• ক্রিকেট

আতহার আলী খান: একজন নিঃসঙ্গ অভিযাত্রী

পোস্টটি ৯৯১ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

উপমহাদেশের মাটিতে বা ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে, আফ্রিকার চরম উত্তাপে বা ওয়েলিংটনের ঝড়ো বাতাসে, পৃথিবীর যে প্রান্তেই মাঠে লড়াই করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, সেখানেই তাঁর সদর্প উপস্থিতি। মাঠের ক্রিকেটারদের মতো ব্যাট-বল হাতে তিনি লড়াই করেন না, তাঁর লড়াইটা চলে মাইক্রোফোন নিয়ে। সারা বিশ্বে লাল-সবুজের পতাকা বয়ে চলা এই কণ্ঠযোদ্ধার নাম আতহার আলী খান, ধারাভাষ্যকার পরিচয় দিয়ে যিনি ছাড়িয়ে গেছেন নিজের ক্রিকেটার সত্ত্বাকে।

অথচ ক্রিকেটার হিসেবে আতহার আলী খান মোটেই ব্যর্থ ছিলেন না। যদিও সে সময়ে কালেভদ্রে মাঠে নামা বাংলাদেশ দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেওয়াটাই ছিল বিশাল ব্যাপার। সেই সময়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই আতহার আলী খানরা পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতেন না। দশ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনে আতহার ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ১৯টি। ১৯ ইনিংসে একবার অপরাজিত থেকে তাঁর মোট রান ৫৩২। ম্যাচের হিসেবে ছোট্ট এ ক্যারিয়ারে অর্ধশতক পেয়েছেন তিন বার। এর মধ্যে ১৯৯০ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৫ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি তাঁর জন্য অবশ্যই বিশেষ, বাংলাদেশের জন্য তো বটেই। দল হারলেও সেই ম্যাচেই যে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে জিতেছিলেন ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ এর পুরস্কার!

ধারাভাষ্যকক্ষে আতহার আলী খান

ক্রিকেটার আতহারের আসল রূপ পাওয়া যায় ঘরোয়া ক্রিকেটে। ২৯টি লিস্ট-এ ম্যাচে রান করেছিলেন ৭০৮, অর্ধশতক ছিল ৪টি। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আতহারের নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে ১৯৮৫ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলা একটি চমৎকার ইনিংসের জন্য। তিন দিনের ঐ ম্যাচে আতহার করেছিলেন ১৫৫, সতীর্থ তারিকুজ্জামান মুনিরকে নিয়ে গড়েছিলেন ৪৪৭ রানের এক অবিস্মরণীয় জুটি, মুনির করেছিলেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ত্রিশতক। ঐ আসরের পরপরই পুরো শক্তির শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিসিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড, বর্তমানে বিসিবি) একাদশে সুযোগ পেয়ে যান আতহার। এরপরই মূলত জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় তাঁর জন্য, সুযোগ পান সেসময়ে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপে। বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রতিটি এশিয়া কাপেই ভালো করেছেন আতহার, প্রায় প্রতিবারই হয়েছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তবে ১৯৯৭ এশিয়া কাপে অসাধারণ খেলেও বয়সের অজুহাতে শেষ পর্যন্ত সুযোগ পাননি ’৯৯ এর স্বপ্নের বিশ্বকাপ দলে। পরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেও আতহারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনের ওখানেই দাঁড়ি পড়ে যায়।

আতহার আলী খানের ধারাভাষ্যে আগমনের গল্পটা বেশ চমকজাগানিয়া। ’৯৭ এর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে খেলা যখন নিশ্চিত হয়ে যায়, তার পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে বিসিবির উদ্যোগে বাংলাদেশ দলকে পাঠানো হয় ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড সফরে, উদ্দেশ্য ছিল কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়া। পরের বছরের বিশ্বকাপে ভালো করার সম্ভাবনা মাথায় রেখে যুক্তরাজ্যের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশ দলকে অনুসরণ করতে থাকে। ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন বিধায় সংবাদ সম্মেলন সামলাতে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রথম পছন্দ ছিলেন আতহার আলী খান। এভাবে আতহারের সম্পর্ক তৈরি হয় ঐ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মার্ক ও’ডয়ারের সাথে, এই সম্পর্ক কাজে লাগে দুই বছর পর।

মাত্রই টেস্ট মর্যাদা বাংলাদেশ তখন প্রথম টেস্ট নামক স্বপ্নের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। জাতীয় দলে ততদিনে ব্রাত্য আতহার ম্যাচের আগের দিন গেলেন হোটেল শেরাটনে, ক্রিকেটারদের শুভকামনা জানাতে। সেখানে তাঁর দেখা হয়ে গেলো মার্ক ও’ডয়ারের সাথে, যিনি তখন ঐ সিরিজের প্রডিউসারও বটে। এ কথা, সে কথার পর আতহার বলেই ফেললেন ধারাভাষ্যে নিজের নাম লেখানোর ইচ্ছের কথাটা। আগেই আতহারের ইংরেজি দক্ষতার পরিচয় পাওয়া ও’ডয়ার কিছুটা বিস্মিতই হলেন। আবারও তাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি সিরিয়াস?’ আতহার ‘হ্যাঁ’ বলা মাত্রই ও’ডয়ার তাঁকে পরের দিন মাঠে যেতে বললেন। পরদিন মাঠে গিয়ে আতহারের তো আক্কেল গুড়ুম! আশেপাশের মানুষগুলো যে ইয়ান চ্যাপেল, মাইকেল হোল্ডিং, সুনীল গাভাস্কার, টনি গ্রেগদের মতো এক এক জন রথী-মহারথী। এ প্রসঙ্গে আতহার পরে বলেন, ‘ওরা আমাকে দুই দফায় আধঘণ্টা করে মোট এক ঘণ্টা কমেন্ট্রি করার সুযোগ দিয়েছিল। তো প্রথমবার মাইক্রোফোন হাতে নিয়েই দেখলাম আমার সঙ্গী কমেন্টেটর ইয়ান চ্যাপেল। পার্থের বাউন্সি উইকেটে কোনো দিন খেলা হয়নি। সেখানকার উইকেটে দুর্ধর্ষ কোনো ফাস্ট বোলারের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলে যেমন লাগত বলে অনুমান করি, ইয়ানের পাশে বসে ঠিক তেমন অনুভূতিই হচ্ছিল আমার। প্রথম কয়েক মিনিট তো মুখ দিয়ে কোনো কথাই বেরোচ্ছিল না!’ প্রথম দিন কথা বলতে না পারা সেই আতহার আলী খানই বিশ বছর পরে হয়ে গেছেন ‘দ্য ভয়েস অব বাংলাদেশ ক্রিকেট’।

ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানের লড়াইটা খুব সহজ ছিল না। সদ্য টেস্ট মর্যাদা পাওয়া বাংলাদেশ তখন আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নবীনতম। স্বাভাবিকভাবেই মাঠের ক্রিকেটে পায়ের নিচের মাটিটা খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল বাংলাদেশের জন্য। দেশে-বিদেশে প্রতিরোধবিহীন একের পর এক পরাজয়ে নিজেদের হঠাৎ অভিজাত সভায় ঢুকে পড়া অপাঙক্তেয় মনে হওয়াই স্বাভাবিক। আতহার আলী খানের জন্য তা আরো বেশি। মাঠের ক্রিকেটারদের পরাজয়ের লজ্জার ভাগ ধারাভাষ্যকক্ষে তাঁকে তো নিতে হতই, সাথে থাকতো প্রতিষ্ঠিত দেশগুলোর ধারাভাষ্যকারদের বিদ্রূপ-ভ্রুকুটি। কিন্তু আতহার ছিলেন অবিচল, বাংলাদেশের সমর্থনে সর্বদা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশে খেলা হলে শামীম আশরাফ চৌধুরীকে নিয়মিতই পাশে পান আতহার, ইদানীং সাথে থাকেন শাহরিয়ার নাফীস, মেহরাব জুনিয়ররা। কিন্তু বিদেশের মাঠে আতহার যে বড্ড একা! ধারাভাষ্যকক্ষে স্বদেশী কেউ নেই, মাঠের খেলায়ও বাংলাদেশ যাচ্ছেতাই, সব মিলিয়ে আতহারের লড়াইটা কখনো কখনো বিরক্তির সীমা ছাড়িয়ে হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। কিন্তু আতহার হাল ছাড়েন না, প্রতিপক্ষের বিদ্রূপের মুখে কখনো শুনিয়ে যান আশার গান, স্বপ্নের গান, কখনো হয়ে ওঠেন ভীষণ প্রতিবাদী। ২০০৩ সালের কথাই ধরা যাক।

বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর, মুলতান টেস্ট।

প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ছোটখাট ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে অলক কাপালি ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। প্রথম স্লিপের সামনে থেকে ছোঁ মেরে ক্যাচ নিলেন পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ। অসাধারণ ক্যাচের প্রশংসায় যখন সবাই পঞ্চমুখ, টেলিভিশন রিপ্লেতে ধরা পড়লো আসল ব্যাপার। মাটি থেকে বল তুলে আবেদন করেছেন রশিদ, আম্পায়ারও আঙুল উঁচু করে আউটের সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছেন। টেলিভিশন সেটের সরাসরি খেলা দেখা বাংলাদেশীদের মনের ভাব যেন পড়তে পারলেন আতহার আলী খান। মুহূর্তের হতভম্ব ভাব কাটিয়ে তীব্র সমালোচনার জোয়ারে ভাসিয়ে দিলেন রশিদ লতিফের পক্ষে থাকা পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজাকে। রমিজ রাজার তীব্র বাক্যবাণগুলোকে সপাটে আছড়ে ফেলতে লাগলেন মাঠের বাইরে, শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন রমিজকে। সেদিনের প্রতিবাদী আতহার হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের কণ্ঠস্বর।

কিন্তু সেদিনই তো শেষ নয়। ধারাভাষ্য চলাকালে বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে ধারাভাষ্যকাররা অনেক বিষয় সরাসরি বলতে পারেন না, কিন্তু ধারাভাষ্যে যখন নিজেরা মাইক্রোফোনের পেছনে থাকেন না, ইচ্ছেমতো খোঁচা দিতে তো তখন আর বাধা থাকে না। আতহারকেও অনেক খোঁচা খেতে হয়েছে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নীরবে সয়ে গেছেন। তবুও, টানেলের শেষ প্রান্তে আলোর উৎসটা তিনি দেখেছিলেন, আর দেখেছিলেন বলেই আশায় বারবার বুক বেঁধে গেছেন। বিশ্বাসের এক একটি ইট দিয়ে গড়ে তুলেছেন নামের এক স্বপ্নের দালান, যে দালানের ছাদে দাঁড়িয়ে পুরো বিশ্বের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের জয়ধ্বনি। নিজের শব্দভাণ্ডার থেকে দালানের নামকরণ করেছেন ‘বাংলাওয়াশ’, ক্রিকেট অভিধানে যা বাংলাদেশের একান্ত নিজস্ব অহংকারের জায়গা। পরে পত্রিকার শিরোনাম হওয়ায় ‘বাংলাওয়াশ’ শব্দটি আরো বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আতহার আলী খানের আরো একটি বিখ্যাত বাণী প্রধান শিরোনাম হয়েছিল বহুল প্রচারিত দৈনিকে, ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে ২ রানের হৃদয়বিদারক পরাজয়ের পর, ‘সো ক্লোজ ইয়েট সো ফার’। বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘এত কাছে তবু এত দূর’।

ক্রিকেটার-জীবন শেষ করার পরে জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেছেন আতহার আলী খান। এই ক্ষেত্রেও কী আশ্চর্য সফল তিনি! সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের প্রথম সুযোগ দিয়েছিলেন তিনিই। বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান সাফল্যের পেছনে তাই তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু, ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান আসলে এত বেশি সফল, ক্রিকেটারের মতো নির্বাচকের ভূমিকাও আড়ালে চলে গেছে।

মাঠের ক্রিকেটে সাকিব-তামিম-মাশরাফি-মুশফিকদের বীরত্বগাথা দেখি আমরা সবাই, ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক্রোফোনের পেছনের আতহার আলী খানদের বীরত্ব আমাদের চোখে পড়ে না। মাঠে নিজের দল জিতলে আমরা বাঁধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ারে ভাসি, অথচ পরাজয়ের দিনে এই দলকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গালি দিতে আমাদের দেরি হয় না। যেন ওরা জিতলে জেতে পুরো দেশ, ওরা হারলে হারে ওরা এগারো জন। অথচ প্রতিনিয়ত দেশের জন্য ধারাভাষ্যকক্ষে লড়াই করে যাওয়া আতহার আলী খানরা তো দলের দুর্দিনে দূরে চলে যান না, সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন নিজের দলকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার, দেশে বা দেশের বাইরে। দেরিতে হলেও এর ফল তাঁরা পেয়েছেন। এক সময়ে যে আতহার আলী খানকে মাথা নিচু করে ধারাভাষ্যকক্ষে প্রবেশ করতে হতো, তিনিই এখন গর্বভরে কথা বলেন মাইক্রোফোনের সামনে। বাংলাদেশকে নিয়ে অতীতে যিনি বা যাঁরা বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করতেন, সুযোগ পেলে এখন আতহার তাঁদের খোঁচা দিতে ছাড়েন না। বাংলাদেশের ক্রিকেটের শুরুর দিকের যোদ্ধা তিনি, দেখেছেন ক্রিকেটের চারাগাছ থেকে যৌবনপ্রাপ্তির দৃশ্যও। আতহার আলী খানের জীবনে তাই একটাই চাওয়া, বিশ্বকাপ জিততে দেখতে চান বাংলাদেশকে।

দেশে-বিদেশে, এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশ দলকে ভালোবেসে, বাংলাদেশ দলের প্রতি বিশ্বাসকে পুঁজি করে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে তাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে বাংলাদেশের বিজয়ের ঘোষণা। তবু দিন শেষে আতহার আলী খান একজন নিঃসঙ্গ অভিযাত্রী, বাংলাদেশের ধারাভাষ্যের ইতিহাসে যিনি আবিষ্কার করেছেন এক অনাবিষ্কৃত পথ, যে পথ ধরে অনাগত ভবিষ্যতে হয়তো হাঁটবে অনেক পথিক।