৫/১০
অসাধারণ। প্রথমার্ধের শেষদিকে পাভার্দের শট পা দিয়ে ঠেকিয়েছেন দারুণভাবে। দুই উইং থেকে ক্রসগুলোও নিয়ন্ত্রণে এনেছেন প্রতিবারই।
টবি অ্যাল্ডারউইরেল্ড ৭/১০
আবারও নিজের কাজটা করে গেছেন দারুণভাবে। আবারও ছিলেন নির্ভুল এবং অসাধারণ। জিরুকে এতটুকু জায়গা দেননি। ম্যাচে ‘এরিয়েল ডুয়েল’ জিতেছেন সবগুলো।
ভিনসেন্ট কোম্পানি ৭.৫/১০
রক্ষণে পুরো দলকে বেঁধেছিলেন এক সূতোয়। আর সেই ইস্পাতদৃঢ় বন্ধনের সামনে বারবার খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে গ্রিযমানদের।
ইয়ান ভেট্রোনহেন ৭.৫/১০
বাকি দুই সতীর্থের তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ ছিলেন। তবে বেলজিয়ান রক্ষণের বাঁ-প্রান্তটা প্রায় একাই সামলেছেন। তবে এম্বাপ্পের সাথে পেরে উঠেননি। শেষদিকে মাথা গরম করা ফাউলে দেখেছেন হলুদ কার্ড।
মুসা ডেম্বেলে ৫/১০
মাঝমাঠের ডানপ্রান্তে একেবারেই জ্বলে উঠতে পারেননি। আর এম্বাপ্পে তো পুরোটা ম্যাচই নাচিয়েছেন তাকে। স্বভাবসুলভ পাসিংয়েরও দেখা মেলেনি।
কেভিন ডি ব্রুইন ৬/১০
এবারের বিশ্বকাপে তার সবচেয়ে খারাপ ম্যাচ। ফ্রান্সের কড়া মার্কিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণই করতে হয়েছে তাকে। লুকাকুদের সাথেও বোঝাপড়ার দেখা মেলেনি।
অ্যাক্সেল উইটসেল ৭/১০
মাঝমাঠে নিজের কাজটা দারুণভাবে করেছেন। শেষদিকে জোরাল এক শট করেছিলেন, কিন্তু লরিসের দক্ষতায় ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।
নাসের চাডলি ৬/১০
লেফট ফুলব্যাক রোলে কখনও খেলেছেন কিনা সন্দেহ। তবে উইঙ্গার হওয়ায় বারবার রক্ষণ ফাঁকা রেখে উপরে উঠে যাচ্ছিলেন। ডানপ্রান্তে এম্বাপ্পে এজন্যই অনেক জায়গা পাচ্ছিলেন। অবশ্য আক্রমণেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
মারুয়ান ফেলাইনি ৬.৫/১০
পগবা-গ্রিযমানদের ঠেকিয়ে রাখার কাজটা ভালমতই করেছিলেন। তবে উপরে উঠে লুকাকুদের তেমন পাস যোগাতে পারেননি।
এডেন হ্যাজার্ড ৯/১০
বেলজিয়ামের সেরা খেলোয়াড় আজ। ড্রিবলিংয়ের এক পসরাই সাজিয়ে বসেছিলেন। পাভার্দকে রীতিমত নাচিয়েছেন পুরোটা ম্যাচ। কিন্তু ফ্রান্সের কড়া ডিফেন্সের লুকাকুর সাথে তেমন বোঝাপড়া গড়তে পারেননি।
রোমেলু লুকাকু ৪/১০
ডি ব্রুইনের মতই এবারের বিশ্বকাপে নিজের সবচেয়ে খারাপ ম্যাচ। ভারান-উমতিতিদের মার্কিংয়ে তেমন সুবিধা করতেই পারেননি। তার নিজের ছায়া হয়ে থাকাই বেলজিয়ামের বিদায়ের অন্যতম কারণ।
বদলি
দ্রিস মার্টেনস ৬.৫/১০
৬০ মিনিটে নেমেছিলেন। ডানপ্রান্ত থেকে ক্রস করে লুকাকু-ফেলাইনিদের পাস যোগাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তেমন সাফল্যের দেখা পাননি।
ইয়ানিক কারাস্কো, মিচি বাতশুয়াই
শেষ ১০ মিনিটে নেমেছিলেন, তেমন কিছুই করতে পারেননি।