• ক্রিকেট

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ: সূচনা পর্ব।

পোস্টটি ১০১৪২ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চ। সেরাদের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মেতে উঠে বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি দেশগুলো। বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে একে অন্যের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে হাজির হয় দলগুলো।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে ৭ম বিশ্বকাপ আসর থেকে। এরপর থেকে প্রতিটি আসরেই খেলে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের শুরুটা কিন্তু চমৎকার ছিল। প্রথম আসরেই বাজিমাৎ করে বাংলাদেশ। ৭ম আসরের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান আর বাংলাদেশের সাথে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করা স্কটল্যান্ড কে হারিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে হুলূস্থুল ফেলে দেয়। 

১৯৯৭ সালে আকরাম খানের নেতৃত্বে আইসিসি কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েই বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেসময় ঐ টুর্নামেন্ট না জিতলে আজকে ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই অবস্থানে আসা হত না, সেটা দৃঢ় ভাবেই বলা চলে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উত্থানে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৯৯ থেকে ২০১৫, বাংলাদেশ খেলে ফেলেছে ৫টি বিশ্বকাপ।  খুব যে ভাল করেছে এই সময়ে সেটা বলা যাবে না, আবার একেবারেই যে খারাপ করেছে তা বলাও  ঠিক হবে না। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ছাড়া অন্য সব গুলো আসরেই বাংলাদেশ ভালই করেছে। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোনো ম্যাচেই জয়লাভ করেনি। বাকী সব গুলো বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ কমবেশি ম্যাচ জিতেছে। (৯৯-০১৫) বিগত ৫টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে টিম টাইগার্স মোট ৩৩টি ম্যাচ খেলেছে। এরমধ্যে জয়লাভ করেছে ১১ ম্যাচে, হেরেছে ২০ ম্যাচে বাকি ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। ২০১১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের যৌথ আয়োজক হয়েও অংশগ্রহণ করেছে।

বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স কেমন চছিল,  দেখে নেওয়া যাক.....

১৯৯৯ , ৭ম ওয়ার্ল্ড কাপ।    প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে এসেই বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটের প্রভাবশালী, এশিয়ার ক্রিকেট পরাশক্তি, সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান কে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে হইচই ফেলে দেয়। এছাড়াও স্কটল্যান্ড কেও হারায় বাংলাদেশ। মোট ৫ ম্যাচ খেলে ২টি তে জয়লাভ করে বাংলার টাইগার রা। বাকি ৩ ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। ১ম পর্বেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ হলেও ১২ দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ৯ম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে। এই বিশ্বকাপ ছিল বাংলাদেশের সাড়াজাগানিয়া শুরু, বিশ্বজয়ের আগাম বার্তা।

২০০৩, ৮ম ওয়ার্ল্ড কাপ।  ১ম বার খেলতে নেমেই হইচই ফেলে দেওয়া ক্রিকেটের নবাগত টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ খেলতে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ আসর ছিল আফ্রিকা, কেনিয়া ও জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বিশ্বকাপ আসর। ৬ ম্যাচ খেলে ৫টাই হেরেছে বাংলাদেশ, অন্যটি পরিত্যক্ত হয়েছে। প্রাপ্তির খাতা শূন্য থাকা এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ১৪ দলের মধ্যে ১৩ তম হয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করেছে। ১ম রাউন্ড উতরানোর কোনো প্রশ্নই আসে না।

২০০৭, ৯ম বিশ্বকাপ।  বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল বিশ্বকাপ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বিশ্বকাপ। এখন পর্যন্ত ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচাইতে বেশি দল অংশগ্রহণ করে ঐ বিশ্বকাপে। ১৬ দলের টুর্নামেন্টে ৪টি করে দল ৪ভাগে ভাগ হয়ে খেলে। বাংলাদেশ ১ম রাউন্ডে তৎকালীন ক্রিকেট বিশ্বের প্রভাবশালী ভারতকে হারিয়ে দেয়, এবং তাদের বিশ্বকাপ আসর থেকে ছিটকে দেয়। তখনকার ভারতীয় দল ছিল বিশ্বসেরা।  অভিজ্ঞ টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়, গাঙুলি, লক্ষন, যুবরাজ, কুম্বলের পাশাপাশি ধোনী, গম্ভীর জহির খানের ভারতীয় দল ছিল অপ্রতিরোধ্য।  তারা ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের রানার্স আপও ছিল। তারুণ্যের বাংলাদেশ, বিশ্বকাপে তাদের হারিয়ে ২য় রাউন্ড তথা সুপার এইট নিশ্চিত করে। আর এই বিশ্বকাপ আসরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ, যারা বর্তমানে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান উঁচুতে নিয়ে গেছেন তাদের আবির্ভাব দেখে নেয় ক্রিকেট বিশ্ব। সুপার এইটে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেট পরাশক্তিকে হারিয়ে দেয়। ৯ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ ৩ টিতে জয় লাভ করে, ৬ ম্যাচে হেরে যায়। ১৬ দলের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ৭ অবস্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করে। 

 

২০১১, ১০ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ।   ভারত, শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশও এই বিশ্বকাপের সহ আয়োজক দেশ হিসেবে সম্মানিত হয় ক্রিকেট বিশ্বে। স্বাগতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ তেমন ভাল করতে পারেনি বিশ্বকাপের আসরে। ১ম রাউন্ড খেলেই বিদায় নেয়  সাকিবের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এই আসরে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্রি ছিল ইংল্যান্ড কে হারানো। ৬ ম্যাচ খেলে ৩টি করে ম্যাচ জিতে ও হারে বাংলাদেশ । ১৪ দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯ নাম্বারে।

২০১৫, ১১তম বিশ্বকাপ । বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা আসর ছিল বিশ্বকাপের এই আসরটি। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ টানা অনেক গুলো সিরিজ হারতে থাকে টানা। তখন নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়, এবং অধিনায়ক এর গুরু দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের লিজেন্ডারি ক্রিকেটার মাশরাফির হাতে। মাশরাফির যাদুর ছোঁয়ায় বদলে যায় বাংলাদেশ দল। উদ্যমী, লড়াকু এক বাংলাদেশের জন্ম হয়, যারা শেষ পর্যন্ত না খেলে প্রতিপক্ষ কে ছাড় দিতে রাজি নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এর বিরুদ্ধ কন্ডিশনেও দারুণ ক্রিকেট খেলে বাংলাদেশ। রুবেলের স্বপ্নিল বোলিং আর ম্যাশের ক্যারিশম্যাটিক অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ ইংল্যান্ড কে হারিয়ে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে। প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশ দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। কোয়ার্টার ফাইনালে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বাদ পড়ে যায় ম্যাশ বাহিনী। তবুও এই আসর টি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা আসর হিসেবে বিবেচিত।  ৭ ম্যাচ খেলে ৩ টি ম্যাচে জয়লাভ করে টিম টাইগার্স।  ৩ ম্যাচে হেরে যায় আর অন্যটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।

 

১৫ বিশ্বকাপের পরেই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের উদ্ভব হয়। ঘরের মাঠে যারা অপ্রতিরোধ্য। বিশ্বকাপের পরপরই বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান কে হোয়াইট ওয়াশ করে একই বছরে ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার সাথেও সিরিজ জিতে ক্রিকেটের পরাশক্তি দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।  এরপর থেকেই একের পর এক সিরিজ জিততে থাকে ম্যাশ বাহিনী।  ঘরের মাঠে জেতাটা হয়ে উঠে হরহামেশা ব্যাপার। বিদেশের মাটিতেও বাংলাদেশের পারফর্মেন্সের ধাপ বাড়তে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকায় মাটিতে সিরিজ জয় সেটাই প্রমাণ করে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ম্যাচ গুলো হয়ে উঠে ক্লোজ ম্যাচ। খুব কাছাকাছি গিয়ে কিংবা নিশ্চিত জিতা ম্যাচ হেরে গেলেও ভারত কে জিততে ঘাম ঝড়াইতে হয়েছে। ওডিয়াইয়ের পাশাপাশি অন্য সব ফরমেটেও বাংলাদেশ দারুণ করতে থাকে।

সাম্প্রতিক বছরে বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতে দুটি টুর্নামেন্টে দারুণ ক্রিকেট খেলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ২০১৮ সালে আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত  এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।  সাকিব তামিম বিহীন বাংলাদেশের সাথে ফাইনাল জিততে ভারতকে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয়েছিল। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভাল করতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। 

আর মাত্র কয়েক দিন পরেই ইংল্যান্ড & ওয়েলসে বসবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১২তম আসর । বিশ্বকাপে কেমন করবে বাংলাদেশ সেটা এখন সকল ক্রিকেট প্রেমীর জল্পনা কল্পনার বিষয়। ইংল্যান্ড এর কন্ডিশন বুঝা বড় দায়। কখন যে বৃষ্টি আর কখন যে রোদ কিছুই বুঝার উপায় নাই। কন্ডিশনই বাংলাদেশ দলকে বেশি ভুগাবে। আর কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশ দল আয়ারল্যান্ডে ট্রাই নেশন সিরিজ খেলতে বিশ্বকাপ শুরুর প্রায় ১ মাস আগেই চলে গিয়েছে। ট্রাই নেশন সিরিজে বাংলাদেশের পারফর্ম বিশ্বকাপে অনেক প্রভাব বিস্তার করবে। ইতোমধ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ উইন্ডিজ কে ৮ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে। এই সিরিজের পারফর্মেন্স রশদ জোগাবে বিশ্বকাপে। 

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কে ধাপেধাপে আগাতে হবে। বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ হওয়া উচিৎ নক আউট পর্বে উর্ত্তীর্ণ হওয়া, অর্থাৎ সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। সেমি ফাইনালে উঠা দল গুলোর সাথে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। তখন নতুন লক্ষ সেট করতে পারবে ম্যাশ বাহিনী। তবে সবার আগে লক্ষ হওয়া উচিৎ সেমিফাইনাল। আর বর্তমান বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সব রকম সামর্থ্য আছে বলেই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। 

বিশ্বকাপের স্কোয়াড নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে, হবে। তবে যেটা হয়েছে সেটা নিয়েই যেহেতু খেলতে হবে, তাই আমরা পজিটিভ চিন্তাভাবনা করতে চাই। আমরা এই স্কোয়াড নিয়ে আশাবাদী হতে চাই। অভিজ্ঞতার বিচারে হয়তো ইমরুলের আর কন্ডিশন ও বিপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটের সাম্প্রতিক  পারফর্মেন্স বিবেচনায় হয়তো তাসকিনের স্কোয়াডে যায়গা পাওয়া উচিৎ ছিল। এছাড়া স্কোয়াড ঠিকই আছে বলে আমি মনে করি।

গত বছর বাংলাদেশের বিদেশের সিরিজ গুলো খুব ভাল ছিল। বাংলাদেশের বিশ্বকাপে ভাল করতে রশদ জোগাবে এসব পারফর্মেন্স, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এবারের বিশ্বকাপে অপরাপর দল গুলোর তুলনায় বাংলাদেশ দল অনেক বেশি অভিজ্ঞ। অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকবে টাইগাররা। বাংলাদেশের ৪ জন প্লেয়ারের ৪টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েক জনের ৩টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অভিজ্ঞ আর তারুণ্য দুই মিলে স্কোয়াড খারাপ বলা যাবে না। তাছাড়া, চলতি ট্রাই নেশন সিরিজের পারফর্মের ভিত্তিতে স্কোয়াডে দুই একটা পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। যদিও তা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।  স্কোয়াড যেমনই হোক, ৭-৮ জন প্লেয়ার তো নিয়মিতই, তাদের কোনো পরিবর্তন হবে না একাদশেও। একাদশে ২-৩টি পজিশন নিয়েই মাথা ঘামাতে হবে টিম ম্যানেজমেন্ট কে।

বিশ্বকাপ যেহেতু ইংল্যান্ডে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ কিছুটা আশান্বিত হতে পারে । কেননা এই ইংল্যান্ডেই যে ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তে ১ম বারের মতো বাংলাদেশ সেমি ফাইনাল খেলেছিল। সেই সুখস্মৃতি বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ইংল্যান্ড এর মাটিই হোক বাংলাদেশের বিশ্বজয়ের সাজানো মঞ্চ। সেটাই চাওয়া পাওয়া বাংলার ১৭ কোটি ক্রিকেট প্রেমীর। ১৬ জন সৈনিকের কাধে ভর দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব জয় করুক সেটাই কামনা করি। বিশ্ব জয়ের সকল গুণাবলীই বিদ্যমান বর্তমান বাংলাদেশ দলের মধ্যে। মাশরাফির সম্মোহনী নেতৃত্ব, পঞ্চপাণ্ডবের অভিজ্ঞতা, মোস্তাফিজ, মিরাজদের ধারাবাহিকতা, এই সবই আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে বিজয়ের উল্লাসে মাততে। আমরা স্বপ্ন দেখি, আমরা স্বপ্ন দেখি আমরা স্বপ্ন দেখি।।। শুভ কামনা প্রিয় টিম টাইগার্স। 

facebook.com/thisisRUR