• ফুটবল

দ্য হিস্ট্রি-মেকিং স্টোরি অব লিস্টার সিটি

পোস্টটি ১৮৭৭ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

বৃদ্ধ ভদ্রলোক হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। মনে হচ্ছে যা ঘটছে তা তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না। বিশ্বাস করতে না পারারই কথা৷ এমন কিছু তার সামনে ঘটে চলেছে যা এর আগে কখনো ঘটা তো দূরের কথা, কেউ কখনো কল্পনাই করতে পারেনি। তার চারপাশের সবাই উল্লাস করছে। অথচ তিনি সেভাবেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। অবশেষে আর থাকতে পারলেন না৷ হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়লেন। এরপর দুচোখ ঢেকে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। এ কান্না দূঃখের নয়, এ কান্না আনন্দের, তীব্র আবেগের।

কিন্তু এত আনন্দের কারণ কি?

টিভি সেটে তখন সবে শেষ হয়েছে চেলসি বনাম স্পার্স ম্যাচ। হ্যারি কেইন ও সন হিউং মিনের গোলে শুরুতে চেলসি দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষে সমতায় শেষ করেছে ম্যাচ। আর সেই সাথে নিশ্চিত হয়েছে লিস্টার সিটির শিরোপা। লিস্টার সিটি জিতে গেছে প্রিমিয়ার লিগ!!! সেই প্রিমিয়ার লিগ, যেখানে দুবছর আগে কোনোরকমে দশ বছর পর ফিরে এসেছিলো তারা। সেই প্রিমিয়ার লিগ, যেখানে একবছর আগেও তারা লড়াই করেছে অবনমন এড়াতে। আজ সেই প্রিমিয়ার লিগে তারা চ্যাম্পিয়ন! এ তো অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়।

image_search_1627679818504
১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ছোট্ট সুন্দর মনোরম গ্রামীণ শহর লিস্টারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ক্লাবটি। শহরের প্রতিনিধি হিসেবে ক্লাবটির নাম রাখা হয় লিস্টার সিটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ১৩০ বছরেও ঘরে ওঠেনি কোনো লিগ শিরোপা। লিগে সর্বোচ্চ সাফল্য ছিলো ১৯২৮-২৯ সালে দ্বিতীয় হয়ে লীগ শেষ করা। ফার্স্ট ডিভিশন আর সেকেন্ড ডিভিশনে ওঠানামা করতেই কেটে গেছে তাদের বেশিরভাগ সময়।

ইতিহাস ঘাঁটাঘাঁটির কি দরকার? এইতো সেদিনকার কথা। রূপকথার মৌসুমের ঠিক আগের মৌসুম। সেবার অবনমন এড়াতে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত লড়তে হয়েছিলো "দ্য ফক্সেস"দের। আর তার ঠিক পরের মৌসুমেই কি এমন জাদুর কাঠি বুলিয়ে দিলেন ক্লদিও রানিয়েরি যে সেই তলানির দল উঠে এলো লিগ টেবিলের শীর্ষে!

একটু পেছন থেকেই গল্প টা শুরু করা যাক। ২০০৭-০৮ মৌসুম। চ্যাম্পিনশিপ থেকে সেবার অবনমিত হয়ে যায় লিস্টার সিটি। মৌসুমের মাঝে নিয়োগ পাওয়া কোচ ইয়ান হলোওয়ে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান এক বছর না ঘুরতেই। নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্বে আসেন নাইজেল পিয়ারসন।

image_search_1627679569010
২০০৮-০৯ মৌসুম ছিলো ইংলিশ ফুটবলের টপ দুই লিগের বাইরে লিস্টার সিটির প্রথম মৌসুম। কিন্তু এক সিজনের বেশি সেখানে থাকতে হয়নি। দশ ম্যাচ হাতে রেখে লিগ ওয়ানে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের মৌসুমেই চ্যাম্পিয়নশিপে ফেরত আসে দ্য ফক্সেস।

নাইজেলের হাত ধরে সম্পূর্ণরূপে ঘুরে দাঁড়ায় লিস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যাক করে প্রথম মৌসুমেই লিগ শেষ করে পঞ্চম স্থানে স্থানে থেকে, জায়গা করে নেয় প্রিমিয়ার লিগ প্রোমোশন প্লে-অফে। কিন্তু কার্ডিফ সিটির সাথে এগ্রিগেটে সমতার পর পেনাল্টি শুটআউটে হেরে সেবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসার স্বপ্ন ব্যর্থ হয়।

সিজন শেষে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান পিয়ারসন। তার স্থলে নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন পাওলো সোসা। তার হাত ধরে ২০১০-১১ মৌসুম একদম বাজে ভাবে শুরু করে লিস্টার। প্রথম নয় ম্যাচে মাত্র একটি জয়ের দেখা পায় তারা। ফলাফল, সোসা পদচ্যুত। তার জায়গায় নতুন কোচ হয়ে আসেন সুইডিশ ম্যানেজার এসভেন গোরান এরিকসন।

চ্যাম্পিনশিপের অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই পরের মৌসুম শুরু করে লিস্টার সিটি। কিন্তু শুরুটা তারা একদমই ভালোভাবে করতে পারেনি। প্রথম ১৩ ম্যাচে জয় আসে মাত্র ৫টি তে। দলের বাজে ফলাফলে দায়িত্বে ইস্তফা দেন এরিকসন। সেই দূঃসময়ে আবার লিস্টারে ফিরে আসেন নাইজেল পিয়ারসন, আবার দলের হাল ধরেন। তার হাত ধরে ষষ্ঠ হয়ে লিগ শেষ করে ফক্সেসরা, সেই সাথে কোয়ালিফাই করে প্রোমোশন প্লে অফের জন্য। কিন্ত এবারও ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে প্লে-অফ সেমিফাইনাল ম্যাচের শেষদিকে পেনাল্টি পায় লিস্টার সিটি। কিন্তু পেনাল্টি সেভ করে ওয়াটফোর্ড কিপার। রিবাউন্ডে আবার শট নেয় লিস্টার, কিন্তু সেটাও সেভ করে ওয়াটফোর্ড কিপার ম্যানুয়েল আলমুনিয়া। আর সেখান থেকে অতি দ্রুত কাউন্টার এটাকে চলে যায় ওয়াটফোর্ড এবং ট্রয় ডিনির অসাধারণ এক গোলে ৩-২ এ জয় পায় ওয়াটফোর্ড।

২০১৩-১৪ মৌসুমে দারুণ ভাবে সিজন শুরু করে লিস্টার সিটি। একের পর এক জয় আসতে থাকে। অবশেষে সেবার আর প্লে-অফের ঝামেলায় যেতেই হয়নি ফক্সেসদের। সপ্তমবারের মতো চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন মুকুট মাথায় পড়ে তারা। সেই সাথে সাথে ২০০৪ সালের পর আবারও প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসে লিস্টার সিটি।

image_search_1627679810998
প্রিমিয়ার লিগে ব্যাক করে প্রথম সিজনেই বেশ কিছু চমক দেখায় লিস্টার সিটি। ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে শুরুতে ১-৩ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ ৩০ মিনিটে চার গোল করে ৫-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। সেই সাথে জায়গা করে নেয় প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে গ্রেটেস্ট কামব্যাকের শর্টলিস্টে। সেই সাথে ১৯৯২ সালের পর প্রথম ক্লাব হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও জয় নিয়ে ঘরে ফেরার গৌরব অর্জন করে।

২০১৪-১৫ মৌসুম টা ভালো কাটেনি লিস্টার সিটির। প্রথম ২৯ ম্যাচে মাত্র ১৯ পয়েন্টস যোগাতে সক্ষম হয় তারা। এপ্রিলেও তারা সেইফ জোন থেকে সাত পয়েন্ট পিছিয়ে ছিলো। সেই সাথে প্রায় শেষ হতে বসেছিলো তাদের অগ্রযাত্রা। কিন্তু ঠিক সেই মূহুর্তেই ঘুরে দাঁড়ায় লিস্টার সিটি। জয় তুলে নেয় শেষ নয় ম্যাচের সাতটিতেই। লিগের শেষ ম্যাচে অবনমন নিশ্চিত হয়ে যাওয়া কিউপিআরকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয়। অবশেষে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের চতুর্দশ স্থানে থেকে লিগ শেষ করে লিস্টার। তাদের এই কামব্যাককে রেলিগেশন জোন থেকে সবচেয়ে বড় কামব্যাক হিসেবে ধরা হয়। সেই সাথে তারা ওয়েস্ট ব্রোম ও সাউদাম্পটনের পর প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তৃতীয় দল হিসেবে ক্রিসমাসে টেবিলের তলানিতে থেকেও সিজন শেষে অবনমন এড়ানোর গৌরব অর্জন করে।

এরপর আসে সেই সিজন। রূপকথা রচনার সেই ২০১৫-১৬ সিজন। এই সিজনের শুরুতেই বোর্ডের সাথে খারাপ সম্পর্ক ও বেশ কিছু পারিপার্শ্বিক ঘটনার জের ধরে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় লিস্টার ম্যানেজার নাইজেল পিয়ারসন কে। তার জায়গায় কোচ হয়ে আসেন সাবেক চেলসি কোচ ক্লদিও রানিয়েরি।

image_search_1627679907036
রানিয়েরির আগমন সব লিস্টার ফ্যান ভালোভাবে নিতে পারেনি। শুরুতেই বিভিন্ন জায়গায় তাকে নিয়ে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা হয়। কিন্তু দলের পারফর্মেন্স দিয়ে সব সমালোচনা দূর করে দেন ইতালিয়ান মাস্টারমাইন্ড। অগাস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টানা ১১ ম্যাচে গোল করে রুড ফন নিস্টলরয়ের টানা ১০ ম্যাচ গোলের রেকর্ড ভাঙেন লিস্টার স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডি। ১৯ ডিসেম্বর গুডিসন পার্কে এভারটন কে ২-৩ গোলে হারিয়ে সেবারের ক্রিসমাস ডে তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় লিস্টার সিটি। অথচ ঠিক এক বছর আগে এই প্রিমিয়ার লিগ টেবিলেই কিনা তলানিতে ছিলো তারা!

২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ২-০ গোলের জয় ও সেই সাথে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে টটেনহ্যাম হটসপারের ৩-০ গোলের জয়ের মাধ্যমে তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ালিফিকেশন নিশ্চিত করে লিস্টার সিটি।

অবশেষে আসে সেই বিশেষ দিন। যে দিনটির প্রতিক্ষায় ছিলো হাজারো লিস্টার সমর্থক। ২ মে ২০১৬। "ব্যাটল অব স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ" নামে পরিচিত সে ম্যাচে চেলসির বিপক্ষে ০-২ গোলে এগিয়ে গিয়েও ৫৮ মিনিটে গ্যারি কাহিল ও ৮৩ মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডের দুর্দান্ত গোলে ২-২ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা টটেনহ্যাম হটসপার। আর সেই সাথে নিশ্চিত হয় লিস্টার সিটির প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়। ইস্ট মিডল্যান্ডের ছোট্ট শহর থেকে উঠে এসে ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় পড়ে লিস্টার সিটি। ১৯৭৮ সালের পর প্রথমবারের মতো নতুন কোনো চ্যাম্পিয়নের দেখা পায় ইংলিশ ফুটবল।

image_search_1627679494599
শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর লিস্টার অধিনায়ক ওয়েস মরগান বলেন, "খেলোয়াড়দের মধ্যে এই ধরণের স্পিরিট আমি আগে কখনোই দেখিনি। আমরা একেবারে একে অপরের ভাইয়ের মতো সম্পর্ক গড়েছিলাম।" সাবেক লিস্টার সিটি স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার বলেন, "ক্লাবের ইতিহাসে এ ধরণের অর্জন আমি কখনো চিন্তাও করিনি। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।"

ট্রফি নিশ্চিত হওয়ার পর দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে লিস্টারের লোকজন। স্লোগান দিতে থাকে কোচ ও খেলোয়াড়দের নামে। কেউ চিৎকার করেন রানিয়েরির নামে, কেউ ভার্ডির, কেউবা মাহরেজের। নীল-সাদা জার্সি পড়ে অনেকে অনন্দে আবেগে ভেঙে পড়ে কান্নায়। এ যে কিছুদিন আগেও কারো কল্পনাতেই ছিলোনা!

ক্লাবের নীল-সাদা পতাকা উড়িয়ে নাচে গানে মেতে ওঠে পুরো শহর। এত বড় উৎসব শহরে এর আগে কখনো হয়েছে কিনা সন্দেহ। সবার মুখে মুখে কোচ ক্লদিও রানিয়েরির জয়গান। আবেগাপ্লুত রানিয়েরি নিজেও। তিনি বলেন, "আমি দারুণ গর্বিত। আমি আমার সব খেলোয়াড়, চেয়ারম্যান, ক্লাবের কর্মকর্তা, সমর্থক ও লিস্টার সম্প্রদায়ের জন্য খুবই খুশি। খেলোয়াড়রা ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। তাদের দৃঢ়তা, অবিচল মানসিকতা, সাহসিকতা সব কিছুর জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেক ম্যাচে তারা একে অন্যের জন্য লড়াই করেছে। তারাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্য।"

image_search_1627679620281
মৌসের শুরুতে লিস্টারের পক্ষে বাজির দর ছিলো ৫০০০:১। আর তারাই কিনা জয় করে নিলো বিশ্বের সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস লিগ টাইটেল।

লিস্টারের এ জয়ে যেমন ছিলো ইতালিয়ান বস ক্লদিও রানিয়েরির জাদুকরী ছোঁয়া, তেমনি ছিলো নাইজেল পিয়ারসনের অনস্বীকার্য অবদান। তবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিলো খেলোয়াড়দেরই। ডিফেন্সিভলি তারা ছিলো একদম সলিড। আর সেই সাথে জেমি ভার্ডির গতি কে কাজে লাগিয়ে দারুণ সব কাউন্টার এটাক। এটাই ছিলো তাদের সাফল্যের মূল মন্ত্র। প্লেয়ারদের মধ্যে পিয়ারসন ও রানিয়েরি ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন জয়ের প্রেরণা ও প্রবল আত্মবিশ্বাস। ফলে কোনো বাধাকেই তাদের কঠিন মনে হয়নি। উৎরে গেছে সব বাধা।

অক্লান্ত পরিশ্রম, প্রবল আত্মবিশ্বাস, ঐক্যবদ্ধতা, জয়ের প্রেরণা ও ইচ্ছাশক্তি মনের মধ্যে থাকলে যেকোনো অসম্ভবকেই সম্ভব করা যায়। সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছিলো ক্লদিও রানিয়েরির লিস্টার সিটি৷ কোনো দামি স্বনামধন্য খেলোয়াড় ও অবকাঠামো ছাড়াই তারা প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, আর্সেনাল, টটেনহ্যাম হটসপারের মতো সব বাঘা বাঘা দল কে পেছনে ফেলেছিলো শুধু পরিশ্রম, মনোবল, আত্মবিশ্বাস ও একতার জোরেই।

image_search_1627679910599
লিস্টার সিটি প্রিমিয়ার লিগ জয় করে শুধু ইতিহাসই সৃষ্টি করেনি, বিশ্বের সকল প্রান্তের সব ধুঁকতে থাকা দলগুলোর কাছে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে এক আদর্শ রূপে। তাদের সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখেছে অসংখ্য দল।