আমি মারাকানা দেখিনি, আমি মিরপুর দেখেছি
পোস্টটি ১৪৩২৪ বার পঠিত হয়েছে১.
গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে ঘড়ি দেখলাম।
সন্ধ্যা ৭টা বেজে ২০ মিনিট। নাহ, সাড়ে সাতটার মধ্যে ঢোকা গেল না বোধহয়। তিক্তমনে ভাবলাম আমি।
ফাল্গুনের মাঝামাঝি। শীতকাল শেষ হয়ে গেছে বটে কিন্তু এখনও রাতে ভালোই ঠাণ্ডা পড়ে; বাইরে বেরোতে গেলে সোয়েটার-জ্যাকেট পরে বেরোতে হয়। এই সময়ে গরমে হাঁসফাঁস করার কোনও কারণই নেই। তারপরেও প্রচণ্ড গরম লাগছে কারণ আমি দাঁড়িয়ে আছি এক বিশাল সাপের মতো লম্বা লাইনে, চারদিকে প্রচুর মানুষের ভিড়। লাইনের শেষটা দেখতে পাচ্ছি, প্রতিমুহূর্তে সেখানে নতুন মানুষ যুক্ত হয়ে সাপের দৈর্ঘ্য ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে। লাইনের শুরুটা দেখার কোনও উপায় নেই, কারণ প্রথমমাথা ঢুকে গেছে বাঁশ দিয়ে ঘেরা এক জায়গায়। কোরবানির হাটে এরকম বাঁশের বেড়া দেখা যায়। এখানে এরকম বেড়ার কারণ কী কে জানে!!
আবার ঘড়ি দেখলাম। যাহ! সাড়ে সাতটা বেজে গেছে, ব্যাটিঙে নেমেও গেছে পাকিস্তান। অথচ দুইহাতের বেশি এগোতে পারিনি এখনও। এমন চললে তো সারারাত লেগে যাবে স্টেডিয়ামে ঢুকতে।
বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, এশিয়া কাপ ২০১৬। ঢাকার বুধবার বিকেলের জ্যাম ঠেলে গলি, তস্য গলি, তস্য তস্য গলি পার হয়ে বনশ্রী থেকে মিরপুর এসেছি খেলা দেখার জন্য। জ্যামের কারণে সিএনজি থেকে নেমে হেঁটে আসতে হয়েছে অনেকটা পথ।
হঠাৎ করেই চিৎকার করে উঠল স্টেডিয়ামের মানুষ। কী ব্যাপার! কেউ আউট হয়েছে বোধহয়। ক্রিকইনফো চেক করলাম তাড়াতাড়ি। হ্যাঁ, খুররম মনজুর আউট। পাকিস্তানের স্কোর ১/১।
যদিও মারাকানা স্টেডিয়াম আর মিরপুর স্টেডিয়ামের কোনও তুলনাই হয় না তবুও মিরপুর স্টেডিয়ামের এই জনসমুদ্রের গর্জন শুনে আমার কেন যেন ৬৬ বছর আগের ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামের কথা মনে পড়ে গেল।
২.
১৯৫০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের মারাকানার সেই ফাইনালে আমি ছিলাম না। থাকার কথাও নয় কারণ আমার জন্ম তো পরের কথা, আমার পিতাই জন্মেছেন তার দু’বছর পরে। তবুও সেই ম্যাচ নিয়ে এত গল্প শুনেছি যে মনে হয় সেই ম্যাচের প্রত্যেকটা দৃশ্য আমার নিজের চোখে দেখা। সেদিনও এরকমই গর্জন ছিল মারাকানাতে। ১ লক্ষ ৯৯ হাজার মানুষের গর্জন কেমন হতে পারে তা কল্পনা করে নিতে পারেন চাইলে!!
সেবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল ছিল লিগ ভিত্তিতে, যেখানে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে উরুগুয়ের জয় লাগবেই আর ব্রাজিলের ড্র হলেই চলবে। ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হলো গোলশূন্য অবস্থায়। হাফটাইমের পর পর ফ্রিয়াকা গোল করে এগিয়ে দিলেন ব্রাজিলকে। হইচই আর গর্জনে মনে হতে লাগল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বোধহয় হয়েই গেছে ব্রাজিল। তার মিনিট বিশেক পর সমতা ফেরালেন উরুগুয়ের শিয়াফিনো, তবুও বন্ধ হয়নি ব্রাজিলিয়ানদের উৎসব। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে বল পায়ে পেয়ে গেলেন উরুগুয়ের অ্যালসিডেস ঘিঘিয়া। বল পেয়েই বোকা বানালেন ব্রাজিলের লেফটব্যাক বিগোদাকে। ব্রাজিলের গোলকিপার ছিলেন বারবোসা। ঘিঘিয়া পাস দেবেন ভেবে পজিশন থেকে একটু সরে গেলেন তিনি। আর সেই সাথে জীবনের ‘অমার্জনীয়’ ভুলটা করে ফেললেন। তিনি সরে যাওয়াতে ফাঁকা জায়গা পেয়ে শট নিলেন ঘিঘিয়া। নৈঃশব্দ্যের চাদরে ঢেকে গেল পুরো স্টেডিয়াম। শেষ বাঁশি বাজার পরে মারাকানা তো বটেই, গোটা ব্রাজিল হয়ে গেল কবরের মতো নিস্তব্ধ।
৩.
‘টিকিটটা দেখি!’ রুক্ষগলায় কেউ একজন বলল আমাকে।
চিন্তার সূতো ছিঁড়ে গেল। দাঁড়িয়ে আছি টিকিটচেকারের সামনে। লাইনে দাঁড়িয়ে চিন্তা করতে করতে কখন যে সামনে চলে এসেছি খেয়ালই করিনি। শক্তহাতে ধরে থাকা টিকিটটা চেকারের কাছে দিয়ে দিলাম। সে মেশিনে চেকটেক করে বলল, ‘যান।’
ভিতরে ঢুকে পড়লাম। ঢুকেই পড়লাম তল্লাশীর মুখে। পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে গোটা দুই-তিন। তাদের একজন সারা শরীর সার্চ করে বলল, ‘সিগারেট, লাইটার যা আছে ফেলেন।’
সিগারেট খাই না, তাই ফেলারও কিছু নাই। তবে সারাবছর ঠোঁট ফাটে এই কারণে ভ্যাসলিনের একটা কৌটা পকেটে রাখি। পুলিশকে দেখানোর সাথে সাথে তড়িৎ উত্তর, ‘ফেলেন।’
কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। বাংলাদেশের পুলিশের সাথে তর্ক করা কোনও বুদ্ধিমান মানুষের কাজ নয়।
৪.
স্টেডিয়ামে ঢুকে যখন বসলাম তখন পাকিস্তানের স্কোর ৯/১, ৩য় ওভার চলে বোধহয়। বসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শারজিল খানকে তুলে নিল আরাফাত সানি।
সে এক স্কোরকার্ড বটে। ৪ ওভারে ২ উইকেটে ১২ রান। আর স্টেডিয়ামে সে কী গর্জন!!! স্টেডিয়ামে যারা ছিলেন না তারা কল্পনাও করতে পারবেন না কী চলছিল ভিতরে। আউট হলে তো কথাই নেই, বাংলাদেশের কোনও ফিল্ডার যখন বল ধরে ফেরত পাঠাচ্ছিল তখনও চিৎকার করছিল দর্শকেরা।
আগের আউটের রেশ না মিলাতেই আবার উইকেট পড়ল পাকিস্তানের। এবার বোলার স্বয়ং মাশরাফি। মাশরাফি, বুক যার বাংলাদেশের হৃদয়।
মাশরাফি মোহাম্মদ হাফিজকে তুলে নিলেন দলীয় ১৮ রানে। এর ওভার তিনেক পরেই উমর আকমলকে আউট করে পাকিস্তানের স্কোর ২৮/৪ বানিয়ে দিলেন তাসকিন। বৃষ্টির মতো টুপটাপ উইকেট পড়ছিল। শাইনপুকুরের ভাষায়, ‘স্বপ্ন হলো সত্যি, উইকেটের পর উইকেট।
১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩০/৪। সেই স্কোরবোর্ড দেখেও কী যে শান্তি তা বলে বোঝানো যাবে না। ১০ ওভারে ৩০ রান ওয়ানডেতেও যেখানে খুব খারাপ হিসেবে বিবেচিত হয়, সেখানে টি-২০তে রীতিমতো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। পাকিস্তানকে আমরা বাধ্য করেছি সেই রান করতে এবং গ্যালারিতে বলাবলি চলছে যে ৫০’এর মধ্যে অলআউট করা যায় কিনা।
এই অবস্থায় যা হয় তা হলো কোনও একজন বা দুজন ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিয়ে খেলা শুরু করে। ঠিক তাই হলো, সরফরাজ এবং শোয়েব দায়িত্ব নিয়ে খেলা শুরু করল। সরফরাজের সাথে ৪০ বলে ৭০ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৯৮ রানে যখন শোয়েব ফিরছে তখন অন্য কারও কথা জানি না, তবে একটা শীতল স্রোত বয়ে গিয়েছিল আমার শিরদাঁড়া বেয়ে। কারণ ব্যাট করতে নামছে সাহিবজাদা শহীদ খান আফ্রিদি।
২০১৪ সালের এশিয়া কাপের সেই ম্যাচটা এখনও আমাকে পোড়ায়। কোনওদিন যদি বিশ্বকাপ জিতি তাও হয়তো পোড়াবে। আমি কিছুতেই ভুলতে পারি না শহীদ আফ্রিদি কীভাবে একা জেতা ম্যাচটা আমাদের হাত থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছিল। আর সব বাদ রাখি, এই একটা কারণেই আমি তাকে কখনও ক্ষমা করতে পারব না।
যাই হোক, আমার দুশ্চিন্তা বেশিক্ষণ থাকল না। প্রথম বলটা ঠেকাল সে, দ্বিতীয় বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট। ‘ধ্রুপদী সেঞ্চুরির স্বপ্ন ক্যাচআউটে মিলিয়ে দিয়ে’, ‘মাত্র ১০০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করে’ প্যাভিলিয়নে ফিরল সাহিবজাদা।
স্কোর তখন ১০২/৭। পাকিস্তান ইনিংসের আর ১৫ বল বাকি। ১৫ বলে আর কতোই বা করা যায়? দলে গেইল অথবা এবি থাকলে আলাদা কথা।
শেষদিকে আনোয়ার আলির ৯ বলে ১৩ রানের ছোট একটা ঝড় উঠল। তাতেই পাকিস্তানের স্কোর গেল ১২৯ এ। বাংলাদেশের সামনে টার্গেট ২০ ওভারে ১৩০।
৫.
২০ ওভারে ১৩০ কোনও ব্যাপারই না। স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকে খেলেননি তামিম। এই ম্যাচেই ফিরলেন, আউট হলেন ৭ রান করে। তবে সৌম্যর কাছ থেকে একটা ভালো ইনিংস পাওনা ছিল। ৪৮ বলে ৪৮ টি-২০’র মানদণ্ডে আহামরি কিছু নয় অবশ্যই, কিন্তু ইনিংস বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই। দলীয় ৪৬ রানে সাব্বির আউট হয়ে গেলেও বাংলাদেশ যে জিতবে না এটা মনে হয়নি একবারও। দলীয় ৮৩ রানে সৌম্য যখন আমিরের বলে বোল্ড হয়ে গেল তখনই আমার মাথায় এল, এই ম্যাচ বাংলাদেশ জিতবে ঠিকই কিন্তু কঠিন করে জিতবে। কিছুক্ষণ পরেই মুশফিক আউট। অনেকেই বলেছেন আম্পায়ারের ভুল ছিল, কিন্তু ওইসময়ে কেন রিভার্স সুইপ খেলতে হবে এটাই আমি বুঝলাম না। ম্যাচ যদি কোনওভাবে বাংলাদেশ হেরে যেত, তাহলে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হতো মুশফিকের আউট।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান হলো ৯৫। ২৪ বলে দরকার ৩৫। হাতে ৬ উইকেট।
আমি হিসাব করলাম আমির আর ইরফানের বাকি আছে ১ ওভার করে। আর বাকি ২ ওভার করবে সামি, শোয়েব/আনোয়ার। সেক্ষেত্রে ১৮তম ওভার যাবে ইরফানের কাছে, ১৯তম ওভার যাবে আমিরের কাছে। বাকি ২ ওভার অন্যরা ভাগাভাগি করে নেবে।
ওয়ানডেতে সবচেয়ে ভাইটাল ওভার হলো ৪৯তম ওভার, তারপরেই ৪৮তম ওভার। টি-২০তে এটা হয়ে যায় ১৯ এবং ১৮। আফ্রিদি যে ক্যাপ্টেন্সির ‘ক’টাও জানে না সেটা আমি সেই মুহূর্তে আরেকবার বুঝলাম। ১৭তম ওভার দিল সে ইরফানকে। আপনি আপনার সেরা ২ বোলারের একজনকে কেন ১৮ বা ১৯ ওভারের জন্য রাখবেন না? ওই ওভারে রান উঠল ৯। ৩ ওভারে দরকার ২৬। ১৮তম ওভার করতে যে এলো আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলাম না। আমির? এই সময়ে? টেনশন কাজ করছিল, কিন্তু আমিরকে দেখে আমি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম এই ম্যাচ আমরাই জিতছি। আফ্রিদি, ইরফানের ওভার শেষ। আমিরের ওভারও এই ওভারের পরেই শেষ। ১৯তম ওভার কে করবে? সামি অথবা আনোয়ার? নাকি শোয়েব?
সাকিবের আউটের পরে নামলেন মাশরাফি। ম্যাচ এতক্ষণ যদি সমানসমান হয়েও থাকে, এবারে বাংলাদেশের দিকে হেলে পড়ল। কারণ মাশরাফি এমন একজন নেতা, যার তুলনা করা যায় ‘৩০০’র কিং লিওনাইদাসের সঙ্গে। নেমেই ২টা চার মারলেন। ব্যস, ২ ওভারে ১৮ দরকার। কোনও ব্যাপারই না, বিশেষকরে মাশরাফি তো আছেনই, সাথে আমাদের ‘ডার্ক নাইট’ রিয়াদও আছেন।
১৯তম ওভারের প্রথম ৩ বল বেশ ভালোই করল সামি। ৯ বলে দরকার ১৫। গ্যালারীতে উসখুস। একটা বিগশট দরকার। ৬ অথবা ৪। মাশরাফি এমন সময় বল তুলে দিলেন, সোজা গিয়ে পড়ল এক পাকি ফিল্ডারের হাতে। আমি হাত দিয়ে চোখ ঢেকে ফেললাম। কিন্তু কী ব্যাপার!!! বস আউট হয়ে গেল, দর্শকরা চিল্লায় কেন? চোখ খুলে দেখি নো-বল। দৌড়ে ২ রান সাথে ১ নো-বলে বিনাবলে ৩ রান পেয়ে গেলাম। ৯ বলে তখন দরকার ১২।
এই নো-বলটা করে বাংলাদেশের চাপটা সামি নিজের উপরে নিয়ে গেল। পরের নো-বলটা আর কিছুই না। স্রেফ চাপের কারণে। খেলা তো আসলে ওই ওভারেই শেষ।
থ্যাংক ইউ, আফ্রিদি!! সামিকে ১৯তম ওভারটা দেওয়ার জন্য। ২ বছর আগে এই মিরপুরেই আমাদের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে গিয়েছিলে। এবার আমরা হাসলাম। চক্রটা এভাবেই পূর্ণ হয়।
লাস্ট ওভারে ৩ রান দরকার ছিল। ভাবলাম ম্যাচ যেহেতু হাতের নাগালে তাই বাংলাদেশ আর ঝুঁকি নেবে না বোধহয়। কিন্তু বাংলাদেশ যে এখন আসলেই বড় দল, তার প্রমাণ পেলাম ২০তম ওভারের প্রথম বলে। মিডউইকেট দিয়ে বল আছড়ে ফেললেন রিয়াদ মাঠের বাইরে। আমি ভাবলাম ছক্কা কিন্তু পরে শুনি চার। কী এসে যায়!!
রিয়াদ এই শটটা খেলার পরপরই আমি সরফরাজের দিকে তাকালাম। কোমরে হাত দিয়ে হতাশ আর বিষণ্ণদৃষ্টিতে চেয়ে আছে বলের দিকে। তার দৃষ্টিই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার দিন শেষ হয়েছে।
৬.
বাংলাদেশের অনেক স্মরণীয় জয়ের সাক্ষী হয়েছি আমি। ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটন থেকে ওয়েলসের কার্ডিফ, ত্রিনিদাদের পোর্ট অফ স্পেইন থেকে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড ওভাল। তালিকা করতে গেলে মিরপুরের এই ম্যাচ হয়তো আমার কাছেও সব থেকে সেরা হবে না, তারপরেও এই ম্যাচের প্রতি আমার অন্যরকম একটা ভালোলাগা আছে এই কারণে যে বাংলাদেশের এই জয়ে আমি নিজে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলাম। জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবসে একসমুদ্র মানুষের মাঝে পাকিস্তানকে হারিয়ে ছিটকে ফেলেছিলাম এশিয়া কাপ থেকে।
‘আমি মারাকানা দেখিনি, আমি মিরপুর দেখেছি।’
- 0 মন্তব্য