• ফুটবল

ট্রান্সফার মার্কেট

পোস্টটি ১৯৪৬ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

 

বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক ফুটবল লীগ গুলোতে কিভাবে টাকার ছড়াছড়ি হয় সেটা কম বেশি আমারা সবাই জানি, একটি ক্লাব রের্কড ভাঙলে অন্য ক্লাব সেটা ভাঙতে সময় নেয়না

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সময়টায় প্রতি বছরেই ট্রান্সফার মার্কেটের রের্কড ব্রেক হয়েছে। আগে কিন্তু ট্রান্সফার মার্কেটের চিত্র এমন ছিল নাহ। মাত্র ১৬ বছর বয়সে হিবারনিয়ান এফসি তে যোগ দেন স্কটল্যান্ডের পেট্রিক উইলিয়াম গ্রেভেস ১৮৮৫ সালে, ৮৮তে যোগ দেন সেল্টিকে, ৯০তে ওয়েস্ট ব্রমউইচ আলবিয়ন

এর পরই ট্রান্সফার মার্কেটের ইতিহাস শুরু হয়। গ্রেভেস প্রথম প্লেয়ার যাকে আস্ট্যান ভিলা মাত্র ১০০ পাউন্ড বা এখনকার টাকায় ১১৭০০ টাকায় কিনে রের্কড করে। উনার আগেও ট্রান্সফার হয়েছে কিন্তু উনিই প্রথম ১০০ পাউন্ডেও উপরে। যদিও সেটা এখনকার বাজার অনুযায়ী ১০০০০ পাউন্ড এর মত।


ফার্স্ট
পেট্রিক উইলিয়াম গ্রেভেস

গ্রভেস থেকেই শুরু নেইমারে এসে যেটা ঠেকেছে। অনেকটা সময় ধরে চলছে এই টাকার লড়াই, এবং সেরা হওয়ার লড়াই ক্লাব গুলোর মধ্যে যার মধ্যে ইংলিশ ক্লাব গুলো রাজত্ব করে ১৯৫০ পর্যন্ত। নিউক্যাসেল,সান্ডারল্যান্ড,ব্লাকবার্ন,বোল্টন,আর্সেনাল,সেফিল্ড,ডার্বি উল্লেখ যোগ্য ক্লাব তাদের মধ্যে যারা ট্রান্সফার মার্কেটে রের্কড ব্রেক করেছে।

১৯৫০ এর পর থেকে শুরু হয় আবার ইটালীর ক্লাব গুলোর রাজত্ব ট্রান্সফার মার্কেটেবড় বড় ট্রান্সফার করে তাক লাগিয়ে দেয় পুরো বিশ্বকে। টোটাল ফুটবলের কারিগর ইয়োহান ক্রইফ ১৯৭৩ সালে আয়াক্স থেকে বার্সেলোনাতে যোগ দিয়ে ট্রান্সফার রের্কড গড়ে, তার ২বছর পরই ফুটবল ইতিহাসে প্রথম মিলিয়ন পাউন্ড প্লেয়ার হয় নাপোলির সাভোল্ডি৮২ আর ৮৪ তে চলে ম্যারাডোনা তান্ডব, বার্সোলোনার আর নাপোলীর হয়ে, মজার একটি বিষয় হচ্ছে তখনকার ম্যারাডোনার ট্রান্সফার রেকর্ডের যে টাকা সেটা এখনকার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ান বসুন্ধরা কিংসের পুরো দলের সমান।


maradona

নাপোলীতে ম্যারাডোনা

১৯৯২ তে ঘটে এক অবাক করা রের্কড, ৬১ দিনের মাথা ৩টা ট্রান্সফার রের্কড হয়।  ৫০ এর দশক থেকেই মিলান আর জুভেন্টাসের প্লেয়ার কিনার আর রের্কড গড়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়, যেটা ৯২ এসে রেসে পরিণত হয়। জিয়ান-পিয়েরে পাপিনকে মিলান ইতিহাসে প্রথম ১০ মিলিয়ন পাউন্ড হিসেবে কিনে নেয় মার্সেই এর কাছে থেকে, তার সাথে সাথেই জুভেন্টাসের ১২ মিলিয়ন দিয়ে সাম্পোরদিয়া থেকে উড়িয়ে নিয়ে এসে ট্রান্সফার রের্কড গড়ে, সাথে সাথে মিলান ১৩ মিলিয়ন দিয়ে জুভেন্টাসের নতুন রের্কডটি ভেঙ্গে দেয়। এভাবেই চলতে থাকে ট্রান্সফার মার্কেটের চমক।

তাছাড়া প্রিমিয়ার লিগের গ্রেটেস্ট এল্যান শিয়েরার ৯৬ নিউক্যাসেলে, ৯৬,৯৭ এর ব্রজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো, ২০০০ সালে ক্রসপো ও ফিগো, ২০২১ সালে জিদান ট্রান্সফার ফুটবল দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেয়।

কাকা,রোনালদো,বেল,পোগবা,নেইমাদের ট্রান্সফার রের্কড বর্তমান সময়ে আমরা সবাই কম বেশি জানা আছে,

করোনা পরিস্থিতিতে ট্রান্সফার মার্কেটের বিশাল পরিবর্তন এসেছে, ক্লাবগুলো তাদের অপারেটিং খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। যার ফলে আরো আয় করার আশায় ইউরোপের বড় দল্গুলো নিয়ে সুপার লীগের চেস্টা চালাচ্ছে, আগামী কিছু বছর হয়তো নেইমারের রেকর্ডটি রয়ে যাবে অথবা কিল্লিয়ান এম্বাপ্পে, হালান্ডরা সেটা ভেঙ্গে দিবে, সেটা সময়ই বলে দিবে।

End