'শত্রুর' কাছে রোনালদোভক্তের চিঠি
পোস্টটি ৩১৬৪৫ বার পঠিত হয়েছে
প্রিয় লিওনেল,
আজ সকালে যখন থিয়াগো, মাতেও, চিরো, আন্তোনেলার শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে ঘুম ভাঙ্গল; তখন কি কিছুটা অন্যরকম অনুভব করেছিলেন? আয়নার দিকে তাকিয়ে কি মনে হয়নি, “এবারের জন্মদিনটা কি আসলেই বিগত বছরগুলোর মত?” সেদিনের সেই ছোট্ট লিও নাকি আজ ৩৩-এ পা দিল- মানা যায় ব্যাপারটা! আপনার ‘শত্রুপক্ষের’ সাবেক কোচ হোসে মরিনহো বছর তিনেক আগে বলেছিলেন, “আজ থেকে পাঁচ বছর পর মেসির বয়স হবে ৩৫। তখন এ ব্যাপারে আমরা সবাই দুঃখভারাক্রান্ত হয়ে পড়ব”। আর দশজনের মত ত্রিশের ঘরেই ক্যারিয়ারের গোধূলিবেলা দেখবেন না- তা তো সবারই জানা। কিন্তু ফুটবলীয় দেবতার ক্যারিয়ারের সায়াহ্নের ঘণ্টা বেজে উঠলো- সমর্থকদের অপ্রস্তুত করে দিতে যে এটাই যথেষ্ট!
একজন মাদ্রিদিস্তার জন্য আপনাকে অবশ্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো একটু মুশকিল। আপনাকে নিয়ে ইতিবাচক কিছু বললেই বহন করতে হয়ে 'প্লাস্টিক ফ্যান', 'দালাল' ট্যাগসমুহ। ২০১৬-১৭ মৌসুমের ক্লাসিকোর কথাই বলি, আপনি প্রায় একাই বার্নাব্যুতে আমাদের হারিয়ে দিলেন। অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোলের পর জার্সি ধরে আপনার সেই উদযাপন এখনও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, হয়তো ভুলবো না কখনোই। অথচ ঐ ক্লাসিকোতে ফেভারিট ছিলাম আমরাই। মার্সেলোর কনুইয়ের অনিচ্ছাকৃত আঘাতে ভূপাতিত, রক্তাক্ত এক মেসি এভাবে আমাদের হাসি কেড়ে নেবেন- এমনটা কয়জনইবা ভেবেছিল? অবশ্য আপনি কখন কীভাবে জ্বলে উঠবেন, তা যদি লোকে আগে থেকেই ঠাওর করতে পারতো, তাহলে ত্রিশের কোঠায় পৌঁছুনোর আগেই ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার’-এর উপাধিটা আপনার কপালে জুটতো কিনা সন্দেহ।
এই প্রজন্মের একজন হিসেবে আপনার ক্যারিয়ারটা তো চোখের সামনেই দেখা। রামোস, রবার্তো কার্লোস, ফাবিও ক্যানাভারোদের বিপক্ষে ১৯ বছরের কাঁধছোঁয়া কিশোর মেসির হ্যাটট্রিক থেকে বার্নাব্যুকে স্তব্ধ করে জার্সি উঁচিয়ে দাঁড়ানো সোনালী চাপ দাঁড়ির মেসি- সবকিছুই যেন ভাসছে চোখের সামনে। রোনালদো সবসময়ই আমার প্রিয় খেলোয়াড় ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। আপনার এবং রোনালদোর মাঝে বেছে নিতে বললে আমি রোনালদোকেই নেব, কিন্তু...কিন্তু চোখের সামনে যখন একজন খেলোয়াড় একের পর এক বিস্ময়কর কারিকুরি, মৌসুমের পর মৌসুম অভাবনীয় পারফরম্যান্স উপহার দিতে থাকে, তখন কি তাকে আসলেই অগ্রাহ্য করা যায়?
২৩ বছর বয়সে যখন একজন ফুটবলারকে বিশ্ব কেবল চেনা শুরু করে, সেই বয়সেই আপনার বিশ্বসেরা হয়েছিলেন তিনবার! ক্রুইফ, ব্রাজিলীয়ান রোনালদোরা যেখানে পুরো ক্যারিয়ারে সোনার বলটা জিতেছিলেন মাত্র ৩বার, সেখানে আপনার ট্রফিকেসে এখনই শোভা পাচ্ছে ৬টি বিশ্বসেরার খেতাব। সব ঠিক থাকলে হয়তো এই সেপ্টেম্বরেই ব্যালন ডি অর জিতবেন আরও একটি। হোক সে আপনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, অর্জনের তালিকাটা যার এত বড়- তাকে কি আসলেই আপনার ছোট করে দেখাটা মানায়?
৬বারের বিশ্বসেরা হওয়ার শুরুর দিকের গল্পগুলোও যেন একেকটা কিংবদন্তী। হরমোনজনিত জটিলতা যাকে দমাতে পারেনি, মাঠের প্রতিপক্ষ সেখানে আর কতটা প্রতিরোধই বা গড়ে তুলবে! সেই ছোটবেলায়ই পায়ের জাদুতে সম্মোহিত করেছিলেন বার্সার হর্তাকর্তাদের, টিস্যু পেপারে প্রথম চুক্তিসইয়ের কাহিনী তো সবারই জানা। প্রথম ট্রেনিংয়েই বয়সে, গঠনে বড় পিকে, পুয়োলদের রীতিমত নাকানিচুবানি খাইয়েছিলেন, তখন ডাগআউটে দাঁড়ানো ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড বুঝে গিয়েছিলেন আপনার মাহাত্ম্য। জাভি তো বলেই দিয়েছিলেন, "এই ছেলে দেখি আমাদের অবসর করিয়েই ছাড়বে!" নাহলে এতো, রোনালদিনহোদের সাথে কেন এক ১৬ বছর বয়সী ছোকরাকে নামিয়ে দেবেন তিনি? সেসময়ের প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তের ভয় ছিল, ছেলেটা কি আসলেই মানিয়ে নিতে পারবে প্রচন্ড প্রতিযোগীতামূলক এই জগতে? শুধু লাপোর্তে নন, এমন আশঙ্কা ছিল খোদ আপনার বাবার। দেড় দশক পর আশা করি সবাই নিজেদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।
২০০৪-০৫ মৌসুম থেকে রিয়ালের প্রেমে পড়লেও অন্য দলগুলোর খেলা দেখা হত না তেমনটা। ২০০৮-এর বিশ্বসেরার দৌড়ে যখন রোনালদোর কাছে হেরে রানারআপ হলেন; তখন থেকেই সবাই জেনে গিয়েছিল, স্পেশাল কেউ এসে গেছে। সেই থেকে আজ অব্দি পর্যন্ত আমি হলফ করে বলতে পারি- ফুটবল পায়ে আপনাকে যা করতে দেখেছি, তার অনেক কিছুই রক্তমাংসে গড়া একজন মানুষের পক্ষে সম্ভবপর বলে আমার জানা ছিল না। লম্বাচুলের লাজুক সেই ছেলেটি আজ বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবের প্রাণভোমরা- ধারণাটা সত্য না মিথ্যা তা যাচাইয়ের দায়িত্ব আপনাদের ওপরই ছেড়ে দিলাম। বর্ষীয়ান আর্সেন ওয়েঙ্গার পর্যন্ত একবার বলেছিলেন, “মেসি তো আসলে প্লেস্টেশন খেলোয়াড়”। ঠাট্টাচ্ছলে বললেও কথাটা কিন্তু খুব একটা ভুল ছিল না।
সেই স্কুলের গন্ডি না পেরুনো আমাকে আপনার যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করতো, সেটা হল গোল না পেলেও বার্সা বা আর্জেন্টিনার বেশিরভাগ জয়ের মূল কুশীলবটা হতেন আপনিই। ৫-০ এর ক্লাসিকোটার কথাই ধরুণ না। গোল পাননি, কিন্তু রামোসদের রীতিমত নাচিয়ে ছেড়েছিলেন সেদিন। গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোতে আপনার জুড়ি মেলা ভার। ফুটবলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ক্ষেত্রে একই সাথে এতটা পারদর্শীতা কারো মধ্যে দেখিনি, হয়তো দেখবোও না। বল পায়ে হাঁটতে হাঁটতে এমন সব পাস ছেড়েছেন, যা দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। ড্রিবলিংয়ের কথা আর না-ই বললাম। পাওলো মালদিনি মত কালজয়ী একজন যখন বলেন, “আমার কপাল ভাল যে আমাকে বেশিবার মেসির সম্মুখীন হতে হয়নি”, তখন এ ব্যাপারে আর কিছু না বললেও চলে।
এতসব গুণাগুণ, এতসব অর্জনের পরেও কৈশোরের সেই লাজুক হাসি এখনো মুখে লেগে থাকে। বিশ্বসেরার দাবিটা উঠলেই প্রতিবারই তা ছেড়ে দিয়েছেন সমর্থকদের ওপরই। আপন স্বার্থের দিকে কখনোই আপনাকে ঝুঁকতে দেখা যায়নি। বিগত মৌসুমের কথাই চিন্তা করি। বার্সার খেলা দেখে থাকলে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত না যে মেসি মোটামুটি একজন মিডফিল্ডার হিসেবেই পুরো মৌসুম কাটিয়েছেন। এরপরেও জিতে নিয়েছেন ইউরোপীয়ান গোল্ডেন বুট। আপনার মাহাত্ম্য এখানেই। মাঠে যেখানেই খেলুন না কেন, প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট যেন আপনাকেই খুঁজে বেড়ায়...
গত বছর দুয়েকে গোল করা, করানো, ড্রিবলিং, সুযোগ তৈরি- ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগ মিলিয়ে সব দিক দিয়েই এগিয়ে আছেন আপনিই। ছুঁয়েছেন ১০০ ইউরোপিয়ান এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ গোল, বার্সার জার্সিতে লা লিগায় ৪০০ গোল, ক্যারিয়ারে ৭০০ গোল থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে এখন আপনি, টানা ৩ এবং রেকর্ড ৬টি গোল্ডেন বুট- বাদ যায়নি কিছুই। একসময় ফ্রিকিক নিয়ে সমালোচনা শোনা আপনিই এখন খুব সম্ভবত ফ্রিকিকে ইউরোপ সেরা। কিন্তু স্পেনে একচ্ছত্র আধিপত্য চললেও চ্যাম্পিয়নস লিগটা রয়ে গেছে অধরা। ২০১৭-১৮ মৌসুমে রোমা, বা গত মৌসুমে লিভারপুল- প্রথম লেগে আপনার জাদুতেই এগিয়ে গিয়েছিল বার্সা, কিন্তু দুই টাইয়েরই দ্বিতীয় লেগে অসহায় আত্মসম্পর্ণের পর শূলে চড়ানো হয়েছিল আপনাকেই।
ফুটবল পায়ে জাদু দেখানো ,মানুষটা বড় ম্যাচে নেতৃত্ব বা পারফর্ম করতে পারেন না- অপবাদটা তাই থেকেই যাচ্ছে। গত বছরের কোপা আমেরিকার কথাটা আপনি হয়তো মনে করতে চাইবেন না। গত বছর নিজের জন্মদিনে কাতারকে হারিয়ে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে গেলেন কোয়ার্টারে। ২৬ বছর পর কোপা শিরোপা পুনরোদ্ধার করতে স্বাভাবিকভাবেই এখন আপনার জাদুতেই স্বপ্ন দেখছিল আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু কিছু রূপকথার যাত্রা পরিণত হয় দুঃস্বপ্নে।
২০১৯ কোপাও আপনার জন্য হয়তো ছিল এমন কিছু। নিজেকে আর তেমন মেলে ধরতে পারেননি, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল সেমি থেকে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে লাল কার্ড। এরপর ব্রোঞ্জ মেডেল নিতে স্টেজে না যাওয়া, কর্তৃপক্ষকে ব্রাজিলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব এবং দুর্নীতির অভিযোগ আনা- এমন মেসিকে তো আগে আমরা দেখিনি! ছাড় অবশ্য পাননি। নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল আপনাকে। ২০২০-এর কোপায় কলম্বিয়ার সাথে যৌথভাবে আয়োজক হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। হয়তো এবারই সেই পরম অরাধ্য আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু বাঁধ সাঁধল করোনাভাইরাস। তাই অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২০২১ পর্যন্ত।
বর্ণীল ক্যারিয়ারে অবশ্য কালো অধ্যায়ও আছে বেশ। চার বছর হয়ে গেলেও করফাঁকির মামলাটা এখনো গড়াচ্ছে আদালতে। গত বছর চিলির সাথে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল হেরে অবসরের আকস্মিক ঘোষণাটা মেনে নিতে পারিনি একেবারেই। সমগ্র আর্জেন্টিনার চাপ, মানসিক অবস্থা- সব মিলিয়ে আপনার অবস্থাটা কিছুটা অনুমান করতে পারি। কিন্তু তাই বলে এভাবে দেশকে ছেড়ে দেওয়া, আবার মাত্র মাস তিনেক পরই ফিরে আসা- ব্যাপারটা একেবারেই ভাল ঠেকেনি আমার কাছে। দেশের হয়ে তিনটি ফাইনালে খেললেও আর্জেন্টিনার ঠিক প্রিয়পাত্র নন এখনও।
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা না বোঝা এই আর্জেন্টাইনরাই আবার রাজপথ সয়লাব করে ফেলেছিলেন আপনার অবসরের সিদ্ধান্ত বদলাতে। সেই অবসর ভেঙ্গে একেবারে নড়বড়ে, আত্মবিশ্বাসহীন এক আর্জেন্টিনা দলকে একাই নিয়ে গেলেন বিশ্বকাপের মূলপর্বে। আবারও প্রমাণ করলেন, কেন আপনাকে 'দা মেসাইয়াহ' ডাকা হয়। অনেকে আবার আন্তর্জাতিক শিরোপার অভাবের দোহাই দেয় আপনাকে ছোট করতে। শিরোপাই যদি সব হত, তাহলে টট্টির মত শিল্পীদের দিকে কেউ ফিরেও তাকাতো না...
কেবলমাত্র ফুটবলীয় মানদন্ডে মাপলে আপনার নিন্দুকের সংখ্যাটা হওয়া উচিত শুন্যের কোঠায়। এমনি এমনি তো আর আপনার 'গুরু' রোনালদিনহো বলেননি, "আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম আক্ষেপ মেসির সাথে আরো দীর্ঘদিন খেলতে না পারা"। আসল ব্যাপারটা কি জানেন? মেসি-রোনালদোদের এত নিন্দুকের মূল কারণ ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। রোনালদো লিমা, রোনালদিনহোরা যখন খেলতেন, তখন ইন্টারেনেটে ‘ফুটবল ফ্যানবেজ’ ছিল নিতান্তই নগণ্য। এখন তাদের আর আপনাদের নিন্দুকের সংখ্যা মেপে দেখুন, আসল কারণ এবং উত্তরটা পেয়ে যাবেন।
আমি তো মনে করি পারস্পারিক এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়িই আপনাদের মত দুই মহীরূহের এত নিন্দুকের মূল কারণ। লা লিগার প্রবীণ ধারাভষ্যকার পল গিবলিন সর্বশেষ ক্লাসিকোতে আপনার জয়সূচক গোলের পর বলেছিলেন, “আপনি যদি ফুটবল ভালবাসেন, তাহলে মেসিকে ঘৃণা করা আক্ষরিক অর্থেই অসম্ভব। আমাদের এমন কাউকে দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে, যার মত কেউ হয়তো আগামী কয়েক শতাব্দীতেও আসবে না”...
চিঠির শেষ পর্যায়ে এসে একটা কথাই বলতে চাই। ধন্যবাদ, লিওনেল মেসি। ‘চিরশত্রু’দের একজন হয়েও আপনি আমাকে শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিপক্ষকে যথার্থ সম্মানটুকু দিতে হয়, বিশেষত সে যখন সর্বকালের সেরাদের একজন। আপনার জাদুতে এতটাই মুগ্ধ হয়েছি, এটা স্বীকার করতে আমি একেবারেই দ্বিধান্বিত নই যে আপনিই আমার দেখা শ্রেষ্ঠ ফুটবলার। নেতৃত্ব গুণাবলি বা চাপে ভেঙ্গে পড়ার দিক দিয়ে হয়তো কিছুটা পিছিয়ে থাকবেন, কিন্তু শুধুমাত্র মাঠে দেখানো জাদুর বিচারে হয়তো আপনার চেয়ে অবিশ্বাস্য কাউকে দেখিনি আমরা। যেই সত্য বছরের পর বছর চোখের সামনে ভাসতে থাকবে, সেটাকে একটা সময় মেনে নিতে বাধ্য হতে হবে সবাইকেই। আজ থেকে দশকখানেক পর আপনি থাকবেন না, তবে ফুটবল এগিয়ে চলবে। আসবে নতুন প্রজন্মের তারকারা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তখনকার বাঁ-পেয়ে কোনো তারকার কারিকুরিতে মুগ্ধ হয়ে বিস্ময় প্রকাশ করবে, তখন আড়ালে থেকে মুচকি হাসবো প্রবীণ আমি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তখন গর্ব করে বলবো, আমি বেঁচে ছিলাম লিওনেল মেসির সময়ে। যার মত অবিশ্বাস্য কেউ কখনো আসেনি, হয়তো কখনো আসবেও না...
ইতি,
আপনার ‘শত্রুপক্ষের’ একজন গুণগ্রাহী
- 0 মন্তব্য