• ফুটবল

পরিবার, ক্যারিয়ার, ধর্ম - উইলিয়ানের ডায়েরি!

পোস্টটি ৬১৭০ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

 

ব্রাজিলে একটি কথা প্রচলিত আছে - এখানে ২০০ মিলিয়ন ফুটবল কোচের বসবাস! হ্যা, ঠিকই শুনেছেন! জন্ম নেওয়ার পর থেকেই ফুটবলের সাথে বসবাস যাদের, তারা তো একেকজন কমবেশি ফুটবল বোদ্ধা হবেই।

আমি উইলিয়ান, আমার জমজ মেয়ে দুটিও যেনো আমার কোচ! আমার পরিবারের প্রতিটি সদস্যই বিশ্বাস করে, তারা ফুটবলটাকে অনেক বোঝে। আর তারা এটাও বিশ্বাস করে যে, পরিবারের সবচেয়ে কম ফুটবল বোঝা সদস্যটি আমি। প্রতিটি ম্যাচশেষে আমি ড্রেসিংরুমে ফিরেই দেখবো, ওদের পক্ষ থেকে আমার জন্যে পাঠানো একটা ভয়েস মেসেজ অপেক্ষা করছে। ওরা আমার প্রতিটি ম্যাচ দেখে, ওরা আমাকে প্রতিটি ম্যাচ শেষে নানান উপদেশ দেয়। মাঝেমধ্যে দেখি, প্রথম হাফ শেষেই মেসেজ পাচ্ছি। প্রথম মেসেজটা সাধারণত বাবার কাছ থেকে আসে। এরপর আমার স্ত্রী। এরপর আসে আমার দুই মেয়ে।

"এভাবে খেলো, ওভাবে খেলো!" "বাবা, তোমাকে সেন্টারে আরো বেশি থাকতে হবে।" "হানি, তুমি বলটা তখন পাস দিলেনা কেনো!" "ড্যাডি, গোল পেতে হলে আরো শট নিতে হবে!"

ম্যানুয়েলা আর ভ্যালেন্টিনা, আমার দুই মেয়ে, সবসময় আমায় নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে। আমি গোল না পেলে, ওদের মন খারাপ থাকে। আমি ফাউলের স্বীকার হলেই, ওরা মেসেজ পাঠায়, আমি ঠিক আছি তো!

"বাবা, খেলোয়াড়টা তোমায় এভাবে ফেলে দিলো কেনো!"

ওরা কিভাবে আমার প্রতিদিনের সাথে মিশে আছে, তা আমায় খুব ভাবায়। ওরা আমায় ওদের মতো করে সাহায্য করছে। আমি মেসেজ সিন করতে পারবোনা জেনেও ওদের পাঠানো মেসেজ কিংবা ম্যাচ শেষে উপদেশ মাখানো মেসেজে সীমাহীন ভালোবাসা মিশে থাকে!

নিঃসন্দেহে, বাবা হওয়া একজন পুরুষের জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন আর প্রাপ্তি। ছোট থেকে কেবল ফুটবল নিয়েই ভেবেছি, কিন্তু বাবা হওয়ার পর অগ্রাধিকারের জায়গা পরিবর্তন হতে শুরু করে, কেনোনা আপনার ভালোবাসা কিংবা আপনার আদর ওদের খুব প্রয়োজন! শুধু তাই নয়, একটাসময় আপনাকে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে ওরা খুবই সহায়ক ভুমিকা পালন করবে!

ae49ec10-img_8466

বেশকয়েক বছর যাবৎ কিছু ব্যাপার আমায় অনেক ভাবাচ্ছে, যেগুলো কিনা ফুটবলের চাইতেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমি শুধুমাত্র একজন বাবা'র দায়িত্ব পালনের কথা বলছিনা, বরং বলছি একজন খৃস্টীয় ধর্মানুসারী হিসেবে নিজের নানাবিধ দায়িত্ব পালনের কথাও। আমি এখানে লন্ডনের চার্চগুলোতে যাই, চার্চে গেলে, ধর্মীয় কথা শুনলে, প্রার্থনা করলে আমি প্রবল শান্তি অনুভব করি। এখানকার চার্চে আমার কিছু বন্ধুও তৈরি হয়েছে।

তবে আমি অন্যের সাথে ধর্মীয় বিষয়ে আলাপচারিতা করতে খুব বেশি পছন্দ করিনা! এটা সত্যি যে ধর্মে ধর্মীয় নীতি প্রচারের পন্থা আছে, তবে কিছুক্ষেত্রে মুখে নয়, কেবলমাত্র নিজের কর্ম কিংবা মনোভাব দিয়েই অন্যের কাছে ধর্মের কথা পৌছানো যায়!

তুমি যদি সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করো, তুমি যদি সুখী থাকো, তবে অন্যরা অবশ্যই তোমার মাঝে উদাহরণ খুঁজবে, বিশেষ কিছু খুঁজবে, স্বপ্রনোদিত হয়ে সৃষ্টিকর্তা মুখী হবে! আমি ব্যাক্তিগত ভাবে অন্যেকে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করানোর জন্যে জোর করার পক্ষপাতী নই! সৃষ্টিকর্তার প্রতি তোমার আস্থা তোমার কাজের মাঝে দেখাও, যেনো অন্যরা বুঝতে পারে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসের মাহাত্ম্য!

7749c843-200116sr_willianborges_p11114_065

কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে ফুটবলাররা বোধহয় কেবলই টাকা, পার্টি আর নারীর পিছনে ছুঁটে বেড়ায়! হ্যা, প্রত্যেকের যা খুশি তাই নিয়ে ব্যস্ত থাকার অধিকার রয়েছে! একজন খৃস্টান ধর্মানুসারী হিসেবে প্রথমেই স্মরণ রাখতে হবে যে আপনি মুক্ত, তবে আপনি চাইলেই কি ক্লাবে গিয়ে সারারাত পার্টি করবেন!? একজন মানুষ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা রাখতে হবে, জানতে হবে কোনটি আপনার জীবনকে সুন্দর করবে!

ব্রাজিলের অনেক বন্ধুই আছে যারা নিয়মিত চার্চে যায়, খৃস্টীয় নানান রীতিনীতি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে। ফিরমিনো, এলিসন, ডেভিড লুইজ, লুকাস মউরা, আরও অনেকে!

আমি বিশ্বাস করি, একজন প্রফেশনাল ফুটবলার হতে পারায় সৃষ্টিকর্তাকে আমার ধন্যবাদ জানানোর আছে।

যখন আমার ২ বছর বয়স, তখন বলে লাথি দিতে গিয়ে আমার পা ভেঙে যায়। ৯ বছর বয়সে আমি করিন্থিয়ান্সে যোগ দেই, ব্রাজিলের অন্যতম সেরা ক্লাব, এবং সেই ক্লাব যাদের আমার পরিবার সমর্থন করে, ভালোবাসে, ধারণ করে!

আমার কখনোই সন্দিহান ছিলামনা যে একদিন আমি প্রফেশনাল ফুটবলার হতে পারবো! তবে রাস্তাটা অনেক লম্বা ছিলো! লক্ষ লক্ষ ব্রাজিলিয়ান শিশু এই স্বপ্নের পিছনে ছুঁটে বেড়ায়, যাদের অনেকেই প্রতিভাবান কিন্তু সঠিক প্রেরণার অভাবে পিছিয়ে পড়ে যায়, কেউবা মারাত্মক ইঞ্জুরিতে নিজের ক্যারিয়ার কে আগায়ে নিতে পারেনা! আর একদল আছে যারা আত্মবিশ্বাসের অভাবে এগুতে পারেনা, আমি এই দলে ছিলাম না কখনোই। আমি বিশ্বাস করেছি, ছুঁটেছি, অর্জন করেছি।

আমি ভাগ্যবান, আমি আমার বাবাকে আমার পাশে পেয়েছিলাম! আমার যখন ১৫ বছর বয়স, তিনি আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে আমি যদি প্রফেশনাল হতে চাই তবে আমাকে ফুটবল কিংনা ফুটসালের যেকোন একটিকে বেছে নিতে হবে! আমি চারবছর বয়স থেকে ফুটসাল খেলতাম। তিনি বলেছিলেন, আমি ফুটবলে ভালো করলে, বিভিন্ন ক্লাবের এজেন্টদের নজরে পড়ব দ্রুত! সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যে জরুরি, তা তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন!

করিন্থিয়ান্সের মুল দলে সুযোগ পাওয়ার পরেই শাখতারের অফার পাই আমি, তখন আমার ১৯ বছর বয়স। ইউরোপে খেলতে পারাটা সবার স্বপ্ন, আমিও তার ব্যতিক্রম নই।

c6ffe884-willian-02

খুব দ্রুত ব্রাজিল ছাড়ার কোন প্ল্যান ছিলোনা, তবে করিন্থিয়ান্স চাচ্ছিলো আমাকে ছেড়ে দিতে। শাখতারের মানুষগুলো খুবই আদুরে আর বিশ্বস্তও বটে। ইউক্রেনের যাত্রাপথে ফ্রান্সে যাত্রাবিরতি ছিলো, সেখানে আমার জন্যে প্রাইভেট জেট বিমান অপেক্ষা করছিলো! আমার কাছে সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিলো! শাখতারে পৌছেই আমি ফার্নান্দিনহো, লুইজ আদ্রিয়ানো, ইলসিনহো কে পেলাম! সার্বিক সুযোগ সুবিধা পর্যাপ্ত ভালো ছিলো! বলতেই হয়, স্বপ্নের ইউরোপ যাত্রাটা স্বপ্নের মতই শুরু হয়!

অনেকেই জানেন, ইউক্রেন একটি শীতপ্রধান দেশ! আমি যখন ইউক্রেনে পৌছাই, তখন ছিলো গরমকাল তাই খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি! তবে সত্যিই শীত চলে আসলো, খুবই কঠিন সময় পাড় করেছিলাম তখন! তবে সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সব কাটিয়ে উঠি! আমার প্রতিটি টিমমেট আমায় সহযোগিতা করেছিলো, বিশেষ করর জ্যাডসন কিংবা ব্রান্ডাও'এর কথা বলতে হয়! আমি ভালোভাবেই মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম! এমনকি আমি রাশিয়ান ভাষা রপ্ত করে ফেলিছিলাম। শুরুতে ট্রান্সলেটর ব্যবহার করতাম, একটা সময় সব আত্মস্থ করতে সমর্থ হই!

ইউক্রেনেই আমি নিয়মিত ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে অভ্যস্ত হই। ফার্নান্দিনহো কিংবা জ্যাডসন আমাকে বাইবেল বুঝতে অনেক সাহায্য করে, আমরা রোজই একসাথে বাইবেল পড়তাম! আমি বুঝতে শিখি, কোনটি সঠিক, কোনটি ভুল! একটা সময়ে আমি যিশুকে আমার একমাত্র ত্রাণকর্তা হিসেবে ধারণ করি!

আমার এজেন্ট থাকতো লন্ডনে ; একদিন আমি লন্ডনে গিয়ে স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে চেলসির খেলা দেখতে যাই। সেদিনই আমি প্রিমিয়ার লীগ তথা চেলসির প্রেমে পড়ে যাই! আমি এই শহরের প্রেমে পড়ে যাই। আমি হয়তো বুঝাতে পারবোনা, তবে এই শহরে কিছু একটা ছিলো, বিশেষ কিছু, যা কেবলই অনুভব করা যায়।

আমি শাখতারে ছিলাম প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর, শাখতার আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে শিখিয়েছে। ২০১৩'র জানুয়ারিতে আমি রাশিয়ার আঞ্জি মাখাচকালায় যোগ দেই, যদিও ওরা অর্থনৈতিক ঝামেলায় আমাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। অনেক ক্লাবই আমাকে নিতে চায়, তবে আমি চেলসিতে যোগ দেই।

একটা মুহুর্তে আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই, কেনোনা আমি আমার স্বপ্নগুলোকে পুরণ করতে সমর্থ্য হই! আমি এখনো চেলসিতে আমার প্রথম দিনের কথা স্মরণ করি, ড্রেসিং রুমে আমার জন্যে ডেভিড লুইজ অপেক্ষা করছিলো, কি নিদারুণ একটা মুহুর্ত ছিলো!

চেলসিতে আমি নিজেকে নতুন রুপে খুঁজে পাই! প্রথম বছর অনেক কঠিন সময় ছিলো, পয়েন্ট টেবিলে আমরা তৃতীয় হয়েছিলাম। চ্যাম্পিয়নস লীগে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলাম, এটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-০ তে প্রথম লেগে এগিয়ে থাকলেও পরের লেগে ৩-১ এ হেরে যাই। যা খুবই হতাশাজনক ছিলো। কিন্তু সবচেয়ে রোমাঞ্চকর জার্নি ছিলো ২০১৬-১৭ সিজনে কন্তের আন্ডারে প্রিমিয়ার লীগ জয়!

যদিও আমি অধিকাংশ ম্যাচেই বেঞ্চে ছিলাম; তবে সবচেয়ে করুন ছিলো আমার মা কে হারানো! দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে আর টিকতে পারেননি তিনি। এই দুঃসময়েও আমার বাবা আর আমার স্ত্রী পাশে না দাড়ালে হয়তো নিজেকে সামলাতে পারতাম না! এই সময়ে জীবন আমাকে অনেক শিক্ষা দেয়, আর আমাকে সৃষ্টিকর্তার আরো সান্যিধ্যে এনে দেয়!

অবশ্যই, চেলসিতে অসংখ্য সুখস্মৃতি আছে। এখানে ভক্তদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি, সেই প্রথম দিন থেকেই। আমি চেলসিতে খুশি, আমি চেলসিতে গর্বিত। চেলসি ফ্যানরা আমাকে আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে, মাঠে সবসময় সর্বোচ্চ চেস্টা করি এই ফ্যানদের ভালোবাসার মুল্য দিতে।

লীগ শিরোপা জয়ের চাইতে সুখকর মুহুর্ত আর হয়না, কেনোনা আপনি পুরো একটি সিজন এটি অর্জনে শ্রম দেন, লড়াই করেন। ২০১৫ সালে মরিনহো'র আন্ডারে আমার প্রথম লীগ জয় আমি আমৃত্যু ভুলতে পারবোনা৷ মাঠ কিংবা ড্রেসিংরুম, সেই আনন্দ সেই উল্লাস আমি এখনো অনুভব করি।

লোকে আমায় জিজ্ঞাসা করে, আমার মতে সেরা কোচ কে! আমি নিঃসন্দেহে যে নামটি উচ্চারণ করি, তিনি মরিনহো। আমাদের দুজনার সম্পর্ক অনেক মধুর। হ্যা, উনার চাহিদা অনেক, এতে আমাদের প্রায়ই দ্বন্দ হতো, তবে তা একদম স্বাভাবিক পর্যায়ের! আমি ভুল করলে তিনি শাসন করতেন, আবার আমি ভালো খেলে প্রশংসা কিংবা স্তুতি করতে ভুলতেন না। তিনি যেভাবে সবাইকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, তিনি যেভাবে ট্রেনিং সেশন সাজান, তিনি যেভাবে কথা বলেন, তা অসাধারণ। এই ব্যক্তিত্ব আমায় অনেক কিছু শিখিয়েছে। চেলসি ছাড়ার পরেও মরিনহো আমার খোঁজ নিয়েছে, আমরা এখনো ভালো বন্ধু, এখনো আমাদের মেসেজে আমাদের আড্ডা হয়!

 

ল্যাম্পার্ডের আন্ডারেও অনেক ভালো সময় কাটছে। সকলেই জানেন তিনি কতটা ফুটবলার ছিলেন, একজন ল্পচ হিসেবেও আমি উনাকে অনেক বেশি পছন্দ করি। উনিও আমায় পছন্দ করেন। খেলোয়াড়দের সাথে ল্যাম্পার্ডের সম্পর্ক মধুর।

চেলসি তে খেলছি প্রায় ৬ বছর হয়, এবং সত্যিই আমি এখানে অনেক ভালো আছি। শুধু আমিই নয়, আমার স্ত্রীকে যদি আপনি লন্ডন ছাড়ার প্রস্তাব দেন, সে একবাক্যে 'না' বলে দিবে। আমার মেয়েরাই একই উত্তর দিবে আপনায়।

ব্রাজিল তো ব্রাজিলই, তাইনা? এটি আমাদের মাতৃভূমি, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের অস্তিত্ব! কিন্তু, নিঃসন্দেহে লন্ডন আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এমনকি আমি এখন ব্রিটিশ নাগরিক'ও বটে।

এখানেই আমার পরিবার, এখানেই আমার চার্চ, আমি এখানেই খেলতে চাই, ড্রেসিংরুমে ফিরে পরিবারের মেসেজগুলো পড়তে চাই!

একজন ফুটবলার হিসেবে হয়তো অনেক কিছুই জিতবো, তবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিরোপা, সবচেয়ে বড় পুরস্কার কিংবা প্রাপ্তি আমার পরিবার, আমার বাবা, আমার স্ত্রী আর কন্যাদ্বয়!

("দা প্লেয়ার্স ট্রিবিউন" থেকে অনুদিত)