• ফুটবল

অভিষেকেই চ্যাম্পিয়নঃ কিংসের গৌরবগাঁথা

পোস্টটি ৩৭৯৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

সূচনালগ্ন থেকেই প্রত্যেকটা ফুটবল ক্লাবের প্রধান লক্ষ্য থাকে নান্দনিক ফুটবল খেলে দর্শক'দের মন জয় করা। পাশাপাশি, দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে ক্লাবের বিজয় নিশান উড়ানো। বাংলাদেশ ফুটবলের প্রেক্ষাপটে একটি সদ্য জন্ম নেয়া ক্লাব যেন তীরহীন সমুদ্রে কিশোরের সাঁতরে পার হওয়ার মতোই কঠিন ব্যাপার। পরিবেশ প্রতিকূলে জেনেও, ভাঙ্গাচোরা- অস্তিত্ব বিলিন হওয়ার পথে থাকা, ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলের পেশাদারিত্বে নাম লিখালো শহরের অভিজাত পাড়ার একটি ক্লাব।

bk logo

রঙ্গবিহীন ফুটবলে ক্লাবটির পদচারণা হয়েছে দারুণভাবে। বলা চলে অনেকটা রাজকীয় ভাবেই। ২০১৩ সালে ক্লাবটি প্রতিষ্টা হলেও, পেশাদারিত্ব আর সক্রিয়তা শুরু হয় ২০১৬ সালে৷ সে বছরই সবাইকে চমকে দিয়ে পাইওনিয়ার লীগ জয় করে ক্লাবটি। ফুটবলের চমৎকার বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু হলো ঠিক তখন থেকেই। বলছিলাম বর্তমান বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্লাব 'বসুন্ধরা কিংস ফুটবল ক্লাব' এর কথা।


কিংসের গৌরবময় যাত্রাঃ

২০১৬ সালের পাইওনিয়ার লীগ জেতার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন এই ক্লাবটিকে৷ লীগ শিরোপা জিতে তৃতীয় স্তরের জন্য উত্তীর্ণ হলেও বাফুফের বেশ কিছু শর্ত পূরণ করায়, এবং চ্যাম্পিয়নশীপে খেলার আবেদন জানালে- বসুন্ধরা কিংস ফুটবল ক্লাবকে ২য় বিভাগে খেলার অনুমতি দেয়া হয়। সে সময় বাফুফেও যেন ভবিষ্যতের এ ছবিটাই দেখেছিল। কিংসকে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে সুযোগ দেওয়াটা এখন নিজের সেরা সিদ্ধান্ত মানতেই পারেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী। সেই দলটিই তো প্রথম মৌসুমেই চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতে এবার প্রিমিয়ার লিগে এসেছিলো! আর আবির্ভাবেই কাঁপিয়ে দিয়েছে তারা প্রতিষ্ঠিত সব ক্লাবকে।

২০০৭ সালে শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ারলীগের ১১ তম আসরে প্রথমবারের খেলতে এসেই চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ফুটবল ক্লাব! পুরো লীগ জুড়ে তারা ছিলো দুর্দান্ত, অপ্রতিরোধ্য! তবে এই প্রাপ্তি যেন ম্লান হয়ে গেছে নিজেদের-ই গড়া একটি রেকর্ডের কাছেই।

উপমহাদেশের একমাত্র ক্লাব হিসেবে বসুন্ধরা কিংস ক্লাব অভিষেক আসরেই লীগ শিরোপা ঘরে তুলার বিরল রেকর্ড অর্জন করেছে! বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য যা অন্যতম স্বরণীয় একটি মাইলফলক।

অভিষেক আসরেই লীগ শিরোপা অর্জন করা বসুন্ধরা কিংসের অগ্রযাত্রা হবে আরোও সুদৃঢ় সেটিই প্রত্যাশা দেশবাসীর। বাংলাদেশী একটি ক্লাব হিসেবে এ অর্জন সত্যিই ঈর্ষণীয়। দেশের ফুটবলে উদাহরণ হয়ে থাকবে এ গৌরবময় ইতিহাস তা বলাই বাহুল্য। তবে আমরা একটু পিছনে ফিরে যেতে চাই। কেমন ছিলো কিংসের ২০১৭-১৮ এবং ১৮-১৯ মৌসুম?

২০১৭-১৮ মৌসুমে কিংসঃ

বসুন্ধরা কিংস তাদের সর্বপ্রথম অফিসিয়াল ম্যাচ খেলে ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট, উত্তর বারিধারা স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। সেটি ছিলো বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগের ম্যাচ। ক্লাবের হয়ে সর্বপ্রথম গোলটি আসে রিপন বিশ্বাসের পা থেকে।

১৮ আগস্টে রুকনোজ্জামান কাঞ্চনের পা থেকে আসা একমাত্র গোলে নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম জয় পায় বসুন্ধরা কিংস।

নভেম্বরের ৪ তারিখে এক ম্যাচ হাতে রেখেই অগ্রণী ব্যাঙ্কের সাথে ২-১ গোলের নাটকীয় জয়ে প্রিমিয়ার লীগে খেলার জন্য মনোনীত হয় বসুন্ধরা কিংস।

শিরোপা উদযাপনের অংশ হিসেবে কিংস তাদের ক্লাব প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসানকে শেষ বাঁশি বাজানোর পূর্বে কয়েক মিনিট স্ট্রাইকার হিসেবে খেলায়! বলে কোনো টাচ না করেও, চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ হয়ে পেরে উল্লাস প্রকাশ করেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট। লীগে ১১ গোল করে ২য় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হোন কাঞ্চন। প্রথমবারের মতো কোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্টের শিরোপা উঠে বসুন্ধরা কিংসের ঘরে।

২০১৮-১৯ মৌসুম এবং ইতিহাস সৃষ্টিঃ

২৯ জুলাই বসুন্ধরা কিংস আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্লেয়ার ট্রান্সফার শুরু করে৷ অনুষ্টানে তৌহিদুল আলম সবুজ, নুরুল নাইম ফয়সান এবং মিডফিল্ডার মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে সাইন করায় কিংস। অগাস্টের পঞ্চম দিবসে, বাংলাদেশ ফুটবলকে চমকে দিয়ে কিংস অফিসিয়ালি ঘোষণা দেয় তারা স্পেনিশ কোচ 'ওস্কার ব্রুজোন'কে তাদের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে!

সেপ্টেম্বরে কিংস পরিবারের সাথে যুক্ত হন ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলুড়ে কোষ্টারিকান ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিনড্রেস! ২১ সেপ্টেম্বরে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম হোম ম্যাচ খেলে বসুন্ধরা কিংস৷ ম্যাচটিতে ৪-১ গোলে জয় পায় তারা।

 

অক্টোবরের ২৯ তারিখে ২০১৮ ফেডারেশন কাপের জন্য যাত্রা শুরু করে বসুন্ধরা কিংস। প্রথম ম্যাচেই কলিনড্রেসের আগুনঝরা পার্ফমেন্সে ঢাকা মোহামেডানকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দেয় কিংস! টিম বিজেএমসির সাথে ৫-১ গোলের সহজ জয়ে কিংস সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পায়। সেমিফাইনালে ৭০ মিনিটে মাঠে নামা তৌহিদুল আলম সবুজের একমাত্র গোলে শেখ রাসেল কেসি'র সাথে জয় পায় বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত ২৩ নভেম্বরের ফাইনালে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে কিংস হেরে যায় ৩-১ গোলের ব্যবধানে।

ডিসেম্বরে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে কিংস তাদের স্বাধীনতা কাপের যাত্রা শুরু করে।

এপ্রিলে বসুন্ধরা কিংসের সাথে চার্চিল ব্রাদার্স ক্লাব থেকে লোনে চুক্তিবদ্ধ হন ত্রিনিদিয়ান ফরোয়ার্ড উইলিস প্লাজা।

০৭ জুলাইয়ের বিকেলটা ছিলো অসাধারণ। সবুজ ঘাস আর রৌদ্রজ্বল নীল আকাশে, নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়াম যেন কিংসের জয়যাত্রার সর্বক্ষণের সঙ্গী হিসেবে রইলো। টিম বিজেএমসি'কে ২-০ গোলে হারানোর ম্যাচে আরোও একটি রেকর্ড গড়লো কিংস। টানা ১২ ম্যাচে জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখলো ব্রুজোনের শিষ্যরা। এটিই বাংলাদেশ প্রিমিয়ারলীগের ইতিহাসে টানা জয়ের একমাত্র মাইলফলক।

২০ তারিখে কিংস খেলতে গেলো চায়ের দেশ সিলেটে। শহরের মানুষের উঞ্চ অভ্যর্থনায় মুগ্ধ হতে হলো কিংস পরিবারকে। ক্লাব প্রেসিডেন্টকে বরণ করে নিতে এয়ারপোর্টে জড়ো হয়েছিলো শতশত কিংস ফ্যান। সন্ধ্যায়, স্টেডিয়ামে ম্যাচের মুহুর্তে গ্যালারিতে দর্শকের উপস্থিতিই প্রমান করেছিলো শহরবাসীর কাছে কিংসের গ্রহণযোগ্যতা। শেখ রাসেলের হোম ভেন্যুতে কিংসের এতো ফ্যান দেখে অবাক-ই হতে হয়েছে। ম্যাচটি জিতে গেলেই লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতো কিংসের। কিন্তু, দূর্ভাগ্যবশত ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরে যায় তারা।

২৪ তারিখে নীলফামারিতে মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচ শুরু হলেও, অতি বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হন ম্যাচ রেফারি৷ অবশেষে, ২৫ তারিখের বিকেল যেন অপেক্ষা করছিলো চ্যাম্পিয়নদের শিরোপা স্বাদ দিতে। পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচ আবারো মাঠে গড়ালে ১-১ গোল নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুইদল। আর ড্র নিয়েও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার শিরোপা উৎসব করলো ক্লাবটি।

মাঠে দর্শক টানার চ্যালেঞ্জ:

একটা ফুটবল ক্লাবের বিরাট অংশ হচ্ছে তার ফ্যানবেজ৷ দর্শকরাই তো ফুটবলের প্রাণ! বিত্তশালীদের কাছে একটা ক্লাব প্রতিষ্টা করা যতটা না সহজ ব্যাপার, ঠিক ততোটাই কঠিন ব্যাপার হচ্ছে ক্লাবের ফ্যানবেজ তৈরি করা। ফাঁকা মাঠে ম্যাচ খেলা যায়; ফাঁকা স্টেডিয়ামে তো আর ম্যাচ খেলা যায়না৷ সুতরাং চাই একদল রুচিশীল ফ্যান; যারা ক্লাবের সুসময়ে কিংবা দুঃসময়েও প্রিয় ক্লাবের পাশে থাকবে। সমান তালে সমর্থন দিয়ে যাবে প্রিয় দলকে।

কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবলের প্রেক্ষাপটে ফুটবল মাঠে দর্শক যেন সোনার হরিণ! মানহীন ফুটবলে দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। এমন অবস্থায় ত্রাতা হয়ে ফুটবলে আবির্ভাব 'বসুন্ধরা কিংস ফুটবল ক্লাবের! মাঠে দর্শক ফেরানোর জন্য একের পর এক চমক সৃষ্টি করেই যাচ্ছিলো অভিজাত এলাকার ক্লাবটি!

২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের 'নিউ রেডিয়েন্ট' ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় ক্লাবের হোম ভেন্যুর পদযাত্রা। ২১০০০ দর্শক ধারণক্ষমতার অপরূপ স্টেডিয়ামটি আপন করে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস ক্লাব এবং তাদের ফ্যানবেজ৷ তাইতো, প্রতিটা হোম ম্যাচেই দর্শকের পদচারণায় মুখরিত হয় শেখ কামাল স্টেডিয়াম। মাঠে দর্শক টানার ব্যাপারটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে ক্লাবটি। নীলফামারী, নোয়াখালী, সিলেট, ঢাকা কিংবা গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ- সব জায়গাতেই বাজিমাত করেছে কিংস। বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য যা ইতিবাচক পরিবর্তন বলেই মনে করছেন ফুটবল বিজ্ঞরা। অনেকেই মনে করছেন বসুন্ধরা কিংসের হাত ধরেই বাংলাদেশ ফুটবল তার সোনালি অতীতে ফিরে পাবে।

কিংসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেঃ

বাংলাদেশ ফুটবলে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পিছনে কিংসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে কি ছিলো, জানতে চাওয়া হলে ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান জানিয়েছিলেন-

''মূলত আমরা যেটা চাই সেটা হলো ফুটবলের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং দেশের ফুটবলে দর্শক নিয়ে আসা। আমরা অনেকবারই এ বিষয়ে ভেবেছি।''

তবে ক্লাবের নিজস্ব উদ্দেশ্য নিয়েও কথা বলেন ইমরুল হাসান;

"ক্লাবের প্রাথমিক লক্ষ্য বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ক্লাবগুলোর সাথে টক্কর দেয়া।"

এটা দেশের ফুটবলে নতুন নয়, এর আগে শেখ জামাল, শেখ রাসেলের মতো ক্লাবগুলোও এমন হুট করে এসে আঞ্চলিক বা মহাদেশীয় ক্লাব পর্যায়ে খেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা স্রোতের অনুকূলে গা ভাসিয়ে চলতে পারেনি। বসুন্ধরা কিংস পেরেছে।

বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান যোগ করেন, সামনের দিকে দুটো প্রকল্প আছে বসুন্ধরা কিংস কর্তৃপক্ষের। একটি একাডেমি ও একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বলা যায়, কিংস তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে অনেকটাই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। ফুটবলের নবজাগরণের পথে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে দর্শকের মধ্যে ফুটবল উন্মাদনা পৌঁছে দেয়ার চ্যালেঞ্জে কিংস অনেকটাই সফল। ২০১৮-১৯ লীগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে সেটিই যেন প্রমান করলো ক্লাবটি।

শুভেচ্ছায় সিক্ত কিংস পরিবারঃ

উপমহাদেশে পূর্বে কেউই অভিষেক আসরে লীগ শিরোপা অর্জনের স্বাদ পায়নি। দেশের ফুটবলে যা কেউ করতে পারেনি; বসুন্ধরা কিংস তা করে দেখিয়েছে। তাইতো, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিংসকে প্রসংশায় ভাসাচ্ছেন ফুটবল বোদ্ধারা। ফুটবলে যাদের আগমন 'BORN TO BEAT' - এই বার্তা নিয়ে; তারাই মৌসুম শেষে শিরোপা উল্লাস করবে এটাই স্বাভাবিক।

বাংলাদেশের ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলের মান উন্নয়নে এবং পেশাদারিত্বের প্রভাব কিংসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ুক অন্যসব ক্লাবের মাঝেও, এই প্রত্যাশা ফুটবল ভক্তদের৷ আর বসুন্ধরা কিংস ক্লাব যে হারিয়ে যাওয়ার জন্য জন্ম নেয়নি- তা যেন আরেকবার প্রমাণ করলো তারা৷ শুভকামনা রইলো আগামির দিনগুলোর জন্য৷

© আহমদ আতিকুজ্জামান।