• প্লেয়ার রেটিং
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং: রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া

    প্লেয়ার রেটিং: রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া    

    রাশিয়া 

    ইগর আকিনফেভ ৬.৫/১০ 
    গোল দুটির কোনোটিতেই তেমন কিছুই করার ছিল না। কিন্তু পজেশনিংয়ের কারণে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ক্রসগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি বেশিরভাগ সময়। পেনাল্টিতে অবশ্য কোভাসিচের শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরতে হচ্ছে খালি হাতেই।  

    ইলয়া কুতেপভ ৫.৫/১০
    ক্রামারিচের গোলে তাকে মার্ক করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ক্রোয়াটদের প্রেসিংয়ে বল হারিয়েছেন অনেকবার। 

    ইগনাশেভিচ ৫/১০
    আবারও রাশিয়ার সেরা ডিফেন্ডার। সেটপিসগুলোতে তার ডিফেন্স ছিল দেখার মত। বয়সের কাছে এখনও হার না মানা এক পারফরম্যান্সই দিলেন রাশিয়ার বয়োজ্যেষ্ট এই ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকেও গোল করেছেন।

    ফেদোর কুদ্রায়াশভ ৬/১০ 
    রাশিয়ার থ্রি ম্যান ডিফেন্সের অন্যতম ভরসা ছিলেন। শারীরিক দক্ষতা দিয়ে খেলেছেন। কিন্তু গতির অভাবে প্রতি-আক্রমণে বারবারই হিমশিম খাচ্ছিলেন।

    ফার্নান্দেজ ৭/১০ 
    হিরো থেকে জিরো হয়ে গেছেন মিনিট দশেকের ব্যবধানে। গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন অতিরিক্ত সময়ে, কিন্তু পেনাল্টি মিস করে দলের বিদায়ের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ম্যাচের পারফরম্যান্সের বিচারে ভালোই করেছেন, তবে ভুগতে হয়েছে পেরিসিচের বিপক্ষে। বিশেষ করে ওভারল্যাপে জুবাদের পাস যোগাতে সাহায্য করেছেন বেশ।

    কুজায়েভ ৬.৫/১০ 
    জবনিনের সঙ্গে মিডফিল্ডে গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রোয়েশিয়ার পায়ে বল থাকা অবস্থায় মাঝমাঠে খুব বেশি প্রেস করেননি। গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে, কিন্তু অন্যদের ব্যর্থতায় ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।

    জবনিন ৬/১০
    ডিফেন্সিভ লাইনের আগে কুজায়েভের সঙ্গে মিলে আরেকটা দুর্গ গড়ে তুলেছিলেন। ডিফেন্ডারদের কাজে সাহায্যই করেছেন জবনিন। তবে প্রেসিংয়ের সামনে বেশ অসহায়ই মনে হয়েছে তাকে। 
    আলেকজান্ডার সামেদভ ৫/১০
    অন্য ম্যাচগুলোর মত আজ জ্বলে উঠতে পারেননি। প্রচুর ভুল পাস দিয়েছেন। মদ্রিচদের প্রেসিংটাও করেননি ঠিকঠাক।

    ডেনিস চেরিশেভ ৮.৫/১০
    রাশিয়ার সেরা খেলোয়াড় আজ। বাঁ-প্রান্তে ভ্রাসালকোকে বেশ নাকানিচুবানি খাইয়েছেন। দুর্দান্ত এক গোলে দলকে লিডও এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিদায় নিতে হয়েছে খালি হাতেই।

    অ্যালেকজান্ডার গলোভিন ৮/১০
    রাশিয়ার প্রায় সবগুলো আক্রমণের প্রাণ ভোমরা ছিলেন। উইং দিয়ে বেশ কয়েকবার ভেতরে ঢুকে পাশ দিয়েছেন যুবাকে। নিচে নেমে রক্ষণকেও সাহায্য করেছেন।

    আর্তেম যুবা  ৭/১০ 
    প্রেসিংটাই ছিল তার খেলার হাইলাইট। পুরোটা ম্যাচ পাগলের মত দৌড়েছেন ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের থেকে বল কেড়ে নিতে। সেটপিস থেকে হেডেও পরাস্ত করেছেন তাদের।

    বদলি
    এরোখিন ৫/১০

    দ্বিতীয়ার্ধের মিনিট দশেক পর নেমেছিলেন। শুরু থেকেই বেশ নড়বড়ে ছিলেন। একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি রাকিটিচ-মদ্রিচদের বিপক্ষে। 

    স্মোলোভ ৫.৫/১০

    নামার পর থেকেই লভ্রেন-ভিদাদের পকেটেই ছিলেন। শুটআউটে পেনাল্টিও মিস করেছেন।

    গাজিন্সকি ৬.৫/১০

    আবারও ব্যর্থ। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হয়েও ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণগুলোর সামনে একেবারেই দাঁড়াতে পারেননি। 
    জাগোয়েভ
     ৭/১০

    মাঝমাঠে নেমেই পুরনো ঝলক দেখাচ্ছিলেন। ফার্নান্দেজের গোলটা এসেছে তার ফ্রিকিক থেকেই। শুটআউটেও গোল করেছেন।

     

     

    ক্রোয়েশিয়া

    ড্যানিয়েল সুবাসিচ ৮/১০

    আবারও এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। শেষদিকে চোট পেয়ে খোঁড়াচ্ছিলেন। কিন্তু পেনাল্টি বাঁচিয়ে আবারও দলকে নিয়ে গেলেন পরের রাউন্ডে।

    সিমে ভ্রাসালকো ৬.৫/১০

    ওভারল্যাপ করে মানজুকিচকদের বেশ সাহায্য করছিলেন। নিচে নেমে রক্ষণে অবশ্য তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তার কারণেই বেশ কয়েকবার প্রতি-আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে।

    দেয়ান লভ্রেন।৭.৫১০

    ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে আবারও দারুণ খেলেছেন। পুরো ম্যাচে যুবাকে পকেটবন্দি করে রেখেছিলেন। লম্বা পাসে পেরিসিচ এবং ক্রামারিচদের বল যুগিয়ে সাহায্য করেছেন আক্রমণেও।  

    দোমাগজ ভিদা ৬/১০

    অতিরিক্ত সময়ে গোল করে দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন। লভ্রেনের পাশে ছিলেন দুর্দান্ত।

    ইভান স্ট্রিনিচ ৬.৫/১০

    রক্ষণেই ছিলেন বেশিরভাগ সময়। কিন্তু উপরে উঠে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। চেরিশেভের বিপক্ষে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।  

    লুকা মদ্রিচ ৯/১০

    আবারও ক্রোয়েশিয়ার সেরা খেলোয়াড় ছিলেন আজ। পুরো ম্যাচে বল হারিয়েছেন মাত্র ২বার। আক্রমণে মানজুকিচদের সবচেয়ে বড় ভরসা ছিলেন। ভিদার গোল এসেছিল তার কর্ণার থেকেই। পেনাল্টি থেকেও গোল করেছেন।

    ইভান রাকিটিচ ৮.৫/১০

    আবারও দলের সংকটময় মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করলেন। ম্যাচেও ছিলেন দুর্দান্ত। উপরে যতটা সাহায্য করেছেন, ঠিক ততটাই সাহায্য করেছেন লভ্রেনদের।

    ইভান পেরিসিচ ৭/১০

    ফার্নান্দেজকে নাচিয়েছেন পুরোটা ম্যাচ। মানজুকিচের সাথে বোঝাপড়াটাও ছিল দারুণ। তার গতি, ড্রিবলিং সামলতে সবসময় মার্কার হিসেবে দুজনকে রেখেছিলেন চেরচেশভ। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। নিচে নেমে রক্ষণেও সাহায্য করেছেন রাশিয়ার প্রতি-আক্রমণের সময়।

    আন্দ্রে ক্রামারিচ ৭/১০

    প্রথমার্ধে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন। তবে বাকিটা সময় বেশ নিষ্প্রভই ছিলেন। নিচে নেমে রক্ষণভাগকে সাহায্য করেননি একেবারেই।

    আনতে রেবিচ ৭.৫/১০

    ক্রোয়েশিয়া দলে তার মত ‘প্রেসিং’-এ দক্ষ খুব সম্ভবত কেউই নেই- প্রমাণ করলেন আবারও। বল ধরে রাখার কাজটাও করেছেন দারুণভাবে। পুরোটা সময়ই নিজেদের সর্বোচ্চটাই দিয়েছেন। আবারও এক দারুণ পারফরম্যান্সে নজর কাড়লেন।

    মারিও মাঞ্জুকিচ ৭.৫/১০

    গোল করতে পারেননি এবার, তবে গোল করিয়েছেন। নিঃস্বার্থ আরও এক পারফরম্যান্সে দলের কাছে তার অপরিহার্যতা প্রমাণ করলেন আবারও।

     

    বদলি

    মাতেও কোভাসিচ ৬/১০

    আবারও কিন্তু নিজেকে তেমন মেলে ধরতে পারেননি। আক্রমণভাগে একেবারেই নীরব ছিলেন। ট্যাকলিংটাও ঠিকঠাক হয়নি তার। বলও হারিয়েছেন বেশ কয়েকবার। প্রপেনাল্টিও মিস করে দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন।

    জোসেপ পিভারিচ ৫.৫/১০

    প্রচন্ড নড়বড়ে মনে হয়েছে পুরোটা সময়। বল হারিয়েছেন মোট ৭বার, আর ভুল পাস দিয়েছেন মোট ৮টি। রক্ষণের জন্য চাপটা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আরও।

    মার্সেলো ব্রোজোভিচ ৭/১০

    দুর্দান্ত পেরিসিচের জায়গায় নেমে নিজেকে প্রমাণ করলেন এবার। মাঝমাঠে ছিলেন দারুণ। আর পেনাল্টি থেকে ঠিকই গোল করে দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন শুটআউটে।

    ভেদ্রান চরলুকা

    শেষ ২০ মিনিটে নেমেছিলেন। খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।