• ফুটবল

রিয়ালের দুর্দশা

পোস্টটি ২১৬৭ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

রিয়াল মাদ্রিদ নতুন রেকর্ড গড়ল। ১১৬ বছরে এত সময় ধরে তারা কখনই গোলবিহীন থাকেনি। অপ্রিয় রেকর্ড। রিয়াল টানা ৫ ম্যাচ জয়বিহীন। অনেকেই বলতে পারেন রোনালদো না থাকায় রিয়ালের এই অবস্থা। কথা যে খুব অসত্য তা কিন্তু না। 

বেচারা লোপেতেগি। বিশ্বাকাপের আগে রিয়ালের সাথে চুক্তি করায় জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হন। তার গড়া সেই স্পেন দল বিশ্বাকাপের বড় দাবিদার ছিল। কিন্তু লোপেতেগির প্রস্থানের পর স্পেন বিশ্বাকাপে বেশি দূর এগোতে  পারেনি। লোপেতেগি রিয়ালে গেলেন। প্রথম কয়েক ম্যাচ ভাল কাটল। যেই না সবাই মনে করা শুরু করলো রোনালদোর শুন্যতা রিয়ালের বাকি খেলোয়াড়া পুষিয়ে দিবেন, তখনই শুরু হল বিপদ। 

আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়া মনে হয়ে গোল করাই ভুলে গেলেন। আসেন্সিও, বেনজেমা ও বেল - যাদের কি না  রোনালদোর জায়গা নেওয়ার অন্যতম দাবিদার মানা হত, তারা আর গোলের দেখা পেলেন না। 

 

43415430_10151668504729953_2602584984048893952_n

 

লেভেন্তের বিপক্ষে খেলায় রক্ষণের সৈনিক  ভারানকে দিশেহারা মনে হল। তার ভুলেই লেভান্তে তাদের  দ্বিতীয় গোলটা করতে সক্ষম হয়ে। অপর দিকে রিয়ালের শট কয়েকবার গোল পোস্টে লেগে ফেরত আসে। কয়েকটা পোস্টের ১-২ ইঞ্চি পাশে দিয়ে চলে যায়। বেনজেমা সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ফিনিশিং ঠিক হচ্ছিল না। রোনালদোর ৭ নং জার্সি প্রাপ্ত মারিয়ানো পুরো ম্যাচ খেলে গোলের দেখা পেলেন না। ৭ নং জার্সির মান রাখতে তাকে আর অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আসেন্সিও একটা গোল করিয়ে ফেলেছিলেন প্রায় কিন্তু ভিএআর তা বাতিল ঘোষণা করলো। ভাসকেজ যেই সুযোগ নষ্ট করলেন সেরকম সুযোগ বছরে ২-৩ বারের বেশি আসে না। শেষ পর্যন্ত গোল খরার সমাপ্তি টানলেন কে? মারসেলো। 

 

Fullscreen capture 20-Oct-18 100850 PM.bmp

 

রিয়াল মুল দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে সংকটে আছে। বেল ইনজুরির কারণে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন। ইসকো ছিলেন অসুস্থ। ভারান ও রামোস আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে কাহিল।  

রিয়ালের মত ক্লাব এই অবস্থায় হাতে হাত রেখে বসে থাকবে বলে মনে করার কিছু নেই। কিছু পরিবর্তন আসবেই। লোপেতেগির বিষয় রিয়ালের অবস্থান কি সেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ। মূল দলের খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া খুব জরুরী হয়ে উঠছে। আসছে ট্রান্সফার মৌসুমে রিয়ালের অংশগ্রহনও হবে দেখার বিষয়। 

 

Fullscreen capture 20-Oct-18 100904 PM.bmp

 

২৮শে অক্টোবর  মহাআকাঙ্ক্ষিত  এল ক্লাসিকো। এরকম ফর্ম নিয়ে এল কাসিকো খেলা রিয়ালের জন্য দুশ্চিন্তাজনক।