• ক্রিকেট

আনন্দ-বেদনার 'টাই'!

পোস্টটি ৩০৯৯ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

 

আনন্দ-বেদনার 'টাই'!

১৯৯২ এর বিশ্বকাপে 'বৃষ্টি ভাগ্য'-'এর কাছে হেরে সেমিফাইনাল হতেই ছিটকে পড়েছিল চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দুঃসহ স্মৃতি মুছে ফেলার জন্যই ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ খেলতে ইংল্যান্ড গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু বিশ্বকাপ ভেন্যূ বদলিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে ইংল্যান্ড গেলেও প্রোটিয়াদের ভাগ্য আর বদলালোনা। ৯২-এর বিশ্বকাপের মতো ৯৯-এর বিশ্বকাপেও ভাগ্যের কাছে হেরে বিশ্বকাপ হতে ছিটকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ছবিতে দেখুন, মনে হবে অস্ট্রেলিয়ানরা যেন বিশ্বজয়ের উৎসবে মেতেছে। পাশেই হতাশার প্রতিচ্ছবি অ্যালান ডোলান্ড! ছবি দেখে কে বলবে, এই ম্যাচের ফল ছিল আসলে 'টাই'! কিন্তু এই 'টাই' ম্যাচেও যে ছিল জয়-পরাজয়ের গল্প!

এজবাষ্টনে ১৯৯৯- এর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া।এদিন অজিরা প্রথমে ব্যাট করে অ্যালান ডোলান্ড এবং শন পোলকের বোলিং তোপে ৪৯.২ ওভারে দশ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২১৩ রান করেছিল! অস্ট্রেলিয়ার দশটি উইকেট ৯টিই নিয়েছিলেন পোলক এবং ডোলান্ড জুটি। পোলক ৫টি এবং ডোলান্ড ৪টি। সে যাহোক, ২১৪ রানের মামুলি লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভারে প্রোটিয়াদের দরকার ৯ রান, উইকেটে শেষ জুটি। ডেমিয়েন ফ্লেমিংয়ের প্রথম ২ বলেই দুই চারে স্কোর সমান। শেষ ৪ বলে দরকার মাত্র ১ রান। ল্যান্স ক্লুজনার তৃতীয় বলটি খেললেন মিড অনে, নন স্ট্রাইকার প্রান্তেঅ্যালান ডোলান্ড রানআউট হতে হতে বেঁচে গেলেন।পরের বলটি অফের দিকে প্রায় সোজা খেলেই ক্লুজনারের পাগুলে দৌড়! ডোলান্ড একটু এগিয়ে গিয়েও ফিরে এসেছিলেন। যখন দেখলেন ক্লুজনার তার পাশে, ব্যাট ফেলে মরিয়া দৌড়। কিন্তু মাঝ উইকেটে যাওয়ার আগেই রানআউট! ম্যাচ 'টাই'! টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুসারে সুপার সিক্সে পয়েন্ট তালিকায় ওপরে থাকায়,(সেটিও আবার নেট রানরেটে ) অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে উঠে গেল সেমিফাইনাল না জিতেও! আর নাহেরেও বিদায় দক্ষিণ আফ্রিকার!