সম্ভাবনার টেবিল টেনিস আক্ষেপের টেবিল টেনিস
পোস্টটি ৩৫১৭ বার পঠিত হয়েছেবাংলাদেশে টেবিল টেনিসের নাম শুনলে অনেকের প্রথমেই মনে পরতে পারে তাদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি দুটি রং করা, বামন আকৃতির নেট লাগানো টেবিল আর তার সাথে মাখানো সেই সময়ের দুষ্টুমি ও সবেগে র্যাকেট ঘুরানোর কথা। তখন অনেকে পড়েছিলেন এর ভালোবাসায়, বাধতে চেয়েছিলেন আরো লম্বা সময়ের বাধন। কিন্তু সেই 'স্পোর্টস রুম' এর বাইরে কতোটুকু কি করার থাকে তাদের। বাইরে যে টেবিল টেনিসের টেবিলের টিকিটাও পাওয়া যায় না!!
বাংলাদেশে টেবিল টেনিস খেলা শুরু ৫০ এর দশকে।আর স্বাধীন বাংলার নিজস্ব টেবিল টেনিস ফেডারেশন '৭৪ এ। এর পর বাংলাদেশের মানুষ দেখে টেবিল টেনিসে দেশীয়দের প্রতিভা। ১৯৮০ তে জোবেরা রহমান লিনু তো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পঞ্চমই হয়ে যান, যার ঝুলিতে এখনো আছে সবচেয়ে বেশী সংখ্যকবার টেবিল টেনিসের জাতীয় প্রতিযোগিতায় একক বিভাগে বিজয়ী হবার রেকর্ড! তাছাড়া আছে '৯৭ এ সার্ক ও আশিয়ান এর ১২ টি দেশের মধ্যে তৃতীয় হবার ঘটনা। কিন্তু এর থেকে কিছু বেশী অর্জন কি পাওয়া যেত না?
শুরু থেকেই টেবিল টেনিস এর কার্যকলাপ ছিল ঢাকা কেন্দ্রিক। ফেডারেশনের প্রতিযোগিতা হত ঢাকার ক্লাব গুলোকে নিয়েই। মানুষের সমাগমও কম হত না সেখানে। কিন্তু ফেডারেশন খেলাকে আঞ্চলিক ভিত্তিতে ছড়িয়ে দিতে চাইলে ঢাকার ক্লাবগুলো উৎসাহ হারালো। নতুন নিয়মে টিম ইভেন্টে আঞ্চলিক সংস্থাগুলো দায়সারাভাবে অংশ নিতে লাগল, খেলার জনপ্রিয়তাও কমে গেল। কিন্তু ফেডারেশন কি পারত না মনিটরিং এর মাধ্যমে এসব সংস্থাগুলোর উপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে? যেখানে জেলায় জেলায় খেলার সুযোগ সুবিধা আর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিভাবানদের তোলে আনা যায় সেখানে ঢাকার গন্ডির মধ্যে একে আটকে রাখা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত?
একজন সাধারন মানুষ হিসেবে আশা করা যায় এটুকুই,"আলো দেখুক সকল ক্রিড়াপ্রেমীর স্বপ্ন"।- 0 মন্তব্য