কায়নাত ইমতিয়াজ ও তার হিরোর গল্প
পোস্টটি ৭০২৪ বার পঠিত হয়েছেভারত পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মাঝে বন্ধুত্বের বেশ কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে। এবার শুনুন ঝুলান গোস্বামী ও কায়নাত ইমতিয়াজের গল্প।
ভারতের অলরাউন্ডার ঝুলান গোস্বামী ২০০২ সাল থেকে জাতীয় দলের সদস্য।বর্তমানে তিনি ওয়ানডের এক নাম্বার বোলার। অন্যদিকে পাকিস্তানি বোলার কায়নাত ইমতিয়াজ। জাতীয় দলে যোগদান করেন ২০১০ সালে।
কায়নাত প্রথম গোস্বামীকে দেখেন ২০০৫ সালের এশিয়া কাপে। কায়নাত ছিলেন টুর্নামেন্টের বোলবয়। তখন তিনি এই লম্বা দ্রুত গতির বোলারের নামও জানতেন না। তৎকালিন সবচেয়ে দ্রুত গতির বোলারকে কাছে থেকে দেখে তিনি মুগ্ধ হন। এই মুগ্ধাতাই তাকে ক্রিকেটে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে উদ্বুদ্ধ করে।
২০১৭ সালে বিশ্বকাপে কায়নাত সুযোগ পান আইডলের বিপক্ষে খেলার। খেলার পর প্রিয় খেলোয়াড়ের সাথে দেখা করেন। গোস্বামী কায়নাতকে জানান ১৯৯৭ ওয়ার্ল্ড কাপ তিনি নিজেও বল পিকার ছিলেন। সেবার প্রথম তিনি ওমেন্স ক্রিকেট লাইভ দেখেন। তাও ইডেন গার্ডেনসে। কায়নাত প্রিয় খেলোয়াড়ের সাথে ছবি তুলে পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাথে ক্যাপশন হিসেবে জুড়ে দেন অনুপ্রেরনাদায়ক এক কাহিনি। ভারত ও পাকিস্তান খেলোয়াড় নিয়ে এরকম অভিনব পোস্ট দ্রুত ছড়িয়ে পরে।
হাজার হাজার মানুষ জানতে পারে কিভাবে পাকিস্তানি একজন মেয়ে এক ভারতীয় খেলোয়াড় দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে ক্রিকেটের পথ বেছে নেন। কায়নাত তার পোস্টে বলেন 'ঝুলান গোস্বামীকে সাথে খেলতে পারাটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের। এটা আমাকে আরো অনুপ্রেনিত করবে।'
কায়নাতের পোস্টি এত সাড়া পাওয়ার পর আইসিসি ঝুলান গোস্বামী ও কায়নাচ ইমতিয়াজের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে। সাক্ষাৎকারে গোস্বামী বলেন ‘একজনকে ক্রিকেট খেলতে উদ্বুদ্ধ করতে পারায় আমি আনন্দিত'। ভিডিওটি দেখতে পাবেন আইসিসির ওয়েবসাইটে।
- 0 মন্তব্য