ক্রিকেটের মঙ্গল হোক
পোস্টটি ৪১৭২ বার পঠিত হয়েছে১.
নভেম্বর, ২০০৯। ফতুল্লায় কলাবাগানের সঙ্গে ম্যাচটা ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে হারলো খেলাঘর। আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ উঠলো, আম্পায়াররা ‘পক্ষপাতিত্ব’ করে খেলা আগেই বন্ধ করে দিয়েছেন নাকি। সিসিডিএম অস্বীকার করলো বরাবরের মতো। আম্পায়াররাও যুক্তি দিলেন অনেক! নবাগত দল প্রিমিয়ার লিগ খেলতে এসেই আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলে, ব্যাপারটা কি খুবই স্বাভাবিক? স্বাভাবিকই তো।
এপ্রিল, ২০১২। পাকিস্তানী ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইউসুফ খেলছেন ভিক্টোরিয়ার হয়ে, আবাহনীর সঙ্গে ম্যাচ। মধ্যবিরতিতে মোহামেডানের কাছ থেকে একটা চিঠি পেল আবাহনী, ইউসুফ ভিক্টোরিয়ার ‘বৈধ’ ক্রিকেটার নন, আগের মৌসুমের পর মোহামেডানের কাছ থেকে যে ছাড়পত্র নিয়ে এসেছেন, সেটাই ‘বৈধ’ নয়। এক ইনিংস পর আবাহনী তাই মাঠে নামলো না আর। সেই ম্যাচ হলো না, বন্ধই হয়ে গেল সুপার লিগের খেলা! ইউসুফকে নিয়ে যে ত্রিমুখী সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছিল, আবাহনী-মোহামেডান-ভিক্টোরিয়ার মধ্যে। একজন এক দলে খেলেন, সেটা মানতে পারেনা আরেক দল, সমর্থন দেয় আরেকটা। বন্ধ হয়ে যায় লিগ! অস্বাভাবিক ঘটনা? নাহ্, স্বাভাবিক।
২.
তখন থাকি তেজকুনিপাড়ায়। ফার্মগেট থেকে রিকশা ভাড়া ৫ টাকা, একসময় বেড়ে হলো ৭, ১০। যখন তেজকুনিপাড়া ছেড়ে এসেছি তখনকার ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। মোটামুটি ঢাকা শহরের একটা ঘিঞ্জি মহল্লা, ছোট ফ্ল্যাট, বিজ্ঞানকে বিস্মিত করা অসম্ভব সরু ফ্ল্যাট, আবার সুউচ্চ দালান। যার আশেপাশে গেলেই একটা আভিজাত্যের গন্ধ পাওয়া যায়। বৃষ্টিতে রাস্তা ভেসে যায়, সুউচ্চ দালান আর ঘিঞ্জি ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা নেমে আসে একই কাতারে। পোস্ট অফিসটা পার হলে দুইদিকে দুইটা রাস্তা। একটা সোজা নাখালপাড়া যায়, আরেকটা স্টেশনের পাশ ঘুরে তেজকুনিপাড়া। আমার থাকার জায়গাটায় যাওয়া যায় দুপাশ দিয়েই, নির্ভর করে রিকশাওয়ালার মর্জির ওপর। স্টেশনের পাশ ঘুরে গেলে একটা ডাস্টবিন পড়ে, ময়লার ভাগাড়। সেই ডাস্টবিনের এপাশে চায়ের দোকান অনেক কটা, রেলিং ঘেঁষে। রেলিংয়ের ওপাশে খোলা জায়গা একটা, মাঠ বলতে মুখে বাঁধে। ঘাসের অস্তিত্ব নেই, বালু মাটিতে মিলেমিশে একাকার। সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে একটা নেট। একটা কংক্রিটের পিচ। একটা টিনশেড ছাউনির মতো ঘর। খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির ঠিকানা। আমার যখন তেজকুনিপাড়া ঠিকানা, সেবারই প্রিমিয়ার লিগে উঠলো দলটা। ঘরের পাশেই প্রিমিয়ার লিগের একটা দল!
একটা ফ্লেক্সিলোডের দোকান ছিল। সে ভাইয়ের মেধা অন্যরকমের, মনে হয় যাঁরাই ফ্লেক্সিলোড করেন, তাঁদের সবার নাম্বারই মুখস্থ থাকতো তাঁর! একদিন কোনো এক চায়ের দোকানে তাঁর সাথে গল্প। কথায় কথায় জানলেন দিনাজপুরের কথা। উঠলো গ্যারি ভাইয়ের কথা। গ্যারি ভাই, দিনাজপুরের বড় ময়দানে কিংবদন্তি টাইপের ক্রিকেটার। আমি যখন দিনাজপুরে তখন ইয়াং পেগাসাসের অধিনায়ক ছিলেন, পরে খেলাঘরের। খেলাঘর তখন বোধহয় প্রথম বা দ্বিতীয় বিভাগ খেলে। গ্যারি ভাইয়ের প্রিমিয়ার লিগ খেলা হয়নি অবশ্য।
৩.
২০১৬। প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ হওয়ার কথা ফ্লাডলাইটের আলোয়। ভাবলাম, দেখতে যাব। এমনিতে খেলা হয় ফতুল্লায়, সেখানে খেলা দেখতে যাওয়ার চেয়ে দিনাজপুরে গিয়ে বড়মাঠে বসে খেলা দেখে আসাটা সহজ মনে হয় মাঝে মাঝে। মিরপুরে এমনিতে যে গ্যালারি খোলা থাকে, সেটা সবচেয়ে ‘গরীব’দের জন্য। মানে খেলা দেখাটা একপ্রকার অসহায়ের মতো বসে থাকার মতো। আর থাকে বিকেএসপি। সেখানে তো আমজনতার প্রবেশাধিকারই নাই!
সেই বিকেএসপিতেই হলো গন্ডোগোলটা। সংবাদমাধ্যমের অনেক জায়গায় বলা হলো, তামিম-কান্ডের পর নাকি আবাহনী সমর্থকরাও চিৎকার চেঁচামেচি করেছেন। আচ্ছা, বিকেএসপিতে আবাহনী সমর্থকরা প্রবেশ করলেন কিভাবে? জনসাধারণের তো সেখানে ঢোকার কথাই নয়! আমার মনে পড়ে গেল পাড়ার সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালের কথা।
স্কয়ার লেগে আম্পায়ারিং করছি। একটা স্ট্যাম্পডের কল দিলাম একটু দেরীতে, কে জানে, স্টিভ বাকনর হওয়ার খায়েশ হয়েছিল বোধহয়। বাইরে থেকে কে যেন চিৎকার করে উঠলেন, আউট হয়নি, আমি ইচ্ছা করে দিয়েছি। ও হ্যাঁ, সেই ফাইনালে একটা দলের হয়ে আমার দুই ভাইও খেলছেন। তবে এটাই শেষ কিংবা প্রথম ম্যাচ নয়, যেখানে আমার দুই ভাই খেলছেন, আর আমি আম্পায়ারিং করছি! শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো, আমি ওই ম্যাচে আর আম্পায়ারিং করবো না। আমি উঠে যাচ্ছি, দেখি আমার আম্পায়ার পার্টনারও উঠে যাচ্ছেন! আমি না থাকলে তিনিও থাকবেন না! অদ্ভূত! সেই ব্যাটসম্যান পরে ওই স্ট্যাম্পডই হলেন!
কিন্তু এটা তো প্রিমিয়ার লিগ। লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্ট। অদ্ভুতুড়ে রেকর্ড হতে পারে, অমানুষিক স্কোর হতে পারে, কিন্তু দুই আম্পায়ার অসুস্থতার ‘অজুহাত’ দিয়ে উঠে যাবেন? ম্যাচই পন্ড হয়ে যাবে? সেই ম্যাচটাই আবার শিরোপা নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখলো পরে! কী অদ্ভূতুড়ে ব্যাপার-স্যাপার! কিন্তু স্বাভাবিক!
সুপার লিগ ফ্লাডলাইটের আলোয় হলো না আর। আমিও দেখতে গেলাম না। আবাহনীর পাঁড় ভক্ত হয়েও শিরোপা জয় আলোড়ন তুললো না কোনো! খটকা নেই, আছে অস্বস্তি!
৪.
বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাকি সাংবাদিকদের একহাত নিয়েছেন। দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নাকি ক্ষুণ্ণ করছেন তাঁরা! এর একদিন পরই সংবাদ, ভিক্টোরিয়ার খেলোয়াড়রা বোর্ডের শরণ নিয়েছেন, পাওনা টাকা বুঝে নিতে! ‘প্লেয়ারস বাই চয়েজ’ এ খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা চলে গেছে, সঙ্গে গেছে টাকা-পয়সা পাওয়ার গ্যারান্টিও! এখন আবার শোনা যাচ্ছে, বোর্ড প্রেসিডেন্টের ‘মর্জি’তেই ঈদের আগে ক'টা টাকা পাচ্ছেন তাঁরা!
অথচ সারাবছর ধরে অনেক ক্রিকেটার অপেক্ষা করে থাকেন, এই লিগটার জন্য! এই লিগটাই যে তাঁদের রুটি-রুজি জোগায়! সামনে ঈদ, ভিক্টোরিয়া সহ আরও ক্লাবগুলোর ক্রিকেটার, যাঁরা পাওনা টাকা পাননি, তাঁদের অবস্থা বুঝুন! তাঁরা না থাকলে ক্রিকেট যে থাকে না, এই কথাটা কে কাকে বোঝাবেন!
এখন এই সংবাদ প্রকাশের জন্যও কি বোর্ড প্রেসিডেন্ট চটে যাবেন? নাকি দায় সব সিসিডিএএমের? বোর্ডের কোনো দায় নেই! তাহলে ‘প্লেয়ারস বাই চয়েজ’ আছে কেন?
বোর্ড সভাপতি অ্যাশেজে ‘বাজে আম্পায়ারিংয়ের’ কথা বলেছেন। ডিআরএস বিতর্ক বাঁধিয়েছিল বটে, কিন্তু সব মিলিয়েই বাজে আম্পায়ারিং? তাও বলছেন কে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। আচ্ছা, আইসিসির এলিট প্যানেলে বাংলাদেশী আম্পায়ার যেন কয়জন? কদিন পরপরই আমরা আম্পায়ারিং নিয়ে কথা বলি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নাকি আমাদের দেশের সাথে ‘পক্ষপাতিত্ব’ হয়! তো মানসম্মত আম্পায়ার গড়ে তোলার জন্য বিসিবির পদক্ষেপগুলো যেন কী কী? এনামুল হক মনি আম্পায়ারিং ছেড়ে দিয়েছেন, এখন যিনি সবচেয়ে অভিজ্ঞ, সেই নাদির শাহও নিষিদ্ধ ছিলেন! ‘বাজে আম্পায়ারিং’ নিয়ে ভারতের রঞ্জি ট্রফিতেও একসময় অনেক কথা হতো। তারপর বিসিসিআই ‘আম্পায়ার বিনিময়’ প্রথা চালু করলো। অস্ট্রেলিয়া থেকে আম্পায়ার আসেন রঞ্জিতে, ভারত থেকে আম্পায়ার যান সেখানে। বিসিবি কেন ভাবে না এমন কিছু? এমন নয় যে, আম্পায়ারিং নিয়ে ‘অভিযোগ’ আজকালের ঘটনা! তেমন কিছু ভাববেন কেন তাঁরা! তাঁরা ভাববেন দ্বিস্তর বিশিষ্ট নির্বাচক প্যানেল তৈরীর মতো যুগান্তকারী ভাবনা! সেখানে থাকবেন আবার ম্যানেজার!
৫.
এখন আমার নিয়মিত যাতায়াতের রাস্তার পাশে দুটি প্রিমিয়ার লিগের দল। কলাবাগান ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি ধরলে দলের সংখ্যা দাঁড়ায় তিনে। কলাবাগানের অবস্থাও খেলাঘরের মতোই, রেলিং ঘেরা এক চিলতে জায়গা। পার্থক্য, এ জায়গাটায় ঘাস আছে। সকাল বিকাল সেই জায়গাটা ভর্তি থাকে অনেক কিশোরে। সাদা ট্রাউজার্স, সাদা টি-শার্ট। পায়ে কেডস। ক্যাচিং প্র্যাকটিস হয়, ব্যাটিং প্র্যাকটিস হয়। মাঝে মাঝে টার্ফ বিছিয়ে এখানেই হয় টুর্নামেন্ট। বাউন্ডারি জোর হলে মোটামুটি প্রমাণ সাইজের ক্রিকেট মাঠের ‘সার্কেল’-এর সমান হবে! শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মাঠটা একটু বড়। জনসাধারণের মাঠ থেকে একটা ক্লাবের মাঠ হয়ে গেল মোটামুটি চোখের সামনেই। মেশিন দিয়ে কাটা ঘাস, পরিচর্যা করা হয়। ‘ডামি’ রেখে ফুটবল ফ্রি-কিকের প্র্যাকটিস চোখে পড়ে, একপাশে দুই তিনটা নেটে ব্যাটিং প্র্যাকটিসও। ওপাশে টেনিস কমপ্লেক্সও হচ্ছে বোধহয়।
ধানমন্ডির ভেতরের দিকে গেলে মাঝে মাঝে যেতে হয় আবাহনী মাঠের পাশ দিয়ে। রাস্তার এপাশ থেকে উঁকি দিই, পুরোটা নজরে আসে না। সেদিন দেখলাম ক্রিকেট কোচিংয়ের জায়গাটা। ওই, রেলিং ঘেরা ‘এক চিলতে জায়গা’।
একটা ক্রিকেট ক্লাব, তাঁদের মাঠই নেই! সে ক্লাবকে ঘিরেই আবর্তিত হয় এদেশের ক্রিকেট! আর প্রথম শ্রেণি! ঢাকা আর বরিশালের খেলা হচ্ছে খুলনায়, কী অদ্ভূত ব্যাপার। দর্শক পাবেন? স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা পাবেন কেউ? ঘরের মাঠ বলে কিছু থাকবে? কী দরকার! যে লিগের দল ঠিক করে দেয়া হয় ঢাকা থেকে, সেই টুর্নামেন্টের খেলা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হোক, আর চাঁদের মাটিতে হোক, একই তো! অথচ কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার মতো ‘রিজিওনাল কাঠামো’ গড়ে উঠবে। কেউ যদি বলে বসেন, আছে তো, বিপিএলে আমরা কতো আঞ্চলিক সমর্থক পাই, ‘রিজিওনাল স্ট্রাকচার’ আছে তো! তবে তো কিছুই বলার নেই। দেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা এখন ক্রিকেটের অনেক বড় শক্তি, অন্য সব দেশের আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, এসব ভেবে বসে থাকুন।
৬.
আমাদের এলাকায় প্রায়ই খেলা হতো, আবাহনী-মোহামেডান। সেই আবাহনী, সেই মোহামেডান কই গেল বলুন তো? আমাদের প্রজন্মের অনেকের মুখেই এমন কথা শুনবেন, হয়তো ভাববেন, আমাদের অভ্যাসই তাই। আমরা নতুনকে মানতে পারি না। কিন্তু হওয়ার কথা উল্টোটা না?
কেন এখনও কাঠামো গড়ে ওঠার লক্ষণ নেই! কেন বিসিবি বলতে পারে না, পরের প্রিমিয়ার লিগ তাঁরাই খেলবে, যাঁদের আস্ত একটা মাঠ আর একটা প্র্যাকটিস মাঠ আছে। সেই চাহিদা যদি ঢাকার বাইরের কোনো দলও পূরণ করতে পারে, ক্ষতি কী! টাকা-পয়সার অভাব হবে? ক্রিকেটাররা তো ‘বড়লোক’ মালিকদের কাছ থেকেই টাকা পান না!
বিসিবি তা বলবে না। ক্লাব তো তাঁদেরই। মানে বোর্ড পরিচালকদেরই! তাঁরা তো ‘সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়েন’! মাঝে থেকে যায় শুধু বিষ, শুধু নীলাভ দাগটা। এদেশের ক্রিকেটের শরীরে!
৭.
গত বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দলের পারফরম্যান্স অনেক ভাল। আশার কথা। ওয়ানডেতে দেশের মাটিতে এই দল এখন যে কাউকে হারানোর মতো সামর্থ্য রাখে, তা তো প্রমাণিতই। কিন্তু টেস্ট? সুযোগ-সময় পেলে সেটাও হবে।
কিন্তু সময় আর সুযোগ কি পাওয়া যাচ্ছে? নির্বাচক কমিটির এই উদ্ভট তত্ত্বর মতো জিনিস নিয়ে এসে তো অহেতুক উলটাপালটা করে দেয়া হচ্ছে সব! প্রিমিয়ার লিগের বিতর্কে যেমন চাপা পড়ে গেছে ভাল ভাল সব পারফরম্যান্স। নখ কামড়ানো সব ম্যাচের উত্তেজনা। আবাহনীর টুর্নামেন্টে ফিরে আসা। আইপিএল থেকে ফিরে এসে সাকিবের পারফরম্যান্স। লিটনের রানে ফেরা। রাব্বী-সজিবের বোলিং। আল-আমিনের পরিণতবোধ!
দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের অবস্থান কই এখন? হাপিত্যেশ করছেন অনেকেই। কিংবা সবাই সামনের আন্তর্জাতিক সিরিজ বা সামনের বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিকে তাকিয়ে আছেন! এটাই তো স্বাভাবিক, নাকি?
যেমন খেলাঘরের মতো ক্লাব, যাঁদের মাঠ নেই, কাঠামো নেই, তাঁদের প্রিমিয়ার লিগ খেলাটা স্বাভাবিক। দেশের ক্রিকেটেরই তো একটা প্রতীক খেলাঘর।
দেশের ক্রিকেটেরই তো প্রতীক এই ক্লাবগুলো। মাঠ নেই, কাঠামো নেই।
একটু পরপরই বেড়িয়ে পড়ে রুগ্ন চেহারাটা। আমরা তখন চোখ ফিরিয়ে নেই।
আমাদের চোখ তখন থাকে সামনের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।
আমাদের চোখজোড়ার মঙ্গল হোক।
আমাদের ক্রিকেটের 'স্বাভাবিক' রকমের 'অস্বাভাবিক' ঘটনাগুলোর পরিবর্তন হোক, এই মঙ্গলটাও চাইবেন নাকি এই সুযোগে?
- 0 মন্তব্য