• প্লেয়ার রেটিং
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং : ইংল্যান্ড-সুইডেন

    প্লেয়ার রেটিং : ইংল্যান্ড-সুইডেন    

    ইংল্যান্ড

    জর্ডান পিকফোর্ড ৯/১০

    ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড় আজ। তিনটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়। লাইন থেকে এগিয়ে এসে ক্রসগুলোও নিয়ন্ত্রণে এসেছেন দক্ষভাবে।

    কাইল ওয়াকার ৭.৫/১০

    বার্গ-টোইভোনেনদের এতটুকু জায়গা দেননি। পুরোটা সময়ই কড়া মার্কিংয়ে রেখেছিলেন সুইডিশ ফরোয়ার্ডদের। কর্নার থেকেও বেশ কয়েকবার হেডে বল জিতে নিয়েছেন সুইডিশ ডিফেন্ডারদের থেকে।

    হ্যারি ম্যাগুয়ের ৮/১০

    প্রথমার্ধে দারুণ এক হেডে দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন। এছাড়া পুরোটা ম্যাচই ছিলেন ইস্পাতদৃঢ়। কর্নার থেকে তাকে মার্ক করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে সুইডেনকে। পকেটবন্দিই করে রেখেছিলেন বার্গদের।

    জন স্টোনস ৮/১০

    ইংল্যান্ডের তিন ডিফেন্ডারের মধ্যে সেরা খেলেছেন খুব সম্ভবত তিনিই। প্রতি-আক্রমণে ফর্সবার্গদের যেভাবে রুখে দিয়েছেন, তা আসলেই দুর্দান্ত। সেটপিস থেকেও 'এরিয়েল ডুয়েল'-এ বল জিতেছেন অনেকবার।

    কিয়েরন ট্রিপিয়ের ৮.৫/১০

    এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় আজও ছিলেন স্বরূপে। প্রায় প্রতিটি সেটপিসেই তার ডেলিভারি ছিল নিখুঁত। ট্যাকলিং-ও ছিল অসাধারণ।

    জর্ডান হেন্ডারসন ৮.৫/১০

    অসাধারণ। মাঝমাঠে মাথা ঠান্ডা রেখে দারুণভাবে পুরো খেলা পরিচালনা করেছেন। লম্বা পাসগুলো যেন মনে করিয়ে দিচ্ছিল স্কোলস-জেরার্ডদের। প্রথমার্ধের শেষদিকে স্টার্লিংকে দেওয়া পাসটি ছিল দুর্দান্ত।

    ড্যালে আলি ৬.৫/১০

    ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করা দ্বিতীয় গোলটা এসেছিল তার হেড থেকেই। তবে ম্যাচে পারফরম্যান্সের বিবেচনায় নিষ্প্রভ ছিলেন বেশ। সুইডিশ রক্ষণের বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারেননি।

    জেসি লিনগার্ড ৭/১০

    এবারের বিশ্বকাপে তার সেরা পারফরম্যান্স। শুধু আক্রমণ নয়, নিচে নেমেও রক্ষণে সাহায্য করেছেন বেশ। আলির গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনিই।

    অ্যাশলি ইয়ং ৭.৫/১০

    ইংল্যান্ডের ফুলব্যাক রোলটা নিজেরই করে নিয়েছেন। আজ আবারও ছিলেন স্বরূপে। লারসন-ক্লাসেনদের দমিয়ে রেখেছিলেন পুরো ম্যাচই। ম্যাগুয়েরের গোলটা হয়েছিল তার নেওয়া কর্নার থেকেই।  

    হ্যারি কেইন ৭/১০

    বেশ নিষ্প্রভ ছিলেন আজ। তাকে আটকাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি সুইডিশ রক্ষণভাগকে। সেই সাথে খেলা গড়ার ক্ষেত্রেও খুব একটা কার্যকরী ছিলেন না।

    রহিম স্টার্লিং ৫.৫/১০

    ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বাজে খেলেছেন তিনিই। দুবার সুইডিশ গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আবার উইং দিয়েও আক্রমণ গড়তে হয়েছেন ব্যর্থ। আবারও হতাশ করলেন সাউথগেট এবং দলকে।

    বদলি

    ফাবিয়ান ডেলফ, এরিক ডায়ার, মার্কাস রাশফোর্ড

    ম্যাচের শেষদিকে নেমেছিলেন। খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি কেউই।

     

     

    সুইডেন

    রবিন ওলসেন ৭/১০

    সুইডেনের অন্যতম গড়পড়তা পারফরম্যান্সের দিনে বেশ ভাল করেছেন। স্টার্লিংকে দু'বার ঠেকিয়ে দিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়। এছাড়া লম্বা পাসগুলোও ছিল দারুণ। তবে প্রথম গোলে তার পজেশনিং প্রশ্নবিদ্ধ।

    এমিল ক্রাফথ ৫.৫/১০

    নিয়মিত রাইটব্যাক মিকেল লুস্টিগের জায়গায় নেমে একবারেই জ্বলে উঠতে পারেননি। রক্ষণেই সময় কাটিয়েছেন বেশি, কিন্তু আক্রমণে ক্রসগুলো ছিল একেবারেই গড়পড়তা।

    ভিক্টর লিন্ডেলফ ৬/১০

    নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু ইংলিশদের গতির সাথে পেরে ওঠেননি। স্টার্লিংকে বেশ কয়েকবার অফসাইডের ফাঁদে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন।

    আন্দ্রেয়াস গ্র্যাঙ্কভিস্ট ৬.৫/১০

    আবারও সুইডিশ রক্ষণের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন আজ। কর্নার থেকে এবং পুরো ম্যাচেই কেইনকে দমিয়ে রেখেছিলেন তিনিই। 

    অগাস্টিনসন ৫.৫/১০

    লেফটব্যাক থেকে একেবারেই হতাশ করেছেন আজ। না পেরেছেন লিনগার্ড-আলিদের রুখে দিতে, না পেরেছেন ওপরে উঠে ফর্সবার্গদের সাহায্য করতে।

    ভিক্টর ক্লাসেন ৬/১০

    চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু শেষমেশ ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই। গোলও পেতে পারতেন, কিন্তু দুর্দান্ত পিকফোর্ডে তা আর হয়ে উঠেনি।

    সেবাস্তিয়ান লারসন ৫/১০

    পুরো ম্যাচেই একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন। ইংলিশদের বিপক্ষে আজ তার দিকেই তাকিয়ে ছিল সমর্থকেরা। কিন্তু তেমন সুবিধা করতে পারেননি। উলটো শেষদিকে দেখেছেন হলুদ কার্ড।

    আলবিন একডাল ৫/১০

    আলি-লিনগার্ডরা রীতিমত নাচিয়ে ছেড়েছেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে ইংলিশদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেননি আজ। বল হারিয়েছেন মোট ৮ বার।

    এমিল ফর্সবার্গ ৬/১০

    ম্যাগুয়েরের গোলে তাকে ঠিকঠাক মার্ক করতে পারেননি। সুইডিশ ফুটবলের 'পোস্টার বয়' আজ একেবারেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। তার ব্যর্থতার দিনে খালি হাতেই বিদায় নিল সুইডেন।

    মার্কাস বার্গ ৫.৫/১০

    সুবিধা করতে পারেননি একদমই। ম্যাগুয়ের-স্টোনসের কড়া মার্কিংয়ে খুঁজেই পাওয়া যায়নি তাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু আবারও হার মানতে হয়েছে দারুণ পিকফোর্ডের কাছে। 

    ওলা টোইভোনেন ৫/১০

    বার্গের মতই তাকে পকেটবন্দিই করে রেখেছিলেন স্টোনসরা। সুবিধা করতে পারেননি একেবারেই।

     

    বদলি

    জন গুইদেত্তি ৫/১০

    গোলের আশায় তাকে নামিয়ে দিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু সুইডিশ ফরোয়ার্ডদের মত তিনিও ছিলেন নিষ্প্রভ। শেষদিকে মাথা গরম করে হলুদ কার্ড দেখেছেন।

    মার্টিন ওলসন ৫.৫/১০

    গুইদেত্তির সাথেই নেমেছিলেন। তেমন কিছুই করতে পারেননি। ক্রসগুলো লক্ষ্যভ্রষ্টই ছিল বেশিরভাগ সময়।

    পন্টাস জনসন 

    ৮৫ মিনিটে নেমেছিলেন। খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।