বিশ্বকাপে বাংলাদেশ: ম্যাশ পর্ব।
পোস্টটি ৫০৬৩ বার পঠিত হয়েছেমাশরাফি বিন মুর্তজা, বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরশ পাথর বললে বেশি বলা হবে না নিশ্চয়, বরং সঠিকই বলা হবে বলেই বিশ্বাস করি। তার ছোঁয়ায় হারতে হারতে খাদের কিনারায় চলে আসা দলটি কিনা বিশ্বকাপের মঞ্চে সেরা ৮-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিল! জি হ্যা, তিনিই আমাদের সবার প্রিয় বড় ভাই, ক্যাপ্টেন মাশরাফি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তী নড়াইল এক্সপ্রেস ম্যাশ, এতে কোনো সন্দেহ নাই। ২য় বারের মতো অধিনায়কের গুরু দায়িত্ব কাধে নিয়ে দলের অবস্থাটাই পালটে দিলেন কাপ্তান মাশরাফি। সম্মোহিত করার মতো নেতৃত্ব গুণ দিয়েই তিনি সেরাদের মধ্যে সেরা হয়ে উঠেছেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ২০১৫ বিশ্বকাপে, নিজেদের সেরা সাফল্য পেয়েছিল। এবারও মাশরাফির নেতৃত্বেই খেলবে টিম বাংলাদেশ। তার সম্মোহনী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে, এমনটাই বিশ্বাস সমর্থকদের।
কৌশিক, নড়াইল জেলায় জন্ম, বেড়ে ওঠাও সেখানে। ছোট বেলা থেকেই দুরন্তপনায় ছাড়িয়ে যেতেন অন্যসব বন্ধদের থেকে। পড়ালেখার প্রতি জোখ তার কমই ছিল। ফুটবল খেলতেই বেশি পছন্দ করতো সে ছোটবেলায়। চিত্রা নদীতে সাতার কাটতেও বেশ ভাল লাগতো তার। খেলাধুলা আর দুরন্তপনায় তার সুন্দর শৈশব কেটেছে নড়াইলে।
শৈশবে অন্যান্য খেলার প্রতি বেশি জোখ থাকলেও কৈশরে মাশরাফির ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করে সদ্য কৈশরে পদার্পণ করা কৌশিক । ব্যাটসম্যান হিসেবেই আত্মপ্রকাশ ঘটে বর্তমান বোলার মাশরাফির। দারুণ ব্যাট করে নজর কারেন স্থানীয় ক্রিয়া সংঘটকদের। পরে অবশ্য পেস বোলিং জাদু দিয়েই বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে মাশরাফি বিন মুর্তজার। এর আগে অবশ্য বয়স ভিত্তিক দলের হয়ে নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়েছেন বস ম্যাশ।
২৩ নভেম্বর ২০০১, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিয়াইতে অভিষেক হয় তরুণ এক পেসারের। যে গতির ঝড় তুলে বোলারদের কুপোকাত করতে সিদ্ধহস্ত ছিল। বিশ্ব ক্রিকেটের একজন প্রতিভাধর ক্রিকেটার হিসেবেই আত্মপ্রকাশ ঘটে নড়াইল এক্সপ্রেসের। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি কতোটা অপ্রতিরোধ্য ছিলেন, তা তার রেকর্ড গুলো দেখলেই অনুধাবন করা যায়।
এই ১৭-১৮ বছরের ক্যারিয়ারে বড় ভাই ম্যাশ প্রায় ১১ বার চোটের কারণে মাঠের বাহিরে ছিলেন। ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত গুলো ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তার ইঞ্জুরি। সাত সাতবার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে তার ইঞ্জুরির কারণে। একজন পেস বোলারের দু তিনটা অস্ত্রোপচার করা হলেই তার ক্যারিয়ার থমকে যায়। সেখানে আজও অদম্য মানসিকতার অধিকারী, ম্যাশ খেলে যাচ্ছেন বীরোচিত ভাবেই।
ক্যারিয়ারের সেরা সময় গুলোতে ইনজুরিতে না পড়লে হয়তো বিশ্বের সেরা বোলারের তালিকায় সর্বকালের সেরাদের কাতারে উপরের দিকেই থাকতো মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম। তার ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল সত্যিই অসাধারণ।
২০০৬ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার ছিলেন বড় ভাই ম্যাশ। সেবছর ৪৯ টি উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফি। যা এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে সর্বোচ্চ। এটা তখকার সময়ে, যখন অস্ট্রেলিয়া ,ভারত পাকিস্তান আর ইংল্যান্ডে ছিল বাঘা বাঘা স্পিন পেস বোলার, যখন শ্রীলংকা, ভারত অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড পাকিস্তানে ছিল বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান । সেই সময়ে এসব বাঘা বাঘা বোলারদের পিছনে ফেলে তিনিই হয়েছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার, উল্লেখ্য বাংলাদেশ কিন্তু এতো ম্যাচ খেলার সুযোগ পেত না। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে কতোটা শক্তিশালী ছিলেন তখনকার বোলার মাশরাফি বিন মুর্তজা।
কিন্তু বার বার ইনজুরির কারণে অনেক বেশি সমৃদ্ধ হওয়ার কথা থাকলেও ম্যাশের ক্যারিয়ার ততটা উজ্জ্বল হতে পারেনি। ২০০১ সালে ওডিয়াইতে অভিষেক হওয়ার পরেও ম্যাশ মাত্র ২০৬টা ম্যাচ খেলেছেন সর্বসাকুল্যে। আগেই বলেছিলাম, মাশরাফি কিন্তু প্রথমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ব্যাটসম্যান হিসেবে। যদিও এখন পুরোদম্ভর বোলার তিনি। তবে এখনো মাঝেমধ্যে তার ব্যাটসম্যান সত্ত্বার পরিচয় মিলে জাতীয় দল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু ,সঠিক পরিচর্যা আর ম্যাশ নিজে যদি যত্নশীল হতেন তাহলে হয়তো ক্রিকেট বিশ্ব একজন লিজেন্ডারি অলরাউন্ডার পেত। ওডিয়াইতে ২০৬ ম্যাচ এর ১৫১ ইনিংসে ব্যাট করে মাশরাফি ১৪ গড়ে ১৭৫২ রান করেছেন। ফিফটি একটি। ব্যাট হাতে অনেক ম্যাচেই ছোট ছোট কন্ট্রিবিউট করে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন ম্যাশ। কিন্তু আমার মতো অগণিত ক্রিকেট প্রেমী বিশ্বাস করে, মাশরাফি যদি সঠিক পরিচর্যা পেত এবং ব্যাটিং অর্ডার যদি টপ হতো তাহলে মাশরাফির ওডিয়াইতে অনেক বেশি রান থাকতো।
২০৬ ম্যাচ খেলে মাশরাফি ২৬২ উইকেট শিকার করেছেন ইকোনোমি ৪.৮১| বেস্ট বোলিং ফিগার ২৬ রানে ৬ উইকেট। বার বার থমকে না গেলে কিংবা ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তে ইনজুরি তে না পড়লে মাশরাফির উইকেট সংখ্যা যে ৩০০+ হতো সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২৬২ উইকেট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার। আর মাত্র ১২ উইকেট শিকার করতে পারলে ওডিয়াইতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারের তালিকায় সেরা দশে প্রবেশ করবেন নড়াইল এক্সপ্রেস। আশা করি তা খুব শীঘ্রই হয়ে যাবে।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর টানা ২০১৯ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ কে নেতৃত্ব দিবেন বড় ভাই কাপ্তান মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য আসে ম্যাশের হাত ধরেই। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ যা এখনো অবধি বাংলাদেশের বেস্ট সাফল্য আইসিসির সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ এই আসরে।
প্রথম বাংলাদেশি প্লেয়ার হিসেবে ২০১৯ বিশ্বকাপ হতে পারতো ম্যাশের ৫ম বিশ্বকাপ আসর। দেশের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করতে পারতেন মাশরাফি। কিন্তু নিয়তির খেলা বড়ই নিষ্ঠুর। ইনজুরি ও টিম ম্যানেজমেন্ট এর ভুল সিদ্ধান্তে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১১ বিশ্বকাপ মিস করেন মুর্তজা। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যায়গা না হওয়ায় মাশরাফির সে কি কান্না। ম্যাশের হৃদয়বিদারক কান্না ছুঁয়ে গেছিল বাংলার ১৪ কোটি ক্রিকেট প্রেমী কে। সেই বিশ্বকাপ খেললে ম্যাশ বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক বিশ্বকাপ ও সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার অনন্য গৌরব অর্জন করতে পারতেন।
২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলীয় পারফর্মেন্স শূন্যের খাতায়। তবে ম্যাশের পারফর্মেন্স ততটা খারাপ ছিল না। তবে ২০০৭ বিশ্বকাপ ছিল ম্যাশের জন্য অসাধারণ এক বিশ্বকাপ আসর। সেবার অপ্রতিরোধ্য ভারত বধে বল হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের ভারত কে হারিয়ে দেয় সেসময়ের পুচকে বাংলাদেশ দল। ভারত শুধু বাংলাদেশের সাথেই হারেনি, বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশের কাছে হেরে। সেই ম্যাচে মাশরাফি ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ দুমড় মুচড়ে ৩৮ রানের খরচে ৪ উইকেট শিকার করেন, এবং সে ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হোন মাশরাফি। এখন পর্যন্ত এটাই ম্যাশের সেরা সাফল্য।
২০০৩ থেকে মোট ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৩টি বিশ্বকাপের ১৬টি ম্যাচ খেলে মাশরাফি মুর্তজা রান করেন ১৬৫। গড় ১৫। বেস্ট ৩৭। সমান ম্যাচে অংশ নিয়ে ম্যাশ মোট ১৩১.২ ওভার বোল করে ১৮ টি উইকেট শিকার করেন। বেস্ট বোলিং ফিগার ৪/৩৮।
তবে খেলোয়াড় মাশরাফির চেয়েও অধিনায়ক মাশরাফির উপর ভরসা করে আছে দেশের ১৭ কোটি ক্রিকেট প্রেমী। কারণ, ২০১৪ সালে ২য় বার নেতৃত্ব নেওয়ার পর অধিনায়ক মাশরাফিই যে এদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের আশা ভরসার মূলে পরিণত হয়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অধিনায়ক মাশরাফির হাত ধরেই হারতে হারতে ধুকতে থাকা বাংলাদেশ ঘুরে দাড়ায় স্ব মহিমায়। খাদের কিনারা থেকে ম্যাশই যে দলকে টেনে তুলেন তার অসাধারণ নেতৃত্ব গুণে তা এদেশের অগণিত ক্রিকেট প্রেমীর কাছে অজানা নয়। তার অধিনায়কত্বেই যে বাংলাদেশ বিশ্ব জয়ের বীজ বপন করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মাশরাফি নেতৃত্বে এসে বাংলাদেশ দলের চেহারাই বদলে দেন। আমূল পরিবর্তন হয়ে যায় বাংলাদেশের খেলোয়াড় দের পারফর্মেন্স ও মানসিকতায়। ২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথম বারের মতো তিনি বাংলাদেশ কে নিয়ে যান বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের সাথে ম্যাচে আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্ব না করলে হয়তো আরো দূর যেত বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পরে সে বছরই বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নেয় ম্যাশের নেতৃত্বে। একই বছর পরাক্রমশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ঘরের মাঠে হারিয়ে সিরিজ জয় লাভ করে ম্যাশের নেতৃত্বাধীন টিম টাইগার্স। এরপর ঘরে ও ঘরের মাঠে বাংলাদেশ একের পর এক ম্যাচ আর সিরিজ জিততে থাকে। এরমধ্যে বাংলাদেশের কিছু সেরা সাফল্য হল ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা। ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমি ফাইনাল খেলা ইংল্যান্ডে। এটাই আইসিসির কোনো ইভেন্টে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। ২০১৮ সালে দুবাইতে সাকিব তামিম বিহীন দল নিয়ে ভারতের সাথে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা। এবং স্বল্প পুঁজি নিয়েও শেষ বল অবধি খেলে যাওয়া। এসবই ম্যাশের সম্মোহনী নেতৃত্বের ফসল। অধিনায়ক মাশরাফিতে ভর করেই যে আমরা বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে অধিনায়ক মাশরাফি সত্ত্বার বাহিরে ক্রিকেটার মাশরাফিকে ভুলে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। কারণ লাস্ট দুই ইয়ারে তিনিই যে বাংলাদেশের সেরা বোলার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সাকিব মোস্তাফিজের মতো নিয়মিত পারফর্মার থাকার পরেও ম্যাশই সেরা বোলার। দলের প্রয়োজনে তিনিই ব্রেক থ্রু এনে দিতে সবচেয়ে পারদর্শী। রাইট আর্ম ফার্স্ট বোলার থেকে রাইট আর্ম ফার্স্ট মিডিয়াম বোলার বনে গেলেও ম্যাশের বোলিংয়ের ধার কিন্তু এখনো কমে যায়নি। ম্যাশের বোলিংয়ের গতি হয়তো কমেছে, কিন্তু নিখুঁত লাইন লেন্থে বোলিং করে প্রয়োজনীয় ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো তিনিই বস। অসাধারণ লাইনলেন্থ , ইনসুয়িং আর স্লো মিডিয়াম বোলিংই ম্যাশের মূল অস্ত্র এখন। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও মাঝেমধ্যে জ্বলে উঠেন ম্যাশ। দলের প্রয়োজনে ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংস খেলতে তিনি যথেষ্ট পারদর্শী।
সবমিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপই হঅহয়তো ম্যাশের শেষ বিশ্বকাপ। হয়তো না, চুড়ান্তই। মধ্য ৩৬-এ থাকা মাশরাফি হয়তো বিশ্বকাপ দিয়েই তার ক্যারিয়ার শেষ করবেন। তিনি ইতোমধ্যে দেশের জন্য অনেক করেছেন। নিজেকেও নিয়ে গেগেছেন সেরাদের কাতারে। কিন্তু ,ঐ যে একটি বিশ্বকাপ! একটি বিশ্বকাপই তাকে সেরাদের সেরার কাতারে ঠাই করে দিবে। তার সম্মোহনী নেতৃত্ব, তিনি মাঠে থাকলে খেলোয়াড় দের মানসিক শক্তি বেড়ে যায়, প্লেয়ারদের স্প্রীট বেড়ে যায় শতগুণ। এসবই ম্যাশের ক্যারিশমা। মাশরাফির ক্যারিয়ার অনেক বেশি সমৃদ্ধ। তবে তার প্রাপ্তির খাতায় এই একটি বিশ্বকাপ যুক্ত হলেই সকল অপ্রাপ্তির গ্লানি মুছে যাবে। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি। লাস্ট ৫-৬ বছরে তার হাত ধরে অনেক অর্জন যুক্ত হয়েছে আমাদের সাফল্যের খাতায়। তার অধীনে সর্বাধিক ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ৭১ টি ওডিয়াই জিতেছে বাংলাদেশ ম্যাশের ক্যাপ্টেনসিতে।
বাংলার হাজারো ক্রিকেট প্রেমী স্বপ্ন দেখে, ম্যাশের নেতৃত্বে বিশ্বজয়ের। কারণ এবারের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়া এই ইংল্যান্ডেই যে বাংলাদেশ পেয়েছিল আইসিসি ইভেন্টে তাদের সেরা সাফল্য। তাও নিকট অতীতেই। সেই সুখ স্মৃতি নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ খেলতে গেছে টিম টাইগার্স। ম্যাশের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতভে বাংলাদেশ, এটাই বিশ্বাস ১৭কোটি ক্রিকেট ভক্তের। আমরা স্বপ্ন দেখি। তুমি আমাদের স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা প্রিয় ম্যাশ। শুভ কামনা নড়াইল বাসির প্রিয় "হার্ট অব প্রিন্স" । শুভ কামনা বাংলাদেশ।
- 0 মন্তব্য