• ফুটবল

আমেরিকান যারা নাম লিখিয়েছেন ইউরোপের সেরা ক্লাবে।

পোস্টটি ১৭৫৭ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

IMG_20201003_163250

যুগে যুগে আমেরিকান খেলোয়াড়েরা ইউরোপের নামিদামী ক্লাবে খেলেছেন। আমেরিকার গণ্ডি পেরিয়ে তারা ইউরোপের বিখ্যাত ক্লাবে খেলার সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।তাদের পারফরমেন্স দিয়ে। এটা নিশ্চয় চাট্টিখানি কথা নয়। ব্র্যাড হাওয়ার্ড ফ্রিডল, লেল্ডন ডোনোভান, টিম হাওয়ার্ড'রা ইউরোপে খেলে গেছেন। হালের আলফানসো ডেভিস'রা তো ইউরোপ মাতাচ্ছেন। সর্বশেষ বার্সেলোনা সাইন করিয়েছে আরেক আমেরিকান'কে। সার্জিনো ডেস্ট।

ব্র্যাড ফ্রিডল-

তাঁর কাজ গোল আটকানো।প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের হতাশ করা। এই আমেরিকান কিংবদন্তি প্রথম নাম লিখিয়েছিলেন লিভারপুলে। এই গোলকিপার লিভারপুলের হয়ে খেলেছেন ৩১ ম্যাচ। একে একে তিনি খেলেছেন অ্যাস্টন ভিলা, ব্ল্যাকবার্ন এবং টটেনহাম হটস্পারের হয়ে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রিমিয়ার লীগের প্লেয়ার হিসেবে। প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে ফ্রিডলের চেয়ে বেশি ক্লীন শীট আছে ৬ জন গোলকিপারের।

ল্যান্ডন ডোনোভান-

আমেরিকার সর্বকালের সেরা ফুটবলার মনে করা হয় তাঁকে। জাতীয় দলের হয়ে যা করেছেন।তা কিংবদন্তি হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এলএ গ্যালাক্সি'র লিজেন্ড'দের কথা বললে, এখানেও আসবে ডোনোভানের নাম। তিঁনি ইউরোপে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বায়ার লেভারকুজেনের হয়ে। খেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখের মতো বিখ্যাত ক্লাবে। দু'বার ধারে খেলেছেন এভারটনের হয়ে। কিন্তু, কোথাও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।

জনাথন স্পেকটর-

২০০৩ সালে এই বহুমুখী কর্মশক্তিসম্পন্ন ডিফেন্ডারকে অনেক আশা নিয়ে দলে ভিড়িয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাঁর পারফরমেন্স বলার মতো ছিল না।মাত্র ৮ ম্যাচ মাঠে নেমেছিলেন ম্যানইউর হয়ে। যেখানে তিনি আর স্থায়ী হতে পারেননি।

পরে তিনি ওয়েস্টহাম, বার্মিংহামের জার্সিও গায়ে জড়িয়েছিলেন।

টিম হাওয়ার্ড -

৬ ফিট ২ ইঞ্চি উচ্চতার এই গোলকিপারকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে নিয়েছিল কিংবদন্তী গোলকিপার পিটার স্মাইকেলের বিকল্প হিসেবে। প্রথম সিজনেই বাজিমাত করেন তিনি। পারফরমেন্স দিয়ে জায়গা করে নেন ২০০৩-০৪ সালের প্রিমিয়ার লীগ টিম অব দ্যা ইয়ারে। এরপর আর সুবিধা করতে পারেননি।পাড়ি জমিয়েছিলেন আরেক ইংলিশ ক্লাব এভারটনে।দশ বছর কাটিয়েছেন এই ক্লাবে। ' দ্যা কিপার: এ লাইফ অব সেভিং গোলস এন্ড এচিভিং দেম' নামে একটা বইও আছে এই গোলকিপারের'।

ওয়েসটন ম্যাকেনি-

ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসের হয়ে খেলা প্রথম আমেরিকান ফুটবলার। জার্মানির ক্লাব শালকের হয়ে খেলেছেন। পরে ধারে খেলতে এসেছেন ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে। এই ২২ বছর বয়সী নতুন মৌসুমে নিয়মিত স্টার্টার।সিরি আ'তে শুরুর দুই ম্যাচে মাঠে ছিলেন ম্যাকেনি।

আলফানসো ডেভিস-

বর্তমান ফুটবল বিশ্বে আলোচিত নামের একটি।বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট বার্তেমেউ তাকে কানাডিয়ান বলে সাইন করাতে অনীহা প্রকাশ করেছিল। তবে, বাভারিয়ানরা প্রতিভা চিনতে ভুল করেননি। মোটা অঙ্কে ডেভিসকে সাইন করিয়েছেন।আস্থার প্রতিদান ও ভালো মতোই দিলেন। বায়ার্নের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, ট্রেবল জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা। প্রথম আমেরিকান হিসেবে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগ।

জিওভান্নি রেইনা-

তিনি মূলত সান্দারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। যখন তাঁর বাবা সান্দারল্যান্ডের প্লেয়ার ছিলেন। পরে যখন তাঁর পরিবার আমেরিকা ফিরে যায়। তিনি সেখানেই বড় হন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বরুশিয়া ডটমুন্ডের হয়ে বুন্দেশলীগায় অভিষেক হয় তার! এই তরুণ সেনসেশন ১৮ পেরোনের আগেই বরুশিয়ার ফার্স্ট টিমের হয়ে ২০ এর অধিক ম্যাচে মাঠে নামেন।

সার্জিনো ডেস্ট-

বাবা আমেরিকান। মা ডাচ। তিনি বেছে নিয়েছেন বাবার দেশকে।দিন কয়েক আগে বার্সেলোনা সাইন করিয়েছে তাকে। তিনি প্রথম নন।তাঁর আগে কনরেড নামের এক আমেরিকানকে বার্সেলোনা সাইন করিয়েছে তাঁদের 'বি' টিমের জন্য।কোনো প্রতিযোগিতামুলক ম্যাচে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক হলে একটা রেকর্ডও করে ফেলবেন ডেস্ট। তিঁনিই হবেন বার্সেলোনার ফার্স্ট টিমে খেলা প্রথম কোনো আমেরিকান ফুটবলার।

এছাড়া ক্রিস রিচার্ডসের মতো আমেরিকান উঠতি তারকাকে সাইন করিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। জ্যাক স্টিফেনের মতো তরুন গোলরক্ষককে দলে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।