• ফুটবল

Fede valverde - The Halcon of Football

পোস্টটি ৭৯২ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

রিয়াল মাদ্রিদকে ভালোবাসেছিলাম মার্সেলোর হাত ধরে। সেই ভালোবাসায় ছিলাম আমি মুগ্ধ, গর্বিত। পৃথিবীর সবকিছুর যেমন জোড়া আছে তেমনি তার শেষও আছে।  আগমন আর নির্গমন দিয়েই তৈরি এই পৃথিবী। যেতে নাহি দিব হায় তবু যেতে দিতে হয়।  

 মার্সেলো দিয়ে যে  সাদা আবেগটা তৈরি হয়েছিল তার অব্যবহিত চলেছে এল ফেলকেন বা ভালভার্দে নামক একটা ঘোড়া হিসাবে যার প্রতিটা পদক্ষেপ গায়ে চমক লাগিয়ে দেয় বাজিয়ে তোলে প্রতিপক্ষের বুকের কম্পন। যেন মাঠে খেলোয়াড় নয় সে যেন একজন প্রতিযোগী ঘোড়া যার নেই কোনো দুর্মতি আছে শুধু সামনে যাওয়ার তীব্র আকাংগা 

 

ক্যারিয়ার হিসাব করলে খুব একটা বেশি বড় না৷  তবে ছোট কে যারা ক্ষুদ্র হিসাবে গণ্য করেন না তাদের কাছে তা তাৎপর্যপূণ্য।  অনেকদিন ধরা হয় না লিখা ভাবা হয় না সাদা শার্ট নিয়ে কবিতা। ধরব ধরব করে যেন হারিয়ে ফেলি সেই বাসনা নিজের ব্যস্ততা নামক শব্দের কাছে।  আজকে তবু মনকে রুদ্ধ করতে পারেনি সেই ব্যস্ততা। আজকে  যে আমার প্রিয় প্লেয়ারের জন্মদিন।  মনকে তো আজ কেউ হারাতে পারবে না। সকল শিকল ভেংগে আজ তার শুধু গল্প শোনানোর কাতরতা।  

 

না আমি বলবা না সেই ঐতিহাসিক ট্যাকেলের কথা যা দিয়ে প্রতিপক্ষের কোচের বাহবা পাওয়া যায় বলবা না প্রিমিয়ার লীগের সেরা ডিফেন্ডার  ভ্যান ডাইককে বিড করা সেই উচলের ফাইনালে  করা এসিস্ট এর কথা।  বলব স্বপ্ন এর কথা।  স্বপ্নকে জয় করার কথা।  

 

ভালভার্দের জন্ম ১৯৯৮।  জাতীয়তা উরুগেয়ান। তার মায়ের ভাষ্যমতে সে যখন ৪ বছর এর ছিলো তখন নাকি তার স্বপ্নে ছিলো একটা বড় স্টেডিয়াম সবার চিৎকারে মুখোরিত একটা সাদা জার্সিতে অবস্থান তার।  সে যখন ১০ কিংবা ১১ সে নাকি বলল তার পড়নে ওই সাদা জার্সিটা আর অন্য কারো নয় তা যে রিয়াল মাদ্রিদের।  

 

ছোট থেকেই মাদ্রিদের স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়ে ছেলেটা মাদ্রিদে খেলবে না তা কিভাবে হয়৷  স্যার আব্দুল কালাম আজাদ একটা কথা বলছিলেন "স্বপ্ন তা নয় যা তুমি ঘুমিয়ে দেখো, স্বপ্ন তা  যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না"। কিন্তু ভালভার্দে সেই  ঘুমের মধ্যেই নিজের স্বপ্নকে দেখে জয় করার প্রতিযোগিতায় নামল।  কাস্তিয়াতে ১৬/১৭ সালে আসলেও রিয়াল মাদ্রিদের মেইন টিমে  জায়গায় করে নিতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২ সিজন।  জুলাই ১, ২০১৮ তে নিজের ডেব্যু করে একজন মাদ্রিস্তা হিসাবে৷ ২০১৮ সালটায় অনেক দুঃখ কষ্টে ভরা ছিলো তাই হইত এই ঘোড়াটাকে কারোই চোখে পড়ে নি।  

 

জিদানের আন্ডারেই এই তেজি ঘোড়ার জয়গানের সুত্রপাত ঘটে।  মিডফিল্ডার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও জিদান  যথাযথ Rb এর অভাবে তাকে  খেলায় সেই স্থানে যেখানে কোনোদিন খেলার সুযোগ হয়নি তার কিন্তু সেই আস্থার প্রতিদান ১০/১০ দিয়েই দিলো।  তার পর থেকে কখনো বা ডিফেন্ডার কখনো বা মিডফিল্ডার কখনো না উইংগার দলের যখন যেখানে প্রয়োজন হাজির এই ঘোড়া।  মাত্র তো দোড় শুরু যেতে হবে বহুদূর। ধরে রাখতে  হবে মদ্রিচ কিংবা টনি ক্রুসের করা সেই ল্যাগাসি বা সৃষ্টি করতে হবে নতুন ইতিহাস। ফিউচার মাদ্রিদ যে তোমার হাতেই চলবে তোমার হাতেই থাকবে সেই লিজেন্ডারি ক্যাপ্টেন আর্মব্যান্ড।  তোমাকেই ধরে রাখতে হবে লস ব্লাংকোস এর স্মৃতি।  তোমাকেই দেখি মাদ্রিদের ফিউচার ক্যাপ্টেন হিসাবে।