• ক্রিকেট

ওয়ানডে লড়াইয়ের খুটিনাটি

পোস্টটি ১২১৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ শক্তিশালী  দল। বিগত কয়েক বছরের পারফরমেন্স অন্তত তা প্রমাণ করে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এখন বাংলাদেশ দল যেকোন শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারানোর ক্ষমতা রাখে।

কিউইদের বিপক্ষে টাইগারদের পারফরমেন্স অতটা ভালো তা বলা যাবে না। ওয়ানডেতে দেশের মাটিতে কিছু স্মরণীয় জয় পেলেও,  নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখনো বলার মতো কিছুই করে দেখাতে পারেননি বাংলাদেশ। সব বিভাগেই কিউইদের চেয়ে পিছিয়ে টাইগাররা। 

কিউইদের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার সাকিব আল হাসান। দিন কয়েক আগে পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। তাই, তিনি ছুটিতে আছেন। সেই সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে খুব বাজে ভাবে হেরেছে তামিমের দল।  

ওয়ানডে'র খুটিনাটি নিয়ে আলোচনা করা যাক- 

মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। ৩৬ বারের দেখায় নিউজিল্যান্ডের জয় ২৬ টা। বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ১০ টা। 

২০১৬ সালে ক্রাইস্টচার্চে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪১ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। এটাই তাদের দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ১৬২। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ৩০৯। সর্বনিম্ন  সংগ্রহ ৭৭! কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে তিনবার তিন অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি  টাইগাররা।  

রানের হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বড় জয় ১৬৭ রানে; উইকেটের হিসেবে ১০ উইকেটে। রানের হিসেবে  বাংলাদেশের বড় জয় ৪৩ রানে; উইকেটের হিসেবে ৭ উইকেটে।  

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন রস টেইলর।২৪ ম্যাচে ২৩ ইনিংসে তাঁর রান ১০০৩। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সাকিব আল হাসানের। ২২ ম্যাচে ২২ ইনিংসে ৬৩৯ রান করেছেন সাকিব আল হাসান।  

সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস নিউজিল্যান্ড পক্ষে টম লাথামের। ১৩৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে কিউইদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।   

সবচেয়ে বেশিবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন রস টেইলর।মোট ১০ বার। সাকিব আল হাসান খেলেছেন ৫ বার। তামিম ইকবালও ৫ টা পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন। 

সর্বোচ্চ ৩ টা সেঞ্চুরি করেছেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২ টা করে সেঞ্চুরি করেছেন।  

এক সিরিজে সর্বোচ্চ রান মার্টিন গাপটিলের। ৩ ইনিংসে ২৬৪ রান। নেইল ব্রমও ৩ ইনিংসে ২২৮ রান করেছিলেন।  সাকিব আল হাসান ৪ ইনিংসে ২১৩ রান করেছিলেন। 

সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।  ২২ ম্যাচে ৩৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাননি একবারও। সেরা বোলিং ফিগার ৩৩ রানে ৪ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের কাইল মিলস ১৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৩ উইকেট। যা কিউইদের  পক্ষে সর্বোচ্চ।  

ইনিংসে সেরা বোলিং ফিগারটা রুবেল হোসেনের; ২৬ রানে ৬ উইকেট। টিম সাউদিও  ৬৫ রান খরচ করে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ভেট্টোরির আছে ৭ রানে ৫ উইকেট। আফতাব আহমদ ৩১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। 

এক সিরিজে বেশি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।  ৪ ম্যাচে ১১ উইকেট। কিউইদের পক্ষে এক সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন কাইল মিলস। ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট। 

সর্বোচ্চ ডিসমিসাল ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ১৮ ইনিংসে ৩৬টা। ৩৩ টা ক্যাচ; ৩ টা স্টাম্পিং।  বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ মুশফিকুর রহিমের। ২৬ ইনিংসে ২১ টা ডিসমিসাল তাঁর। ১৮ টা ক্যাচ; ৩ টা স্টাম্পিং।  

ফিল্ডার হিসেবে বেশি ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১১ টা। এরপরে আছেন তামিম ইকবাল ও রস টেইলর।৯ টা করে ক্যাচ নিয়েছেন তাঁরা।  

যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রপিতে পঞ্চম উইকেটে ২২৪ রানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা। দুজনই শতক তুলে নিয়েছিলেন।